ছবি টি অন লাইন টি ভি নাইন বাংলা থেকে নেওয়া। বর্তমান শাসক দল ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে কেলেঙ্কারি বা লুটের খবর আসে সেটা ছিল। কলকাতা পৌরসভার ত্রিফলা আলো লাগানোর দূর্নীতি।আর তার পর সব থেকে বড় দুর্নীতি যেটা সেটা সামনে আসে 2013 সালে সারদা দূর্নীতি। এর পর একে একে রোজভ্যালি সহ আরো নানা চিটফাণ্ড দূর্নীতি। সব গুলোতেই একজন বা দুজন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছে, সারদা রোজভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা বা কর্ণধার এখনও জেলে। কুনাল ঘোষ কে রাজ্য পুলিশ ধরার পর তদন্ত যখন থেমে গেল তখন সুপ্রীম কোর্টে কে করে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আব্দুল মান্নান মহাশয় সি বি আই তদন্তের আদেশ নিয়ে আসে, সেই শুরু কুনাল ঘোষ পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ে বারবার চিৎকার করে বলেছেন সারদার সব থেকে বড় বেনিফিশিয়রি মুর্খমন্ত্রী কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কাছ পর্যন্ত তদন্ত অফিসাররা পৌঁছতে পারল না। তার পর যতটা সম্ভব 2016 সালে বি জে পি তার কলকাতার পার্টি অফিসে বড়ো স্ক্রীন লাগিয়ে দেখাল নারদা কেলেঙ্কারি, সংসদে আডবাণীর নেতৃত্বে এ্যাথিক্স কমিটি গঠন করা হল। সি বি আই কে তদন্তের ভার দেওয়া হল সে তো এখন আর কেউ মুখেও আনে না। উল্টো দেখলাম যিনি এই ঘুষ নেওয়া ভিডিও আপলোড করে ছিলেন তাকে সি বি আই বার বার ডাকল কিন্তু যারা ঘুষ নিল তারা বাদ। এর কয়েক জন শিক্ষক শিক্ষিকা পাশ করে চাকরি না পেয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন। মামলা আইনজীবী ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও তার সহকারী আইনজীবীরা তাদের সওয়াল জবাব এবং তথ্য প্রমাণ দেখে কলকাতা হাইকোর্ট সি বি আই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার
মুখোপাধ্যায়ের ফ্লাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হলো। কত টাকা রাতের অন্ধকারে সরিয়ে ফেলল তার ঠিক
নেই। এবার একে একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ দূর্নীতি সামনে
আসতে থাকল। যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেঊটে বেড়িয়ে
এলো। এগুলো সব হল কিন্তু এক একটা নির্বাচনের আগে,
কখনো লোকসভা কখনও বিধানসভা কখনো পঞ্চায়েত
ইত্যাদি নির্বাচন। এর পর চলে এল খাদ্য দূর্নীতি আরেকটা
মন্ত্রী ধরা পরল। ও এর মাঝে গোরু পাচার কয়লা পাচার
বালি পাচার, অনুব্রত মণ্ডল কন্যা সহ তিহার জেলে হাওয়া
খাচ্ছে। একটা বিষয় এই শাসক দল এগিয়ে দূর্নীতি করে
একেবারে পরিবার সহ, এই যেমন মানিক ভট্টাচার্য পরিবার
সহ জেলে আছে। পার্থ তার জামাতা না ভাগ্না কে নিয়ে জেলে আছে বালু না কালু সে জেলে এবং তার পরিবার যাবে বলে অপেক্ষা করছে। আর প্রতিটি নির্বাচন এলে সি বি আই এই নাটক মঞ্চস্থ করে। না হলে কত কষ্ট করে ই ডি কাকুর কণ্ঠ স্বর নিল আর তার পরেই ই ডির কন্ঠ বন্ধ হয়ে গেল। আর সন্দেশখালির এই শাহজাহান এর কেস দেখুন মার খেল ইডি কেন্দ্রীয় সরকার কোন ব্যবস্থা নিল না। যখনই এসব ঘটনা ঘটেছে তখনই দিদি আর মোদি গোপন বৈঠক করছে শেষ বৈঠক করেন রাজভবনে তার পর শাহজাহান গ্রেফতার আর দুজনেই চরম মিথ্যাবাদী কথা বলা মানেই মিথ্যা কথা বলা। দারুণ নাটক চলছে, সেটিং কোন পর্যায়ে গেছে তা জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment