ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় বেড়িয়ে ছিল ।
পশ্চিম বঙ্গে ২০০৯ ও ২০১১ সালের মতো শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করতে হলে, নির্বাচন কমিশন কে এবং সশস্ত্র বাহিনী কে বিগত ঐ দু টি নির্বাচন যে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেটা করতে হবে। আমার দেখা ব্যবস্থা কোনো এজেন্ট কে ফোন নিয়ে বুথে ঢুকতে না দেওয়া, ভোটার দের প্রায় একশ ফুট দূরে লাইন করে দু চার জন করে প্রবেশ করতে দেওয়া এবং তাদের কাছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়া। অসমর্থ ব্যক্তি কে নিয়ে ভোট দিতে এলে একবারের বেশি প্রবেশ করতে না দেওয়া। ভোটার কার্ড বা পরিচয় পত্র দেখে ঢুকতে দেওয়া, পুলিশ প্রশাসন কে সত্যি কার পুলিশের কর্তব্য পালন করতে হবে। গত কয়েক টা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে পুলিশ তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে শাসকের হয়ে কাজ করছে, এই সুযোগে শাসক দলের লোক বা কর্মীদের ভোট লুট করতে সাহায্য করছে। ভোট কর্মী যদি নিয়ম কথা বলেছেন তবে তাকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে, এতো কিছু হচ্ছে, মানুষ এতো দাবি করেছেন, প্রশাসন একটা কথাও বলছে না। বলছেন না বলেল নয় সে ভাবে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে না, কিম্বা যারা এসব করছে তাদের বারণ ও করছে না বা বাধাও দিচ্ছে না ।প্রশাসন যদি কর্মী দের নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে জনগণ বা ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়? আর একটা কথা এই সরকার তো এতো উন্নয়ন করেছে, তার পরেও জনগণ কে ভয় কেন? বিশ্বাস করতে পারছে না কেন, এই কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে কী সাম ধর লিখেছেন বামফ্রন্ট আমলে তাদের নেতারা মোটা লাঠি নিয়ে বুথে বসে থাকত যে ভোট দেবে না বলত তার ভোট দিয়ে দিত, এবং এক একজন পাঁচ টা করে ভোট দিয়ে বামেদের জিততে সাহায্য করত। আমি ওনার কথা সত্যি বলে ধরে নিয়ে বলছি, এই কারণেই মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। সেই জনগণ কে কেন বিশ্বাস করতে পারছে না, এতো উন্নয়ন করেও মানুষ তথা ভোটার কে ভয় দেখাতে হচ্ছে। আমার আবেদন দয়া করে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক, আমি দেখেছি বিভিন্ন সমীক্ষা ও অন্যান্য সর্বত্র বলছে শাসক দল জিতবে এবং নিজেও বলছেন বিয়াল্লিশে টা পাবেন, তার পরেও এসব কেন? প্রশাসন শক্ত হন বাংলার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনুন, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিক যাকে খুশি তাকে দিক। একবার নির্বাচিত সরকার গঠন হয়ে গেল,
সাধারণ মানুষের আর কিছু করার থাকে না, এই একটা মাত্র অধিকার তাও যদি না পায় তাহলে ভোট করে কী লাভ কেবল কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট গ্রহণের নামে প্রহসন করার।
No comments:
Post a Comment