Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 3 April 2019

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশন ও ভোট কর্মী।

ছবি টি হোয়াটস এ্যাপে আমার পরিচিত এক জন পাঠিয়ে ছিল। ছবি টি যত দূর সম্ভব রাজ কুমার রায়ের। যিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ করতে গিয়েছিলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে, কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি। যারা ভোট নিতে যায় কী গাল ভর্তি নাম এই অফিসার ঐ অফিসার মাত্র ১২৫০ টাকার জন্য তারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সরকার কে সাহায্য করতে যায়। কারণ সরকারি কর্মী হিসাবে এটা তার কর্তব্য কিন্তু অপর দিকে যারা তাদের ঐ কাজে পাঠান তাদেরও দ্বায়িত্ব ঐ সব কর্মীদের জীবিত বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার। আমি গত ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকে দেখেছি ভোটের নামে প্রহসন অথচ এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কী বলছে যে বাম আমলে ভোট হয় না। আমি এলে সবাই ভোট দিতে পারবেন গণতন্ত্র রক্ষা করব। গণতন্ত্র রক্ষা করতে মানুষ খুন করতে হচ্ছে, হুমকি দিতে হচ্ছে, জনগণ ভোট দিতে গেলে তাকে মেরে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । ভোট নিতে যাওয়া কর্মী দের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যা গত ২০০৯ ও ২০১১ সালের ভোটে দেখা যায় নি। নির্বাচন কমিশন ও জড় ভরত বলে এক করে আর এক, কেন্দ্র সরকার সেও সমানে একে তাল দিয়ে যাচ্ছে। মনে পরে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দের বিক্ষোভের জেরে অধেশ কুমার নামে একজন বিহারী বাবু এসে ছিলেন, ভোটের লাইনে ভোটার কে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তিনি বলছিলেন ওসব কিছু হয়নি। কারণ বাঙালি জাতি মরলে কেন্দ্রের তথা হিন্দি ভাষিরা খুব আনন্দ পায়। সেই জন্যই ভারত ভাগের সময় বাংলা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, আর হিন্দু আর মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে মজা দেখেছে। আর একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন, নির্বাচনে যে সব জায়গায় সেটা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এদের একটুতে উস্কে দেওয়া যায়, সামান্য কিছু প্রতিশ্রুতি দিলেই এরা ঝাঁপিয়ে পড়ে, ভাই ভাই কে মারে ভোটের জন্য আর নেতা মন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে তাদের গায়ে কাঁটার আঁচর পরে না। ভোটে জেতার পর নেতারা টাকার পাহাড় করে, এদের ছিঁটে ফোঁটা ভাগ দেয় তাতেই এরা খুশি।ঐ সামান্য টাকা পাওয়ার জন্য যারা ভোট নিতে যায় বা ভোটার কে ভোট দিতে না দেওয়ার ব্যবস্থা নিজেরা বার বার ভোট দেওয়া সব করে। ঐ টাকা ওদের থাকে না মদ মাংস খেয়ে শেষ করে ফেলে। আমি উপরের ছবি টি ও লেখা টি পরে সত্যিই ভালো লাগলো। মানুষের মৃত্যু সত্যিই দুঃখের, আমি কার মৃত্যু হয় চাই না। এ রাজ্যে বিচার হয় না, প্রহসন হয়, আর নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা করবে না। তিনি সরকারি কর্মচারী জানেন পেনশন পেতে হবে, কিছু দিন আগে এক জন আই এ এস অফিসার ফাইনাল পেমেন্ট না পেয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং আত্মহত্যা করেছিলেন। একমাত্র সম্ভব রাজ্যে রাষ্ট্র পতি শাসন করে যদি ভোট হয়, তাও আমার সন্দেহ আছে, কারণ এই কেন্দ্র সরকার কিছু করবে না। করলে এত দিন সঠিক ভাবে সারদা নারদা রোজভ্যালীর ইত্যাদি সঠিক তদন্ত হতো অনেক জেলে যেত, কিন্তু বিজেপি সরকার তথা দল যাদের জেলে ভরবে বলে ছিল তাদের দলে ভরছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কিছু করবে না। তাই আমার মত নির্বাচন কমিশন যখন চায় না সুস্থ ভাবে ভোট হোক সকলে তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুক, এই পরিস্থিতি তে বরং নির্বাচন কমিশন কে সাহায্য করা উচিত। তোরা যা খুশি তাই কর আমি দেখে যাই। ভোট নিতে গিয়ে চুপ করে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ ।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...