শুরু করেছে সমীক্ষার নামে মানুষের মনে গেঁথে দেওয়া আগামী দিনে, মানুষ চোর চিটিংবাজ তোলা বাজ কাট মানি খোর দের সমর্থন করবে। চিটফাণ্ডের কল্যাণে হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত, কতজন মানুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলো। চোখের সামনে দেখতে পেলাম চাকরির তালিকা ভুক্ত হয়ে অনশন করছে ঐ অনশনে গিয়ে এক জন সন্তান সম্ভাবা মা তার গর্ভের সন্তান হারিয়েছেন, তারপরও তাদের সঙ্গে নানা খেলা চলছে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। সরকারি কর্মীদের ডিএ এর জন্য মামলা করতে হচ্ছে। পে কমিশনের নামে বঞ্চনার শিকার তারা, বলে দিচ্ছে যা গেছে তা যাক, জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া ফাটকাবাজির জন্য, তোলা তোলার জন্য আজ এই ফাটকাবাজি, রেশন কার্ড ভোটার কার্ড আধার কার্ড এবং এন আর সি বা সি এ এ নামে মানুষ কে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ নাজেহাল, প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা মানুষের সাথে প্রতারণা চোখের সামনে অন্যায় দেখেও মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। নেতার টালির চালা আজ তিন তলা বাড়ি, ভাঙা সাইকেলের বদলে সবথেকে কম দুটি দামী চার চাকা গাড়ি, প্রতিনিয়ত মানুষ আজ লাঞ্ছিত অপমানিত, তার পরেও এই সব পত্রিকা যারা ভগবান কে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না তারা সমীক্ষা করে ফেলেছে এদের নাকি মানুষ সমর্থন করবে। কীসের জন্য এই তাঁবেদারি মার খাবার ভয় না বিজ্ঞাপন না পাবার ভয়। আজ মানুষ সত্য বলতে ভুলে গেছে ভয়ে কারণ শাসক হিংস্র যে কোন মূহুর্তে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, যেমন সণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কিছু দিন আগেই ঘটে গেল। এই ভয়ে না এর গভীরে অন্য কোন কারণ আছে, প্রতি নির্বাচনের বেশ কিছু দিন আগে থেকেই দেখা যায় এই সব সমীক্ষা, আমার জানা নেই কোথায় কাদের নিয়ে এই সমীক্ষা হয়। বামফ্রন্ট সরকারের শেষের দিকে কিছু নেতা কর্মীদের বাড়ন্ত মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি। সেই সময় এই শাসক দলের বিভিন্ন ভালো ভালো প্রতিশ্রুতি জনগণ ভেবে ছিল সত্যিই খুব ভালো হবে, কিন্তু সি পি আই এম এর সেই দাদার দলের অধিকাংশ করে খেতে এই দলে নাম লিখিয়েছে। এরাই এখন ক্ষমতার অধিকারী ভালো ভালো প্রতিশ্রুতি আজ অতীত, সেই সব আজ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। রাজ্য সরকার নেতা মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতা মন্ত্রী সব কটা পাকা মিথ্যাবাদী। মিথ্যা বলার জন্য নোবেল প্রাইজ থাকলে এরা পেত, একটা তো মিথ্যেতে ডক্টরেট করে ফেলেছে, এন আর সি বা সিএএ নামে গরীব মানুষ কে বন্দী করে ক্রীতদাসে পরিনত করতে চাইছে যেটা সে গুজরাটে করে এসেছে, আর তাকে চালাকির মধ্যে দিয়ে মদত দিচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দল, এই সব পত্র পত্রিকা বিরোধী আন্দোলন দেখতে পায় না কখন উনি হাজার সিকিউরিটি নিয়ে পুলিশের মিছিল করেন সেটা দেখতে পায়। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই জনগণের নেতা জনগণের সাথে মিশতে পারে না দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয়। অথচ জনগণ এদের ভোট দিয়ে জেতায়, সত্যি বাঙালি জাতির শিক্ষার কোন দাম নেই, এক দিন যে বাঙালি গোটা ভারত কে পথ দেখিয়েছে সেই বাঙালি জাতি কোথায়? আধ পেট খেয়ে দূর্ভীক্ষে মরে বন্যায় ঘর বাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তবুও যে বাঙালি জাতি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নি, সেই বাঙালি জাতি আজ মিথ্যা আর চটক দারি কথাতে ভুলে যাচ্ছে, কুকুরের মত এক টুকরো রুটির আশায়। ইংরেজ আমলে এই ধরনের বাঙালি জাতির লোক ছিল যারা ব্রিটিশদের পা চাটত, তারা সংখ্যায় ছিল কম, আর আজ মনে হচ্ছে তাদের সংখ্যা বেশি, বাঙালি এখনও শিক্ষিত হতে পারে নি, না হলে চোর, চিটিংবাজ, ধাপ্পাবাজের জয়গান গাইত না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment