Anulekhon.blogspot.com

Friday, 9 August 2019

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সব শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে, তারা যাতে তাড়াতাড়ি আট লক্ষ টাকা তুলতে পারে তার জন্য।

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশন তুলে দেওয়ার জন্য গত ২৬/৭/১৯ তারিখে গ্রেড পে বৃদ্ধির একটি নোটিশ বা সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। যে আদেশের বলে যারা ট্রেনিং প্রাপ্ত তাদের গ্রেড পে ২৬০০ থেকে বেড়ে ৩৬০০ এবং যারা ট্রেনিং প্রাপ্ত নন তাদের ২৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯০০ টাকা করা হবে। এতে করে দেখা যাচ্ছে, পে প্রোটেকশন না দেওয়ার জন্য পুরানো শিক্ষকের বেতন নতুন ২০১৭ সালে চাকরি তে যোগ দেওয়া শিক্ষকের থেকে কম পাবে বা সমান বেতন বৃদ্ধি পাবে ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত শিক্ষকের। আমি মনে করি সরকার চাইছে, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করতে কারণ তারা ৫ থেকে ১০লক্ষ  টাকা কাটমানি বা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে। কেউ কেউ এই টাকা দিতে জমি বিক্রি করেছে, ধার করে দিয়েছে, ভিটে বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছে। যারা চাকরি পেয়েছে, তাদের দোষ নেই এই নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা পর্যন্ত দেয়নি। এরকম লোক চাকরি করছে, সেই জন্য ঐ সব শিক্ষকের কথা হচ্ছে, আমি তিরিশ জনের বেশি ছাত্র থাকলে ক্লাস নেব না। বেশি ছাত্র ভর্তি করলে প্রধান শিক্ষক বুঝবে, তাদের বেশি ছাত্র পড়াতে বললে তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ আই ডি আই যতদূর যেতে হয় যাবে। প্রধান শিক্ষক জানে এরা সরকারের দলের নেতাদের ছেলে মেয়ে, মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দিতে পারে। যারা চাকরি পাওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিল সরকার তাদের দেখবে না। ওরা যাতে ঐ টাকা তাড়াতাড়ি তুলতে পারে বা দেনা শোধ করতে পারে তার জন্য এই বেতন বৃদ্ধি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য কেবল সিলেবাস বা বই নয় এটাও একটা বড়ো কারণ। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...