Anulekhon.blogspot.com
Thursday, 28 December 2023
পাঁচ শ টাকা ভিক্ষা দিয়ে আয় হয় পাঁচ লক্ষ।
ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি একটি অন লাইন নিউজ চ্যানেলের ছবি। ( ছবি টি ফেসবুক থেকে নেওয়া কিন্তু আসলে টিভি নাইন বাংলার খবরের ছবি।) দেখছেন বাংলা তথা বাঙালির উন্নয়ন এরকম উন্নতি কোন রাজ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আট হাজারের উপর স্কুল বন্ধ কিন্তু দিনের পর দিন মদের দোকান বাড়ছে। কেবল মদের দোকান সাট্টা জুয়া এবং দৈনিক লটারি এই লটারি আবার দিনে একবার নয় তিন থেকে চার বার খেলা হয়। টিকিটের দাম একটা ছ টাকা কিন্তু এক সাথে ঐ সিরিজের ব্যপার আছে যত গুলো সিরিজের একই নম্বরের টিকিট আছে নিতে হবে, সব মিলিয়ে কম করে ষাট টাকা। এখানেই কামাল বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, লক্ষ্মী ভাণ্ডারের, মদ খাও মারা যাও স্বামী মারা গেলে স্ত্রী দু লক্ষ টাকা পাবে আবার বিধবা ভাতা এবং লক্ষী ভাণ্ডার সব পাবে। মদ আজ বাঙালির প্রতীক অলিতে গলিতে মদের মধু ভাণ্ড, ভোটের আগের দিন রাত থেকেই চলে মদ আর ভাগারের মাংসের ফোয়ার ভোট মিটে গিয়ে জিতলে আর পায় কে প্রায় প্রতি গ্রাম তথা বুথে মদ মাংসের ফোয়ারা ছোটে। বাঙালি জাতি কে আজ বাঁচিয়ে রেখেছে মদ কারণ মদ বিক্রি করে রাজ্য সরকারের আয় বেড়েছে। লেখা পড়া শিখলেই চাকরি চাইবে ওর থেকে মদ মোবাইল আর মাংস আর একটি "ম' আছে তবে সেটা সবার জন্য নয়। সেটা যে নেতা কাটমানি বেশি দিতে পারে তার জন্য। বাংলায় আজ শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বড়ো অভাব, নেই বললেই চলে কারণ সকলেই টাকার কাছে বশ মেনে নিয়েছে। শিক্ষাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক দিলেই বা বারো ক্লাসে উঠলেই মিলছে মোবাইল কেনার টাকা সেটা যে ছেলেদের কি কাজে লাগে অনেক বাবা মা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। কলেজে ভর্তি হল সেখানে কোন পঠন পাঠন হয় না। কিছু দিন পর মনে হচ্ছে কলেজের জায়গা গুলো আবাসন গড়ে তোলা হবে। কারণ প্রায় কলেজের সামনে একটা করে শাসক দলের পার্টি তথা ছাত্র পরিষদের অফিস আছে। সারা দিন রাত খোলা এবং কলেজের গেট গুলো খোলা সন্ধ্যার পর প্রতি দিন কলেজের ঘরে মদের আসর বসে জি এস তো সে তো গুণ্ডা পাঁচ ছেলের বাপ সে এবং শাসক দলের নেতা। ভাববেন না ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয় নি অবশ্যই ভর্তি করা হয়েছে টাকা নেওয়া সিস্টেম অন লাইন কার এ্যাকাউন্টে ঢোকে কেউ জানে না। প্রতি ছ মাস পর পর প্রতি ছাত্র পিছু টাকা আদায় করা হয়। ছ মাসের পর পরীক্ষা হয় দশ মাস পর আবার তার ফল আসে আরও দশ মাস পর অর্থাৎ তিন বছরের ছ সেমিস্টার শেষ করতে সময় লাগে ষাট মাসে অর্থাৎ পাঁচ বছরের তাও শেষ হয় না। লেখা পড়া উচ্ছন্নে যাক মদ বেঁচে থাক বাংলার যুবক কাজ বা চাকরি না পাক উত্তর প্রদেশের ছেলে আছে বিহারের শিক্ষিত যুবক আছে বাংলায় যে টুকু কাজ চাকরি হচ্ছে তাতে ওরাই নিয়োগ পায়। বাঙালি জাতি মদ মাংস খেয়ে ভোট দিয়ে জয়ী করে দিক, আমি কাটমানি ঘুষ আরও তোলাবাজি করে গলাবাজি করে চুরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হব। আমাকে ধরবে কে পুলিশ সেও তো আমার নিয়োগ করা ঐ রকম পুলিশ সে আমাদের পাহারা দেবে। কি বাঙালি হিসেবে ভালো লাগছে না, চুরি করে দিল্লির দাদার কাছে যাব তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিছু শতাংশ তাকে দিলেই সব ঠিক করে দেবে। ভালো থাকুক বাঙালি জাতি, আরও বেশি করে চুরি করুক সকল কে অশেষ ধন্যবাদ।
Wednesday, 27 December 2023
লক্ষীর ভাণ্ডারের কয়েকটি গুনাবলী ।
সকলেই বলছে এ রাজ্যে লক্ষীর ভাণ্ডার ভোট বাক্স ভড়িয়ে দিচ্ছে, তা নিজের ছেলে মেয়ে শিক্ষিত বেকার হলেও হোক লক্ষী ভাণ্ডার চাই। কারণ এর কত গুলো গুণ আছে, পাঁচ শ টাকা মাসে স্ত্রী কে দেওয়া হচ্ছে, আর স্বামী দের জন্য রয়েছে কুড়ি টাকা পাউচ মদ আর ভাগারের মাংস। স্বামী মদ খেয়ে মারা গেলেই, 1000 টাকা বিধবা ভাতা স্ত্রী পাবেন। সেই জন্যই বলেছেন যে আঠারো বছরের বিধবা কেও বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। আবার 2000 টাকা শ্মশান খরচ এবং সবশেষে দু লক্ষ টাকা এক কালীন অনুদান। এবার বলুন লক্ষীর ভাণ্ডারের এত গুণ এই জন্যেই স্ত্রী গণ কিছুতেই লক্ষীর আণ্ডার ছাড়তে রাজি নন। আর এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারের একটি বিষয় ভালো করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কের ভাতা অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের পর তিনি চার শ টাকা বেশি পাবেন। অর্থাৎ লক্ষীর ভাণ্ডারের থেকে একশ টাকা কম পারলে আরও কম দেওয়া বা না দিতে হলে ভালো কারণ লক্ষীর ভাণ্ডারের অনেক গুণ।
Tuesday, 26 December 2023
আরে ভাই দেবদূত নয় কর্পোরেটের দূত।
Screen shot নেওয়া ছবি, মোটা ভাইয়ের আনন্দ আর ধরে না, ছেলের ঋণ মুকুব হচ্ছে, ঋণ শোধ না করে পালানো সকলের ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে। কর্পোরেট বন্ধু আদানি আম্বানির বাবা থুরি ফেকু বাবার ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি জিনিস কর্পোরেটের কাছে জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিক্রি করতে দারুণ কায়দা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে সেই টাকায় কর্পোরেট সরকারি সংস্থা কিনে নিচ্ছে, কিছু দিন পর ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে। এই না হলে দেবদূত, দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা সে বলার মত নয়, সামান্য আয় অর্থাৎ আড়াই লক্ষ টাকা বছরে ইনকাম পর্যন্ত ছাড় তার পর উচ্চ হারে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না দিলে ফাইন সেটা কম নয়। কিন্তু এই কর্পোরেট সংস্থার ট্যাক্স ছাড় আছে, ঋণ মুকুব আছে, একে দেবদূত বলবে না তো কাকে বলবে। যে কোন অজুহাতে ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। জিনিস পত্র দাম আকাশ ছোঁয়া মধ্যবিত্ত এবং গরীব মানুষ গুলোর বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। দেবদূত ছাড়া এটা সম্ভব, দেশ রাজ্যে চোর ডাকাতের দল শাসন ক্ষমতা দখল করে আছে, নামেই তদন্ত চলছে চোর বহাল তবিয়তে গলা বাজি করে যাচ্ছে। দেবদূত সাধারণ মানুষ কে ধর্ম দিয়ে বোকা বানিয়ে রেখেছে এই না হলে দেবদূত।
Tuesday, 5 December 2023
কিছু চ্যানেল প:বঙ্গ সরকারি কর্মীদের রোজ DAদিচ্ছে ।
পশ্চিমবঙ্গরে কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং কিছু ইউ টিউব চ্যানেল সরকারি কর্মীদের প্রতি দিন ডি এ দিয়ে যাচ্ছে। এই সব খবরের শিরোনাম দেখে অনেকেই তাই ভাববেন। প্রতি দিন নিয়ম মেনে ডি নিয়ে খবর আছে। এমন কিছু ইউ টিউব চ্যানেল আছে, সেখানে বলা ডি এ ঘোষণা করছেন। আসলে যেমন মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ সরকার তেমন তার পেটোয়া মিডিয়াও আছে, সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য। এসব খবর যারা দেখছেন বা সব টা না পড়ে কেবল শিরোনাম পড়ে তারা তো সরাকারি কর্মীদের সমন্ধে খারাপ ভাবছেন, যে সরকার এত ডি এ দিচ্ছে তার পরেও এরা আন্দোলন করে যাচ্ছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গরে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ডি এ কেন দেওয়া হয় সেটা জানে না। তাদের ধারণা ডি এ দিলে কেবল সরকারি কর্মীদের লাভ, সেই টাকা যে বাজার অর্থনীতি তে কাজে আসে সে ধারনা নেই। কারণ মূল্য বৃদ্ধির টাকা এই ডি এ সেই টাকা সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে সরকার বাজারে যোগান দেন, আর এই টাকা না দিলে বাজার ধুঁকতে থাকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে, মজুরি কম হয়ে যায় অথচ জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া থাকে। যেটা আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ছোট এবং মাঝারি দোকান বা ব্যবসা আজ প্রায় বন্ধের মুখে কারণ বাজারে টাকার যোগান নেই। সর্ব ভারতীয় মূল সূচক অনুযায়ী ২০১৬ সালে যে জিনিসটার মূল্য ছিল ১০০ টাকা এখন সেটা ১৫৩ টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু সেই হারে মজুরি বৃদ্ধি হয় নি। আর এই কারণেই এ রাজ্যের শ্রমিক কুল অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে, এই রাজ্যের কাজের সুযোগ কমে গেছে, ছোট বড়ো কারখানা নেই, এই দেখলাম কোচবিহার থেকে উত্তর কাশির সুরঙ্গ কাটার কাজে গিয়ে সুরঙ্গে আটকে পরে ছিলেন এক শ্রমিক অনেকে চেষ্টার পর উদ্ধার হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, কি বললেন তিনি, যে বাংলায় কাজ নেই। কেবল কাজ নেই, কাজ করলেও মজুরি কম। যাহোক ওসব কথা যাক, সরকারের যিনি প্রধান তিনি বলছেন, ডি এ টা অপশনাল, তিনি ইচ্ছা করলে দেবেন না হলে দেবেন না। যে সব কর্মী ডি এ চাইবেন তারা রাজ্য সরকারের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্র সরকারের চাকরি নিয়ে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ এই রাজ্যের কর্মীদের দরকার নেই, কারণ তার ভাইয়েরা আছে যারা চুরি টা কম্পালসারি করে তুলেছে। ওনার সেই কর্মী দরকার যারা পাঁচ হাজার টাকা বেতন নিয়ে, চুরি তে সাহায্য করবেন। আর যে কর্মী চুরিতে সাহায্য করতে পারেন তার ডি এ লাগবে না তিনি তার বেতনের পাঁচ গুণ মাসে আয় করতে পারবে। যেমন বর্তমান পুলিশ এবং সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া আমলা বি ডি ও, এবং কিছু বড় বড় আমলা না হলে অবসর গ্রহণের পরও তাদের মেয়াদ বাড়িয়ে বা উপদেষ্টা হিসেবে রেখে দেন দু লক্ষ বা তিন লক্ষ টাকা মাসিক বেতনে। আর যত সরকারি প্রকল্প, শ্রী সাথি ভাণ্ডার তত ভাইদের ইনকাম, সরকারি কর্মীদের দরকার নেই আরেকটা কারণে প্রতি বছর ঘটা করে দুয়ারে সরকার আছে, আপনার আমার ট্যাক্স এর টাকায় মচ্ছব হয়। যদি মণ্ডপ ( প্যাণ্ডেল) এবং টিফিন আর অন্যান্য খরচ মিলে ৫০,০০০ খরচ করে বিল হবে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার। এর ৭৫% টাকা যাবে কালি ঘাটে আর ২৫% ভাই বোনেরা নেবে। আর ওখানে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, আরও যে সব তথ্য দেবেন সে গুলো নিয়ে আপনার নামে ব্যাঙ্কে এ্যাকাউন্ট খোলা হবে, বা এ পি এ অর্থাৎ সি এএ প্রথম ধাপ করে নেওয়া হবে। দারুণ ব্যবস্থা এই কারণেই বলে দিচ্ছে সরকারি কর্মীদের না পোষালে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে। কারণ এই দুয়ারে সরকার আছে। আর এই রকম কিছু পা চাটা সাংবাদিক ডি এ খবর করে যাচ্ছে। আরেকটা খবর কি ডি এ নিয়ে মামলা ওটা হচ্ছে পঞ্চম বেতন কমিশনের সময় কালীন বকেয়া ডি এ এর মামলা আর এখন ২০১৬ থেকে লাগু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ডি এ প্রায় তুলে দেওয়া হয়েছে, এই সাংবাদিক কে আরেকটা কথা বলি এই সরকার অন্য রাজ্যে থাকা পশ্চিমবঙ্গরে সরকারি কর্মীদের 53% ডি এ দেন। একটাই সরকার দু রকম নিয়ম, সেই কারণেই বলছি, আসলে চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী অশিক্ষিত যদি ক্ষমতা দখল করেছে, সেই কারণেই আজ বাঙালির এই অবস্থা। দেখবেন আরেকটা কথা প্রায় বলেন বাম আমলের ঋণ শোধ করতে হচ্ছে, মানুষ এত অশিক্ষিত যে ঐ কথাটা বিশ্বাস করে নিচ্ছে, আসলে ১৯৪৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত বামেরা যাবার আগে পর্যন্ত ঋণ ছিল প্রায় ১.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা আর এই বারো বছরে ঋণ সেই ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা। আসলে মিথ্যা বলে বলে অভ্যস্ত প্রতি মুহূর্তে মিথ্যা বলে যাচ্ছে। মানুষ এই মিথ্যাচার মেনেও নিচ্ছে। নিজেরা মাসে পাঁচশ টাকা নিচ্ছে আর চোর গুলো মাসে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...