Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 7 August 2019

শাসক যখন চরম মিথ্যাবাদী।

মিথ্যে কথার সীমা থাকে এদের নেই, বর্তমান শাসক দল কি রাজ্যের কি কেন্দ্রের সবাই সমান। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার জন্যে যা যা বলে ছিলেন, এবং তিনি তখন রেল মন্ত্রী থাকা কালীন, এতো শিল পুঁতে ছিলেন, অনেকে ওনার নাম দিয়ে ছিল শিলাদি। এখনও রেলের জমির বিভিন্ন জায়গায় খুঁজলে শিল গুলো পাওয়া যাবে। একেবারে যে কাজ হয়নি তা নয়, তারকেশ্বরের ডবল লাইন হয়েছে। বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেলে লাইন তিনি শিল পুঁতে ছিলেন, যা জমি জটে এখনও শেষ হয়নি। তিনি সিঙ্গুর থেকে টাটা কারখানা উচ্ছেদ করে গুজরাত কে উপহার দিয়ে ছিলেন, বলেছিলেন, চারশ একর ফেরত দিয়ে ছ'শ একরে শিল্প হবে, যা আজও হয় নি। প্রতি বছর দশ লক্ষ বেকারের চাকরি করে দেব। ২০১২ সালের পর থেকে, PSC, SSC, TET সব অনিয়মিত, যদি বা হলো মজার ব্যাপার যাতে কেস হয়, সেই রকম নোটিশ জারি করা হয়েছে। আবার পাশ করে ঘুষ দিতে পারে নি বলে চাকরি হয় নি। আত্ম হত্যা করেছে, অনশন করেছে, তার পরও চাকরি হয় নি। এই রকম সরকারি কর্মীদের সঙ্গে করেছেন। ডিএ পে কমিশন সময়ের আগে দেবেন বলে দেননি। আর কেন্দ্রে যিনি আছেন, ভাবুন তিনি জনগণের কাজ করতে নাকি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ, কিন্তু কি দেখছি, গত ৪২ বছরের মধ্যে ভারতের বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। কারণ প্রতিশ্রুতি আছে, নিয়োগ নেই, সব বেসরকারি করে দাও ফোর জি করার জন্য বি এস এন এল কে সুযোগ দেওয়া হলো না, পেল কে আম্বানি। কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের ব্যঙ্ক এ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন বলে ছিলেন। উল্টো টা দেখেছি আমরা, নোট বন্দি, জি এস টির ঠ্যলায় অন্ধকার, সরকারের পরিষেবা বিমা সবেতেই দু রকম জি এস টি একটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় জি এস টি কি সে জি এস টি নেই। আর সব থেকে বড় মিথ্যা কথা পুলওয়ামায় যখন সেনা বাহিনীর কনভয়ের উপর হামলা হলো তখন তিনি জিম করবেট ন্যাচারাল পার্কে বিয়ার গিলসের সাথে শ্যুটিং করছেন। আর সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে তিনি দিল্লীতে ছিলেন, মন্ত্রী সভার বৈঠকে ছিলেন। তবে বিশ্বের সব বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী সব মিথ্যে কথা বলে, কিন্তু এখানে প্রশ্ন তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন যদি বলেন তবে সেই জাতি বিশ্বের কাছে ছোট হয়ে যায়।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...