Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 10 August 2019

"আনন্দ বাজার" অন লাইন নিউজ পোর্টালে খবর চাষ করে কৃষকের লোকসান ছাড়া লাভ নেই।

অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় এই শিরোনামে খবর পড়ে আমি খুব অবাক হয়েছি। কারণ ২০০৬ সালে সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়ানোর আন্দোলনের সময়ে এই আনন্দ বাজার পত্রিকায় ও তাদের দূরদর্শনে চ্যানেল অনেক কৃষি বিশেষজ্ঞ বসতেন প্রতিদিন নিয়ম করে খবর হোত সেখানে কেউ কেউ বলে ছিলেন, এক বিঘা জমিতে চাষ করে কৃষকের এক বছরের খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয় এক লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা। বিশেষ করে আলু চাষ করে বেশি লাভ কারণ হিসেবে আলু বীজ পোঁতা হয় একটি গোটা আলুকে কেটে চার টুকরো করে। আর ফলন অনেক, আর ধান চাষ করে কৃষকের লাভ আরও বেশি, কি জানি আমি কৃষক নই, বা বিশেষজ্ঞ নই, কেবল কাগজ পত্র পড়ে আর আমার কয়েক জন কৃষক বন্ধুর কথা শুনে তখন জেনে ছিলাম লাভ হলেও বিঘা প্রতি ভালো ফলন হলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তার পর তো সিঙ্গুরের বুক দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে, ২০১১ সালে বিধান সভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলেন তিনি। দিদি সোনার বাংলা করে দেবেন, কলকাতা কে লন্ডন বানিয়ে দেবেন। ত্রিফলা আলো বসানো হলো ও বাবা কিছু দিন পরেই খবর এলো কাটমানির খবর, চাষিদের জন্য এলো খারাপ খবর যে সার তারা ৪৫০ টাকায় কিনত সেটা হয়ে গেল ৯০০ টাকা। আর ফসল বিক্রি নেই, আলু বাইরের রাজ্যে যেত দিদি বন্ধ করে দিলেন। ধান বিক্রি নেই, বাইরের রাজ্যের বা বিদেশ থেকে চাল আসে তাই ধান বিক্রি কম। যাহোক এত দিন পরে আনন্দ বাজার পত্রিকাকে সত্য স্বীকার দেখে ভালো লাগলো। অনেক কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন দেনার বা ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে। এখবর ও মাঝে মাঝে পড়ি, ২০১১ আগে এতোটা খারাপ অবস্থা ছিল না। অমিত মিত্র কাগজ পত্র বা রিপোর্ট বলছে, বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, জি ডি পি তে। যেখানে একজন গ্রামের শ্রমিকের মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকাও নয়। সরকারের অধীনে বিভিন্ন কর্মী কম বেতনে চাকরি করেন। জানি না ওনার হিসেবে কি ভাবে রাজ্যের জি ডি পি দেশের থেকে ভালো হয়। তাহলে বুঝতে হবে বাংলার থেকে কম বেতনে চাকরি করে অন্য রাজ্যে মানুষ বা কেন্দ্রীয় কর্মীরা, তবে হ্যাঁ যে দেশে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করে ১৭৮ টাকা, সে খানে এই রকম অর্থ নীতিবিদের দরকার আছে। নিজের সব কিছু নিয়ে আয় এক লক্ষ টাকার উপরে, তার উপর কাটমানি, আর শ্রমিকদের মজুরি ১৭৮ টাকা। আমি থাকব রাজার হালে তোরা আমার প্রজা তোরা থাকবি না খেয়ে উপবাস করে। আমায় রাজা বলে সেলাম ঠুকবি, কারণ আমার কাগজ কলম বলছে, মাথা পিছু আয় বেড়েছে। সেখানে কৃষকদের ফসল নষ্ট হোক বিক্রি হোক আর না হোক, আমার হিসাবে তোদের আয় বেড়েছে। এটা তোকে মানতে হবে।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...