Anulekhon.blogspot.com

Friday, 4 October 2024

একটি মৃত্যু নিয়ে তামাশা।

 অনেক শিশু শিক্ষার্থীর ছোট থেকেই স্বপ্ন থাকে ডাক্তার হবে, আমি দেখেছি যখন শিক্ষক শিক্ষিকা জিজ্ঞেস করে তুমি বড়ো হয়ে কী হতে চাও। অনেক শিক্ষার্থী বা পাঠরত শিশু বলে আমি বড়ো হয়ে ডাক্তার হব। এখন যা সিলেবাস এর ছিড়ি তাতে করে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করা দুঃসাধ্য যেসব ছেলে মেয়ে এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে চায় তারা অতিরিক্ত ভাবে দিল্লি বোর্ডের বই নিয়ে পড়া শোনা করে না হলে সর্ব ভারতীয় এই পরীক্ষায় পাশ করা কঠিন। কেবল এই ডাক্তারি পরীক্ষা নয় সর্ব ভারতীয় যে কোন পরীক্ষা এখন ঐ দিল্লি বোর্ড বা সি বি এস সি সিলেবাস থেকে প্রশ্ন হয়। আসলে ভারতের আঠাশ টা রাজ্য আছে এবং তাদের ভাষা গত অমিল আছে এবং সিলেবাসে তফাৎ থাকে সেসব ঐ পরীক্ষায় ধরা হয় না। যাহোক বাধ দিন ওসব কারণ ওসব নিয়ে লিখতে লাগলে শেষ হবে না। আজ পশ্চিমবঙ্গে একটি ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এর আগেও ঐ আর জি করে দু জন ঐ রকম ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে কিন্তু কোনো তদন্ত হয় নি। কারণ প্রশাসন হচ্ছে নির্লজ্জ বেহায়া তারা টাকা ছাড়া আর কিছু জানে না। তোলা তোল অর্থাৎ টাকা চাই সে যেভাবে হোক, কারণ না হলে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী এবং বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের উচ্চ মহলের চলবে না। পুলিশ এখন ব্রিটিশ ভারতের তথা উপ্যনিবেশিক শাসন কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষ কোন ঘটনা নিয়ে যাক আগে খোঁজ নিয়ে নেওয়া হচ্ছে তার রাজনৈতিক পরিচয় সে যদি শাসক দলের কোন নেতা ধরে যায় তাহলে কাজ না হলে হবে না। আর হয়রানি আর হুমকি সে তো আছেই কারণ আমার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে, গত দু হাজার কুড়ি সালে আমার একটা মোবাইল হারিয়ে ছিল আমি হরিপাল থানায় গিয়ে জি ডি করতে গিয়ে ছিলাম। তিন থেকে চার ঘন্টা বসিয়ে রেখে ছিল সামনেই দেখছিলাম বসে বসে গল্প হচ্ছে কত রকম কথা তার পর যখন দয়া হল তার আবার কত রকম ফিরিস্তি আর ধমক মনে হচ্ছিল আমি থানায় গিয়ে খুব ভুল করেছি, গিয়ে ছিলাম এই কারণেই যে মোবাইল টি সিম কার্ড সমেত হারিয়ে। যদিও সে মোবাইল আজ পর্যন্ত ফেরত পায় নি, কারণ তখনই বলে দেওয়া হয়েছিল পাবেন না। আরো আছে আমার এক আত্মীয়র টাকা অন লাইন চুরি হয়েছিল। 2021 সালে  কামারকুণ্ডু সাইবার থানায় ঘুরে ঘুরে তার জুতোর শুকতলা খয়ে গেছে শেষে বলেই দিয়েছে ও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। অথচ দেখুন কে কার সাথে কথা বলেছে সেই কণ্ঠ স্বর চিনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বা হচ্ছে। আপনি আমি যদি কিছু মিম বা নিজের মতামত প্রকাশ করি সাথে সাথে পুলিশ বাড়িতে চলে আসছে। আর সারা রাজ্যে দিনের পর দিন ঘটে যাওয়া খুন ধর্ষণের আসামি দের খুঁজে পাচ্ছে না। আসলে বড়ো বড়ো চোর ডাকাত মিথ্যাবাদী গুণ্ডা সব মিলে একটা দল তৈরি করেছে, এদের সাথে পুলিশ পুরোপুরি যুক্ত বর্তমান পুলিশের নীচুতলা থেকে উপর তলা সকলে এই চুরি ডাকাতির নির্দিষ্ট ভাগ পায় সে কারণেই এরা চোর ডাকাত দের পাহারা দেয়। এবং চোর ডাকাতের কথায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে। একদম দ্বিতীয় ইংরেজ শাসন চলছে আমরা বাঙালি জাতি আজ ধ্বংসের পথে আর এই বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দিল্লির দাদা থেকে কত গুলো অবাঙালি অফিসার। ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বাংলার শিক্ষা দীক্ষা এদের ঈর্ষার কারণ তাই বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করলে এবং তাদের বদনাম করতে পারলে সারা পৃথিবী জুড়ে বাঙালি জাতির মাথা হেঁট হবে। ব্রিটিশ আমলে এই রকম বাঙালি ছিল যারা ইংরেজের গোলামি করা কে বা ব্রিটিশ দের পা চাটা কে জীবনের ব্রত করে নিয়ে ছিল। এখন এই দিল্লির দ্বিতীয় ইংরেজ দের পা চাটছে বর্তমান সরকার এবং তার সাঙ্গ পাঙ্গরা আর কাটমানি চুরি চিটিংবাজি এসব তো আছেই তবে একটা তফাৎ আছে ব্রিটিশ আমলে কোন ভারতীয় সামান্য তম অপরাধ করলে তার শাস্তি হতো আর ইংরেজ তথা ইংল্যান্ডের মানুষ যারা এখানে থাকত তারা অপরাধ করলে ছাড়। এখনও ঠিক সেই রকম একটু মিলিয়ে দেখুন শাসক দলের কেউ অপরাধ করলে ছাড় পুলিশ পাহারা দিচ্ছে তবে অবশ্যই কোটি কোটি টাকা তুলে কালি ঘাটে ৭৫% পাঠাতে হবে। আর ঐ টাকার একটা অংশ বড়ো অফিসার দের পকেটে ঢুকবে। সেই কারণেই এখন আর কোনো অপরাধী শাস্তি হয় না। আর ধর্ষণ খুন ও তো শরীরের জ্বর জ্বালার মত কী আর করা যাবে। সেই কারণেই কামদুনি, মধ্যম গ্রাম, হাঁসখালি, পার্কস্ট্রীট, আর জি কর এবং এই আর জি করের ঘটনার দিন থেকে থেকে গোটা আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ আর খুনের বিচার নেই। অপরাধীদের শাস্তি নেই কারণ এখন সমাজ বিরোধী রা মিলে এই দল তৈরি করেছে। এখন নেতা মানে দেখবেন দশ বছর আগে যে ভাঙা সাইকেল চাপত আর টালির চালে থাকত সে চার চাকা কিনেছে আর চার তোলা বাড়িতে চাকর নকর কে নেই। পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে স্কুল আরও কত কি যার শেষ নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...