Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 14 January 2020

P. K. নাকি বদলে দেবেন এদের।

পি কে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর
ভোট বিশেষজ্ঞ তিনি বদলে দেবেন বর্তমান শাসক দলের নেতা কর্মীদের। বলছেন কি পঞ্চায়েত ভোটের মতো পুরসভার ভোট করা যাবে না, বা পঞ্চায়েত ভোটের দাওয়াই পুরসভার ভোটে প্রয়োগ করা যাবে না। আমার মনে হয় উনি শাসক দলের নেতা কর্মীদের ঔদ্ধত্য জানেন না তাই এ কথা বলছেন। সি পি আই এম তথা বাম শাসনের শেষ দিকে অনেক দাদা তৈরি হয়েছিল পাড়ায় পাড়ায় এখন তাদের বড়ো অংশ তৃণমূলের সম্পদ, তারা কি মনে করে তিনি যেটা বলবেন ওটাই শেষ কথা ।সাধারণ মানুষ গরু ছাগল কুত্তা, মানুষ কে মানুষ বলে মনেই করে না। সি পি আই এম দলের মধ্যে এখনও ঐ রকম কিছু নেতা রয়েছে, বেশিরভাগটাই তৃণমূল তথা শাসক দলে নাম লিখিয়েছে। সিঙ্গুর এলাকায় এখনও বাম দলে ঐ রকম নেতা আছে বলেই তারা জিততে পারছেন না। আর এই কারণেই শাসক দল তৃণমূল বার বার সিঙ্গুরের জয় লাভ করছে, এই কারণেই তাদের ঔদ্ধত্য মানুষ কে মানুষ বলে মনে করছে না, এই কারণেই এখন সিঙ্গুরের মানুষ তৃণমূল ও সি পি আই এম থেকে ঘুরে বি জে পির দিকে ঝুঁকেছে।কেন এসব নিয়ে লেখার কথা মনে হলো বলছি, আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাকা খরচ নিয়ে লিখি সর্ব শিক্ষা যখন শুরু হয় তখন থেকেই এই সব নির্বাচিত প্রতিনিধি সেই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা বিদ্যালয়ের সর্বময় কর্তা হয়ে উঠতে চাইছে। কথায় কথায় সর্ব শিক্ষার দেওয়া সামান্য টাকা সঠিক খরচ করার পরেও হুমকি দেওয়া হয়, চেকে স্বাক্ষর করব না। ভাউচারে সই বা স্বাক্ষর করব না, মজুরের বা ভ্যান ভাড়া দিলেও তার পাকা ভাউচার দিতে হবে। কি জানি দিন মজুরের ছাপানো ক্যাশ মেম আছে কিনা? যেমন আজব সরকার তেমন আজব তার নেতা মন্ত্রী আসলে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা কোটি কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা, প্রমোটারের পিছনে ঘুরে পি ডব্লিউ ডি জায়গায় বাড়ি বানানোর অনুমতি আরও অনেক কিছু, সেটা যখন স্কুলে হচ্ছে না তখনই এসব নিয়ে শিক্ষক কে হেনস্থা করা আবার সোনায় সোহাগা যদি ২০১৪ সালের পর নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক জোটে এরা পড়াতে আসে নি, বিদ্যালয়ে বেশি ছাত্র হলে এদের রাগ, পড়ানোর কথা বলা যাবে না। যখন তখন আসতে যেতে দিতে হবে, না পড়িয়ে মোবাইল ঘাঁটবে ক্লাসে মোবাইল ঘাঁটতে দিতে হবে। চল্লিশ মিনিটের টিফিনের জায়গায় দেড় ঘণ্টা দিতে হবে।প্রধান শিক্ষক বা ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিছু বললে কি করে তার পিছনে লাগা যায় তার ব্যবস্থাপনা করতে হবে  সাথে আছে ঐ সভাপতি একই দলের লোক, ঐ রতনে রতন চেনার মতো কথা - - - মায়ের বড় গলা। সব খরচ দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক করতে নাকি বাধ্য কিন্তু কোথা থেকে করবে তার বেতন থেকে এটাই বক্তব্য ঐ সভাপতি দের। কারণ ভাউচার গুলো সব মিথ্যে তার কাছে। আর বেশি কিছু লিখছি না, আরেক জ্বালা মি ডে মিল টাকার নামে দেখা নেই দেনা করেও খাওয়া তে হবে, না খাওয়ালে কৈফিয়ৎ আদায় করতে হবে। কারণ ওখানে বসে মন্ত্রী মশাই হুমকি দিচ্ছেন, আর তার চেলা চামুণ্ডার দল লাফাচ্ছে। জানুয়ারি মাসে বিদ্যালয়ে ছাত্র বাড়ে কমে যার কমে তার টাকায় চলে যাবে কিন্তু যার বাড়ল তার, জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক দেনা করে খাওয়াচ্ছেন। তার উপর এদের ভিজিটের নামে চোখ রাঙানি, কেন খাওয়ানি তার আবার লিখিত কৈফিয়ৎ আমি ভেব পাই না ছুটির দিন বাচ্চা গুলো বাড়িতে কি খায় এক বার খোঁজ নেয় না। মি ডে মিল সম্পূর্ণ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কে দেওয়া হচ্ছে না কেন? টাকা পয়সা তাদের এ্যাকাউন্টে জমা করবে তারা খাওয়াবে তারাই জবাব দেবে  পোশাকের মতো নয় টাকার দায় শিক্ষক নেবে সময়ে পোশাক না দিলে তার দায় ও শিক্ষকের, অথচ পোশাক দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এই ভুতুরে নিয়ম নয় টাকা পয়সা থেকে রান্না করে খাওয়ানোর সব দায়িত্ব তাদের, দিতে হবে। শিক্ষক কেবল পড়াবে, দেনা করে খাওয়াবে এই দূর্মূল্যের বাজারে একদিন না হলে কেন হলো না, তার কৈফিয়ৎ দিতে হবে। আমার তো মনে হয় এই সরকারের আগা পাছতলা সব তোলা বাজ লুটেরা আর ধান্দা বাজ এদের এই খাম খেয়ালি পনায় সুস্থ ভাবে সরকারের কাজ পরিচালনা করা খুব কঠিন। এরা রাতে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখে কি করে সরকারি কর্মী ও শিক্ষক দের জব্দ করব। যেটা ভাবে সেটাই এদের আইন  এদের পাল্টানো শিবের বাবার অসাধ্য কাজ। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...