Anulekhon.blogspot.com

Friday, 26 July 2024

আবার বাংলা ভাগের প্রস্তাব সংসদে।


ভারতীয় সংসদে এই সংসদ জিরো আওয়ারে একটা প্রস্তাব তুলেছেন।বাংলা এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরি করা হোক, ওদিক আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসিত করে দেওয়া হোক। আমার কথা হচ্ছে বাংলা থেকে 42 জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তারা সংসদে কী করতে যান।এরা কি কেবল ভিডিও করতে এবং চু কিৎ কিৎ খেলতে যান।আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম একজন বিজেপির বিধায়ক একই কথা বলছেন। বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন ভাবে বাংলা ভাগের প্রস্তাব ওঠে সংসদে এটা কীভাবে হয়? এর আগে রাজু বিস্তা নামে এক সাংসদ এরকম প্রস্তাব তুলে ছিলেন। দেশ ভাগের সময়ে এরা ইংরেজের সাথে মিলে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে ছিলেন কারণ বাঙালি জাতি স্বাধীনতা আন্দোলনে বেশি অংশ গ্রহণ করে ছিলেন। বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আর তাদের মনবল ভাঙতে এবং বাঙালি জাতি আর কোন দিন যাতে এক হতে না পারে তার বাংলা কে ভেঙে বেশ কয়েকটি ভাগ করা হয়। আর বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই তথাকথিত হিন্দুস্থানের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। সে আন্দামান থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হয়। আর এখন কৌশলে তার শিক্ষা ব্যবস্থা কে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে আরও পিছিয়ে পড়ে একটা জাতি। আমার রাজ্যের শাসক বাধ্যতামূলক ভাবে এই দ্বিতীয় ইংরেজ শাসক কে মদত দিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই, সংসদে আছে কোন কথা নেই কারণ আগা পাছতলা দূর্নীতি তে ডুবে আছে। কেবল টাকা চাই টাকা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা লুঠে নাও তাতে বাংলা তথা বাঙালি উচ্ছন্নে যাক। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দাবি কি? বিহার এবং বাংলার বেশ কিছু জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে তারা বিহারে এসে উৎপাত করছে। তাদের জব্দ করার জন্য এই অঞ্চল টিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হোক। আমার পরিষ্কার কথা এদের একবার ভিটে ছাড়া করা হোক না হলে এরা বুঝতে পারবে না, উদ্বাস্তু হওয়ার কি জ্বালা! যারা সত্যিকারের পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ এবং নিজেকে বাঙালি বলে মনে করেন, দ্বিতীয় ব্রিটিশ বিজেপির দালাল নয় তারা দাবি তুলুন, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের যে জেলা গুলো ব্রিটিশ ভারতে বাংলার সাথে ছিল সেগুলো কে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর বাংলা পক্ষ নামে যে একটি সংগঠন আছে তারা দাবি তুলুন ব্রিটিশ ভারতে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা যে গুলো থেকে বাঙালি ও বাংলা ভাষা কে বিদায় জানান হয়েছে, সে গুলো আবার পশ্চিমবঙ্গ কে ফিরিয়ে দিতে হবে, সেখানে বাংলা ভাষা চালু করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক এসব করবে না তারা বিজেপি নামক দ্বিতীয় ইংরেজের পক্ষে কাজ করে। না হলে সংসদে প্রতিবাদ করত। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...