Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 17 July 2024

করের ( ট্যাক্স) ফাঁদে মধ্যবিত্ত।

 কেন্দ্র বলুন আর রাজ্য দুয়ে মিলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের উপর করের বোঝা চাপিয়ে যাচ্ছে। এটা এক ধরনের শোষণ। যেসব মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার সরকারি চাকরি করেন, সে স্কুল থেকে শুরু করে অফিসে, প্রত্যেকেই তাদের প্রফেশনাল ট্যাক্স দিতে হয় এ রাজ্যে যা সর্বোচ্চ 200 টাকা মাসে। এবার আছে সরাসরি ইনকাম ট্যাক্স আড়াই লক্ষ টাকার বেশি বছরে আয় এবং সব ছাড় নিয়ে যেটা পাঁচ লাখ টাকা তার পর ইনকাম ট্যাক্স 20% থেকে 30% হারে। হোম লোন সে তো একবার নিলে সারা জীবন শোধ করতে হয়। তাই অনেকেই এখন ঐ হোম লোন এড়িয়ে যায়। এর উপর আপনি বাজার থেকে যেটা ক্রয় করবেন তার উপর জিএসটি এমনকি খাদ্য দ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর উপর এখন GST এই GST আবার দুই সরকার কে দিতে হয়। এক CGST এবং SGST। এই GST অবশ্য সকল সাধারণ মানুষ কে দিতে হয়। কিন্তু মধ্যবিত্ত কে তার আয় থেকে আরো দুটো ট্যাক্স বেশি দিতে হয়। অর্থাৎ ইনকাম একটা ট্যাক্স তিন ভাবে আদায় করে নেয়। আরেকটা বড়ো বিষয় এখন কার দিল্লির দাদার সরকার ঠিক করে রেখেছে। মধ্যবিত্তের ট্যাক্স বা করে কোন ছাড় নেই কিন্তু কর্পোরেট সংস্থার ট্যাক্স না দিলেও চলে। তার উপর আছে কর্পোরেটে সংস্থা কে দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা সর্বোপরি ঋণ মুকুব হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব। আর মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত যদি একবার ঋণ নিয়েছে তাহলে তার ভিটে থেকে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ক্ষান্ত হয় না। কর্পোরেট কে ঋণ দিয়ে সেই ঋণের একটা অংশ ইলেট্রালার বণ্ডে চাঁদা নেওয়া এই হচ্ছে দুই সরকারের কাজ। জিনিস পত্রের দামে নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস উঠছে। কেবল জিনিস পত্রের দাম এছাড়া, গ্যাস, ইলেক্ট্রিক বিল, চিকিৎসা খরচ ডাক্তারের ফ্রিস সহ ওষুধের দাম এবং ওষুধের উপর GST ছাড় নেই। করের ভাড়ে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আজ নাজেহাল। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...