পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হয়ে প্রথম মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, যখন 2013 সালে সামনে এসে ছিল। সারদা চিটফাণ্ডের মাধ্যমে গরীব মানুষের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুঠ করে নেওয়া হয়েছে। কারা জড়িত না বড়ো বড়ো সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী দূর্ভাগ্য বশত তারা শাসক দলের। 2013 আগে পর্যন্ত আমি অন্তত গর্ব করে বলেছি, বিভিন্ন রাজ্যের নেতা মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু ক্ষেত্রে বড়ো সর কেলেঙ্কারি যার জন্য এক সময় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাজপেয়ী মন্ত্রী সভা ছেড়ে চলে এসেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, মন্ত্রীত্ব তার কাছে 40 টাকার হাওয়াই চটি, সেই নেত্রী অনেক জঙ্গী আন্দোলন করে এবং সিঙ্গুর থেকে টাটা কে তাড়িয়ে মিথ্যে বলে, 2011 সালে ক্ষমতায় এলেন আর 2013 সালে। ভারত তথা বিশ্বের কাছে, বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল বাঙালি নেতা মন্ত্রীরা চোর। কারণ এর আগে স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারের কোন নেতা মন্ত্রী চুরির দায়ে জেলে যায়নি। আমাদের বর্তমান শাসক দলের সাথে সেই সময় অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ঘুরে বেড়াতেন। মুম্বই এরও বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রী এই দলের কাজ কর্মে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের রাজ্যের টালিগঞ্জ অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তার মধ্যে একজন, আরেক অভিনেতা জেল খেটে এসেছেন, তার নাম নিতে চাই না। তার মুখের ভাষা ভালো নয়, বর্তমানে সিনেমা সিরিয়ালে কোন কাজ নেই, অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী এ ভাবে টাকা রোজগার করতে নাম লেখাছেন। আমি এখনো পর্যন্ত এদের টেলিভিশন চ্যানেলে কোন সিনেমা দিলে বা মুখ দেখালে বন্ধ করে দিই। কারণ এরা চোরের দল থেকে ভোটে নির্বাচিত, বাঙালির এত অধঃপতন আমি ভাবতে পারি না। আমি জানি এই বাঙালি জাতি এক সময় স্বাধীনতার জন্যে গোটা ভারত বর্ষ কে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এটাও এই বাঙালি জাতির মধ্যে অনেক বেইমান ছিল, যারা ব্রিটিশদের চর হিসেবে কাজ করে টাকা উপার্জন করত। আমার মনে হয় এখন তাদের বংশধর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে শাসন করছে। জনগণের কয়েক হাজার কোটি টাকা লুঠ করে বেমালুম বলে দিতে পারেন যা গেছে তা যাক, কত গরীবের চোখের জল বেশ কয়েক জন তো আত্মহত্যা করে ফেলেছেন। আবার এই টাকা ফেরত দিতে শ্যামল সেন কমিটি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বেশি করে সিগারেট খেতে বলা। শ্যামল সেন কমিটির চেক কয়েক জন পেল যাদের বেশি টাকা তারা বাদ, অনেকে চেক আর পেল না। তারপর একে একে সামনে আসতে থাকে আরও নানা চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, আরও কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা হজম করে ফেলেছে এরা। অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস, যারা টাকা তুলে দিল বা টাকা তুলতে সাহায্য করল তারা জেলে, আর যারা টাকা হজম করলে তারা জেলের বাইরে। চোরের উপর বাটপারি করা হয়েছে। যা হোক এর আগেও মিঠুন চক্রবর্তী তার বোধহয় হয়ে ছিল, তিনি তার নেওয়া পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন। এবার মানসিক শান্তি ফেরত পেতে আরেক জন সারদার টাকা ফেরত দেবেন, নাম নিচ্ছি না, উপরে ছবি দেওয়া আছে। আর এই ই ডি ও সি বি আই নামক সংস্থার তো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এরা আনন্দ পায় বাঙালির বিপর্যয় দেখলে। এদের কাছে টাকা ফেরত দিলে জানি না সাধারণ মানুষ সেই আর কোন দিন ফেরত পাবেন কি না! এরা তদন্ত করে না মানুষ কে নিয়ে মজা করে এই কিছুদিন আগে এক অফিসার কে ঘুষ নেওয়ার জন্য সরিয়ে দেওয়া হল। যা এই ঘুষ খোর দের ভরসা তেই আমাদের থাকতে হবে। তবুও তো বিলম্বে বোধদোয় হলো।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment