Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 20 March 2024

আইন আদালত বরাবর টাকায় বিক্রি হয়ে এসেছে।


ছবি টি টিভি নাইন বাংলা থেকে নেওয়া হয়েছে। আজকের এ লেখাটির কারণ কোন নেতা কে ছোট করা নয়। তিনি ভালো কি মন্দ তিনি কি করেছেন এসব আলোচ্য বিষয় নয়। তবে একটা কথা এখানে বলি উনি ভীষণ সৎ কিন্তু বারবার ED বা CBI ডাকে উনি সৎ মানুষ তো এই কারণে যেতে চান না। আর বারবার হাইকোর্ট এবং সুপ্রীম কোর্টে দৌড়ে বেড়ান, আর কোর্ট কি সব কবচ মবচ দিয়ে দেয়, সত্যি সুপ্রীম কোর্টের জবাব নেই। কিন্তু এই রকম বিচার যদি সুপ্রীম কোর্টে সব মামলা পেত তাহলে কথা উঠত না। বর্তমানে ভারতের সুপ্রীম কোর্টে 58, 519 টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, সেগুলো তারিখ পর তারিখ পেয়ে যাচ্ছে অথচ এই ব্যক্তি যখন খুশি সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করছেন বিচারের জন্য সাথে সাথে রায়, এগুলো কি ধরনের রায় এখানে বোঝা যাচ্ছে টাকা কথা বলছে, অর্থাৎ টাকার জোরে রায় নিয়ে আসা হয়েছে একটা দূর্নীতি গ্রস্থ ব্যক্তি টাকার জোরে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এনাকে একটি তদন্ত কারি সংস্থা ডাকছে তদন্তে সাহায্য করতে বা অন্য কোনো কারণে কিন্তু উনি এত ভালো মানুষ এবং সৎ এবং ভালো নাগরিক তদন্তে সাহায্য না করে সোজা চলে যাচ্ছেন কোর্টে কোর্ট সাথে সাথে রায় দিচ্ছে, অথচ সাধারণ মানুষ এমন কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বনাম সরকারি কর্মীদের ডি এ মামলা সহ 58,519 টি মামলার আর বিচার বা রায় দান দিনের পর দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। দারুণ এই না হলে সুপ্রীম কোর্ট, বিচারপতি দের চরণে শত কোটি প্রণাম। কারণ একজন মানুষ এবং তিনি সৎ, জন প্রতিনিধি অথচ তিনি তদন্ত এড়িয়ে যেতে বারবার কোর্টে যাচ্ছেন, যাতে তদন্তে না যেতে হয় তার ব্যবস্থা করছেন। এর আবার পোশাকি নাম আছে 'রক্ষা কবচ।' সত্যিই আমরা কোন দেশে বাস করি এটা ভারত বর্ষ তো! 

Tuesday, 19 March 2024

আসলে CAA কি দরকার আছে?


 বর্তমান CAA হচ্ছে ভারত বর্ষের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। প্রতিটি স্বাধীন দেশের এই রকম নাগরিকত্ব পাওয়ার বা দেওয়ার জন্য আইন আছে। এটাও তাই, জণ্ম সূত্রে নাগরিক, অন্য কারণে অন্য দেশের কেউ এসে নির্দিষ্ট কয়েক বছর বসবাসের পর নাগরিকত্ব চাইতে পারে বা আবেদন করতে পারে। যারা নাগরিক নন তারা যে যে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন, এক ভোটাধিকার বা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। দুই খাদ্য সুরক্ষা এবং সরকারি চাকরি, অন্যান্য সুবিধা পান না। এক কথায় সমস্ত সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তাঁরা। এবার দেখুন এই সি এ এ নিয়ে যারা বলছেন আবেদন করবেন বিশেষ করে এই মতুয়া সমাজ এরা কি ভোটাধিকার, রেশন ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত আছেন এত দিন। আমি যতদূর জানি মোটেও না, তারা সব সুবিধা পান, তার পরেও বলছেন তারা নাকি নাগরিক নন। তাদের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আমার এটা বোধগম্য হচ্ছে না। এই মতুয়ারা আসলে কি চাইছে, একবার একটা জায়গা ছেড়ে এসে সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে এখন ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে চাইছে। এদের নেতা গুলো সত্যিই শিক্ষিত তো! নাকি কেবল নিজের আখের গুছতে সাধারণ মানুষ গুলো কে বিপদে ফেলতে চাইছে। নাগরিকত্ব দাও দাও করে। আমি বিষয়টা ঠিক বুঝতে পারছি না নাগরিক হওয়ার জন্য সকলকে আবেদন করতে হবে কেন? যারা অন্য দেশ থেকে এসে দীর্ঘ দিন বসবাস করছেন কিন্তু কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা নেন না, ভোটাধিকার নেই তারা আবেদন করবে। আইন এটা হওয়া উচিত না বাঙালি জাতি কে আবার একবার বে ঘর করে অবাঙালি কে অর্থাৎ এই বাংলা কে পূর্ব বিহার করা উদ্দেশ্য ।কারণ বি জে পি বাঙালি বিদ্বেষী দল। আর এখন বিহার উত্তর প্রদেশের জন বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা সামাল দিতে বাংলা দখল করতে হবে এটা একটা পরিকল্পনা যেমন আসামে করেছে 16 লক্ষ বাঙালি হিন্দু কে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে। 

Thursday, 7 March 2024

আজ দশ বছর ধরে এটা দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।


 ছবি টি অন লাইন টি ভি নাইন বাংলা থেকে নেওয়া। বর্তমান শাসক দল ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে কেলেঙ্কারি বা লুটের খবর আসে সেটা ছিল। কলকাতা পৌরসভার ত্রিফলা আলো লাগানোর দূর্নীতি।আর তার পর সব থেকে বড় দুর্নীতি যেটা সেটা সামনে আসে 2013 সালে সারদা দূর্নীতি। এর পর একে একে রোজভ্যালি সহ আরো নানা চিটফাণ্ড দূর্নীতি। সব গুলোতেই একজন বা দুজন তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হয়েছে, সারদা রোজভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা বা কর্ণধার এখনও জেলে। কুনাল ঘোষ কে রাজ্য পুলিশ ধরার পর তদন্ত যখন থেমে গেল তখন সুপ্রীম কোর্টে কে করে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আব্দুল মান্নান মহাশয় সি বি আই তদন্তের আদেশ নিয়ে আসে, সেই শুরু কুনাল ঘোষ পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়ে বারবার চিৎকার করে বলেছেন সারদার সব থেকে বড় বেনিফিশিয়রি মুর্খমন্ত্রী কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কাছ পর্যন্ত তদন্ত অফিসাররা পৌঁছতে পারল না। তার পর যতটা সম্ভব 2016 সালে বি জে পি তার কলকাতার পার্টি অফিসে বড়ো স্ক্রীন লাগিয়ে দেখাল নারদা কেলেঙ্কারি, সংসদে আডবাণীর নেতৃত্বে এ্যাথিক্স কমিটি গঠন করা হল। সি বি আই কে তদন্তের ভার দেওয়া হল সে তো এখন আর কেউ মুখেও আনে না। উল্টো দেখলাম যিনি এই ঘুষ নেওয়া ভিডিও আপলোড করে ছিলেন তাকে সি বি আই বার বার ডাকল কিন্তু যারা ঘুষ নিল তারা বাদ। এর কয়েক জন শিক্ষক শিক্ষিকা পাশ করে চাকরি না পেয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন। মামলা আইনজীবী ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও তার সহকারী আইনজীবীরা তাদের সওয়াল জবাব এবং তথ্য প্রমাণ দেখে কলকাতা হাইকোর্ট সি বি আই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার
 মুখোপাধ্যায়ের ফ্লাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হলো। কত টাকা রাতের অন্ধকারে সরিয়ে ফেলল তার ঠিক
 নেই। এবার একে একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ দূর্নীতি সামনে
 আসতে থাকল। যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেঊটে বেড়িয়ে
 এলো। এগুলো সব হল কিন্তু এক একটা নির্বাচনের আগে,
 কখনো লোকসভা কখনও বিধানসভা কখনো পঞ্চায়েত
 ইত্যাদি নির্বাচন। এর পর চলে এল খাদ্য দূর্নীতি আরেকটা
 মন্ত্রী ধরা পরল। ও এর মাঝে গোরু পাচার কয়লা পাচার
 বালি পাচার, অনুব্রত মণ্ডল কন্যা সহ তিহার জেলে হাওয়া
 খাচ্ছে। একটা বিষয় এই শাসক দল এগিয়ে দূর্নীতি করে
 একেবারে পরিবার সহ, এই যেমন মানিক ভট্টাচার্য পরিবার 
 সহ জেলে আছে। পার্থ  তার জামাতা না ভাগ্না কে নিয়ে জেলে আছে বালু না কালু সে জেলে এবং তার পরিবার যাবে বলে অপেক্ষা করছে। আর প্রতিটি নির্বাচন এলে সি বি আই এই নাটক মঞ্চস্থ করে। না হলে কত কষ্ট করে ই ডি কাকুর কণ্ঠ স্বর নিল আর তার পরেই ই ডির কন্ঠ বন্ধ হয়ে গেল। আর সন্দেশখালির এই শাহজাহান এর কেস দেখুন মার খেল ইডি কেন্দ্রীয় সরকার কোন ব্যবস্থা নিল না। যখনই এসব ঘটনা ঘটেছে তখনই দিদি আর মোদি গোপন বৈঠক করছে শেষ বৈঠক করেন রাজভবনে তার পর শাহজাহান গ্রেফতার আর দুজনেই চরম মিথ্যাবাদী কথা বলা মানেই মিথ্যা কথা বলা। দারুণ নাটক চলছে, সেটিং কোন পর্যায়ে গেছে তা জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...