Anulekhon.blogspot.com

Monday, 4 October 2021

বাঙালি জাতির মধ্যে শত বিভাজন সে কারণেই তারা বেশি নির্যাতনের শিকার।

 বাংলায় থেকে বাংলায় কথা বলা মানে বাঙালি নয়। আর এই সব অবাঙালির দল বাংলার ইতিহাস সংস্কৃতি কিছুই জানে না। এরা কেবল পা চাটতে জানে। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে এর কোন পূর্ব পুরুষ ইংরেজের পা চাটার জন্য বাংলায় এসেছিল। এই সব লিখছি কেন, এই যে ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি টি দেখুন।


দেখতে পাচ্ছেন কি বলছে, ভারত বর্ষ সম্পর্কেই এর কোন ধারনা নেই আজ যে স্বাধীন ভারতে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বলছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ভূমি বাংলা। ইংরেজের চটি চাটা বিহারি বা উত্তর প্রদেশের মানুষ গুলো জানবে না। এরা কেবল পা চাটতে জানে, পা চেটে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া এই এদের ধর্ম। এটাও ঠিক এরা জানে না তার জন্য কিছু টা হলেও আমরা দায়ি। এদের কে এখানে এদের কে স্থান করে দিয়ে। আজ কোন বাঙালি বিহারে বা অন্য কোন রাজ্যে যাক দেখবেন কীভাবে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশি দিনের কথা না, কয়েক জন যুবক বিহারের রেলের চাকরির পরীক্ষা দিতে পাটনা গিয়ে ছিল, তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় নি। ওখানের অটো চালকদের দল পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায়নি। তারা পরের ট্রেন ধরে বাড়ি চলে এসেছে, আর এখানে সরকার ওদের ডেকে নিয়ে এসে চাকরি দিচ্ছে, কেবল বিদ্যুৎ বিভাগে কত জন চাকরি করে জানলে অবাক হয়ে যাবেন। মেডিক্যালে তো আছেই, বাংলার ছেলেরা যেখানে যায় সেখান থেকেই বিতাড়িত। বাঙালি জাতির একটা গুন নিজের জায়গা ছেড়ে অপর কে জায়গা করে দেওয়া। কলকাতা থেকে এখন গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে এরা ছড়িয়ে পড়েছে, সিঙ্গুর দূর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ের পাশে হলদিরাম নামক এক কারখানা কীভাবে চাষের জমি আত্মসাৎ করছে জানেন না। বললেই বলছে নেতা মন্ত্রী দের টাকা দিয়ে ব্যবসা করছি আমার কি করবি করে নে। বাদ দিন কি লিখতে গিয়ে কি লিখছি আসলে চার পাশে এত ঘটনা একটি আরেকটার সাথে মিলে যায় সেই কারণেই এসব চলে আসে।

উপরের ঐ অপদার্থ টি জানে না, বাংলা ভাষা আজ বিশ্বের সপ্তম এবং মাতৃভাষা হিসেবে পঞ্চম স্থানে আছে। বিশ্বের ২৬ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার ৪৮০ জন এই ভাষায় কথা বলে। আমার এই মাতৃভাষার জন্য ওপার বাংলার কয়েক জন তরতাজা যুবক নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। আর সেই অমর শহীদ দের স্মরণে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আপামর বাঙালি এই দিনটি তে গেয়ে ওঠেন "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি /আমি কি ভুলিতে পারি ।" বাঙালি জাগো এক হও না হলে এই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদ বাঙালি কে বাঁঁচাতে দেবে না। দেখলে না কিছু দিন আগে আসামে কি ঘটল? বাঙালি জাতি টা কে ধ্বংস করতে ইংরেজরা সচেষ্ট ছিল, কারণ তারা জানত ভারতের এই বাঙালি জাতি যদি এক হতে পারে তাহলে তাদের তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর স্বাধীনতার পর হিন্দি সাম্রাজ্য বাদের দালাল গুলো জানে বাঙালি স্বাধীন চেতা মানুষ এদের কিছুতেই বাড়তে দিলে হবে না। পরিবার পরিকল্পনা কেবল বাঙালির জন্য এই বিহার উত্তর প্রদেশের বা হিন্দি বলয়ের মানুষ ছারপোকার মত বংশ বিস্তার করে চলেছে। এদের রাজ্যে এদের যখন স্থান সংকুলান হচ্ছে না, চলে আসছে বাংলায় এবং বাঙালি কে সরিয়ে বাংলাকে আরেকটা বিহার করার জন্য। এতে মদত দিচ্ছে বর্তমান শাসক দল। বাঙালি যত দিন নিজের মধ্যে বিভাজন দূর না করবে ততদিন এই চলেই যাবে। বাঙালি জাতির মধ্যে শত বিভাজন হিন্দু মুসলমান তো ছিলই, তার সাথে ছিল মুচি মেথর চণ্ডাল নিচু জাত আর স্বাধীনতার পর বেশ কৌশলে হিন্দি বলয়ের কংগ্রেস নেতারা এবং এখান কার উচ্চ শিক্ষিত মানুষ এটা করে ছিলেন ঘটি বাঙাল। কিছুতেই বাঙালি জাতিকে এক থাকতে দেওয়া যাবে না। সেই পরিকল্পনায় তারা সফল এখনও সেটাই চলছে, ঐ যে আসামে বাঙালি কে গুলি করে হত্যা করে অসভ্য বর্বরের দল তার মুখে লাথি মারছে। যা দেখে অনেকেই বলছেন ও তো মুসলমান, এটা ভুলে যেতে হবে। বাঙালি জাতিকে এক হতে হবে। আবার এটাও ঠিক মুসলিম দের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা এত বেশি তাদের পাড়া বা মহল্লায় গেলে শুনতে হবে বাঙালি এসেছে, অর্থাৎ নিজে বাংলায় কথা বলছে বাংলায় জণ্ম তবুও সে বাঙালি নয় সে মুসলমান আর হিন্দুরা বাঙালি। এটাও একটা বিভাজন, হয়ত বা দেখা এদের কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিল, উচ্চবর্ণে অত্যাচারে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন ।বাঙালির এই ভেদাভেদ আজ এই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদী দের সাহায্য করছে, এবং এরা এসব বলার সাহস পাচ্ছে। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ভাষা শহীদদের অপমান করে চলেছে। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, আর রুখে দাঁড়াতে হলে বাঙালি জাতি কে এক হতে হবে। ও হিন্দু ও মুসলমান ও মুচি ও মেথর ও বৈষ্ণব ও বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ও বাঙাল ও ঘটি এসব ভুলে যতখন না বাঙালি জাতি এক হতে পারবে ততখন এদের হাত থেকে মুক্তি নেই। নবাব আলিবর্দি যেমন বাংলা থেকে বর্গী দের তাড়িয়ে ছিলেন সেই ভাবে এদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...