Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 14 October 2021

কোজাগরী লক্ষী পুজোর মন্ত্র ও নিয়ম ।

আগেই বলে রাখি আমি পণ্ডিত নয় তবে আমার লেখা এই মন্ত্র গুলো কোন না বই এর সাথে কিছু টা হলেও মিলবে। কোজাগরী লক্ষী পুজা অর্থাৎ দুর্গা পুজা পর যে পুর্ণিমা আসে সেই পুর্ণিমায় সন্ধ্যা বেলায় শুরু করতে হয। এখন বাংলার প্রায় ঘরে ঘরে এই পুজা হয়। ঘটে, পটে, বিভিন্ন ভাবে মানুষ এই পুজার আয়োজন করে নিজের বাড়িতে এছাড়াও যে সব স্থানে দুর্গা পুজা আসে সেখানে এই পুজা হয়ে থাকে। পুজার মন্ত্র সব একই কেবল যেখানে যেখানে ঘটে পটে বা অন্য কোনো প্রতীক ব্যবহার করা হয় সেখানে, অর্থাৎ যেখানে প্রতিমা বা মূর্তি নেই সেখানে, প্রাণ প্রতিষ্ঠা, চক্ষু দান, হবে না। তা ছাড়া পুজার সব গুলো করতে হবে। এই পুজার একটি অঙ্গ অন্ন ভোগ নিবেদন করতে হয়। আর দুবার সংকল্প করতে হয়।
এই পুজোতে ঢাক বাজাতে নেই, কেবল আরতির সময়ে এবং পঞ্চ দেবতার পূজোর সময় ঘন্টা বাজাতে হয়। এখানে সব মন্ত্র সামবেদীয়। অর্থাৎ সুরে বলতে হবে। 
এবার পুজার মন্ত্র অর্থাৎ কী কী করতে হবে। 
১)আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) নারায়ণের ধ্যান ও পুজো। ৪)গনেশর ধ্যান ও পুজো।৫) আরও কয়েকটি দেবতার পূজো সূর্য অর্ঘ ও প্রণাম ৬) স্বত্তি বাচন ৭) স্বত্তি সূক্ত ৮) পুরোহিত বরণ । ৯) সাক্ষ্য মন্ত্র ১০) সংকল্প ।১১)সংকল্প সূক্ত ১২) পঞ্চগব্য শোধন  ১৩)অধিবাসের স্বত্তি বাচন ও স্বত্তি সূক্ত ১৪))অধিবাস  ১৫) সাক্ষ মন্ত্র ১৬) সংকল্প ১৭) সংকল্প সূক্ত ১৮) ) সামান্য অর্ঘ স্থাপন ১৯ ) বিঘ্ন অপসারণ ২০) দ্বার পুজো ২১) মাসভক্ত বলি ২২) আসন শুদ্ধি ২৩) কর শুদ্ধি ২৪) পুষ্প শুদ্ধি ২৫)) সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি ২৬) প্রানায়াম ২৭) মাতৃকা ন্যাস ২৮) অন্তর মাতৃকা ন্যাস ২৯).বাহ্য মাতৃকা ন্যাস ৩০) সংহার মাতৃকা ন্যাস ৩১) পীঠ ন্যাস ৩২) করন্যাস ৩৩) অঙ্গ ন্যাস ৩৪)বীজ ন্যাস ৩৫) ব্যপক ন্যাস ৩৬)  ধ্যান, ৩৭) মানস পুজা ৩৮) বিশেষ অর্ঘ স্থাপন, ৩৯) পীঠ পুজা ৪০) ঘট স্থাপন ৪১)কাণ্ড রোপন ৪২) সূত্র বেষ্ঠণ ৪৩) বেদি শোধন ৪৪) ধ্যান করে আহ্বান ৪৫) মুর্তি হলে প্রান প্রতিষ্ঠা ৪৬) মূর্তি হলে চক্ষু দান ৪৭) পঞ্চ দেবতার পূজা। ৪৮ ) ধ্যান করে প্রধান পূজো। ৪৯) পুষ্পাঞ্জলী ও প্রণাম ৫০) আরতি ৫১) হোম
পরের দিন। ১) আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) স্বত্তি বাচন ৪) স্বত্তি সূক্ত ৫) স্বাক্ষ মন্ত্র ৬) সংকল্প ৭) সংকল্প সূক্ত ৮) সামান্য অর্ঘ স্থাপন ৯) বিঘ্ন অপসারণ ১০) দ্বার পুজো ১১) মাসভক্ত বলি ১৩) আসন শুদ্ধি ১৪) পুষ্প শুদ্ধি ১৫) সংক্ষিপ্ত ভুত শুদ্ধি ১৬) প্রানায়াম ১৭) কর ন্যাস ১৮) অঙ্গ ন্যাস ১৯) বীজ ন্যাস ২০).বর্ণ ন্যাস ২১) ব্যাপক ন্যাস ২২) ঋষ্যাদি ন্যাস ২৩) ধ্যান ২৪) মানস পূজা ২৫) পীঠ পুজা ২৬) ধ্যান করে আহ্বান, ২৭) পঞ্চ দেবতার পূজো । ২৮)ধ্যান করে প্রধান পূজো ও দধিকর্মা নিবেদন। ২৯) পুষ্পাঞ্জলী ও প্রণাম ৩০) মন্ত্রে বিসর্জন ও সূত্র কর্তণ। ৩১) শান্তি মন্ত্র ও জল দেওয়া। অনেকেই স্তোত্র কবজ পাঠ করেন বা কেউ কেউ আগের দিন রাতে এই গুলো করেন আবার অনেকেই পাঁচালি পাঠ করেন।
প্রথম দিনের পুজো :-
১) আচমন :- ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ( ডান হাতের তালুতে মাস কলাই ডুবতে পারে এরকম জল নিয়ে পান করতে হবে তিন বার) 
২) বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ তদ্বো বিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দীবীব চক্ষুরতাতম । ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা গতহোপি বা যৎস্মরেৎ পুণ্ডরি কাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যন্তর সূচী। ওঁ সর্ব মঙ্গল্য মঙ্গলং বরেদং বরণ্যং শুভম । নারায়ণং নমস্কৃতম সর্ব কর্ম কারয়েত । শঙ্খ চক্র ধরং দ্বিভুজং, প্রীত বসনম। প্রারম্ভে সর্ব কর্মনং বিপ্র পুণ্ডরিকং স্মরেদ্ধরিম । মাধব মাধব বাচি, মাধব মাধব হৃদি স্মরণতি সাধ্ব। সর্ব কার্যেসু মাধবম, ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম ওঁ শ্রী মাধবম ।
৩) নারায়ণের ধ্যান ও পুজো :- ওঁ ধেয় সদা সবৃত মণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরজিযাসন সন্নিবেষ্ঠ। কেয়ূরবান কণক কুণ্ডল বান কীরিটী হারি হিরণ্ময় বপু  ধৃত শঙ্খ চক্র। পঞ্চ উপাচার :গন্ধ, এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ । পুষ্প :-এতৎ পুষ্পম ওঁ নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ । ধূপ :- এষো ধূপ নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ । দীপ:- এষো দীপ নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ। নৈবেদ্য :- এতৎ নৈবেদ্য ওঁ নারায়ণ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ ।
৪) গনেশর ধ্যান ও পূজো।:- ধ্যান :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদনং লম্বোদরং । প্রসন্দম মদ গন্ধ লুব্ধ মধূপ ব্যলল গণ্ডোস্থলম ।দন্তা ঘাত বিদারিতারি রুধৈরৈ সিন্দুর শোভা করম ।বন্দে শৈল্য সূতা সুতং গনপতিম সিদ্ধি প্রদম কামদম ।
পুজা :- নারায়ণ পুজোর মত কেবল ওঁ গাং গনেশায় নমঃ বলতে হবে ।
৫) আরও কয়েকটি দেবতা ও সূর্য অর্ঘ ও সূর্য প্রণাম : - এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আদিত্যাদি নবগ্রহভ্য নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশদিকপালভ্য নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্রী গুরুভে নমঃ ।
সূর্যার্ঘ্য :- ওঁ নম বিবস্বতে ব্রাহ্মণ ভাস্বতে বিষ্ণু তেজসে জগৎ সবিত্রে সূচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে । ইদম অর্ঘ্যং শ্রী সূর্যায় নমঃ।
সূর্য প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুম সংকাশং কাশ্যপেয় মহাদ্যুতিম। ধন্তারিং সর্ব পাপঘ্ন প্রণোতোস্মি দিবাকরম ।
৬ ) স্বত্তি বাচন :-  ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্মানি। ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তো ব্রুবন্তু, ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তো ব্রুবন্তু, ওঁ ভবন্তো ব্রুবন্তু। ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ।ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্ম্মানি ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ভবন্তো ব্রুবন্তু ।ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি । ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্মানি ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তো ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধতাম ।ওঁ ঋদ্ধতাম । ওঁ ঋদ্ধতাম ।
৭) স্বত্তি সূক্ত :- ( আপত চাল ছড়িয়ে দিতে দিতে) ওঁ সোমং রাজনং বরুণমাবার অগ্নি ভামহে। আদিত্যং বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মণাঞ্চ বৃহস্পতিম। স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা। স্বত্তি ন পুষ্যা বিশ্ববেদা। স্বত্তি নর্ত্রক্ষো অরিষ্ঠনমি । ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ।
৮) পুরোহিত বরণ বা বকলমা :- যদি যজমানের পুজো হয় তবে এটি করতে হবে অনেকেই করেন না। যজমান কে পূর্ব মুখে বসিয়ে নিজে উত্তর মুখে বসে নিতে হবে। এবার যজমান কে আচমন, বিষ্ণুস্মরণ, ( শুদ্র হলে, ওঁ বাদ দিয়ে এবং তদ্বো বিষ্ণু পরম পদং এই অংশ বাদ দিয়ে কেবল পবিত্র অপবিত্র বা) এর পর এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নারায়ণায় শ্রী বিষ্ণবে নমঃ এই ভাবে ওঁ আদিত্যাদি নব গ্রহায় নমঃ, ইন্দ্রাদি দশদিক পালেভ্য নমঃ । গুরুভ্যে নমঃ, গ্রাম্য দেবদেবী গনভ্য নমঃ ।কুল দেবদেবী গনভ্য নমঃ ।বাসতু পুরুষায় নমঃ । এবার যজমান বস্ত্র আসন অঙ্গুরি যজ্ঞ উপবীত একটি পাত্রে নিয়ে ব্রাহ্মণ কে দিয়ে বলবেন। এতানি আসনাঙ্গুরি বস্ত্র যজ্ঞ উপবীতানি পূজক ব্রাহ্মণায় নমঃ । ব্রাহ্মণ ওঁ স্বত্তি বলে নেবেন এবার ধান দূর্বা দিয়ে ব্রাহ্মণের দক্ষিণ জানু পর্শ্ব করে বলবেন, সাধুভান্তাতাম। ব্রাহ্মণ বলবেন সাধ্যমাসে। যজমান বলবেন অর্চ্চয়াসম। ব্রাহ্মণ বলবেন অর্চ্চায়। যজমান বলবেন :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল পক্ষে কন্যারাশিস্থে ভাস্করে ( কার্তিক মাসের হলে তুলারাশিস্থে বলতে হবে।) নিজের গোত্র নাম অমুক দাস্যস সর্ব সিদ্ধি কামনার্থায় অমুক গোত্র) (ব্রাহ্মণের গোত্র) অমুক দেবশর্ম (ব্রাহ্মণের নাম) কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্ম করণায় মহং বৃণে। ব্রাহ্মণ :- বৃহস্পতিম । যজমান :- যথাবিহিত পূজক কর্ম কুরু। পুরোহিত :- যথা জ্ঞান করবাণি। 
  ৯)) সাক্ষ্য মন্ত্র :-  ওঁ সোমং যমং কালং সন্ধ্যা ভুতানহক্ষপা, পবন দিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা। ব্রাহ্মণ শাসন মাস্তায় কল্পধিহম । 
১০ ) সংকল্প :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ পক্ষে কন্যারাশিস্থে ভাস্করে ( কার্তিক মাসের হলে তুলারাশিস্থে হবে) পৌন্যমাস্যতিথৌ অমুক গোত্র অমুক দেবশর্ম ( যজমানের হলে তাদের গোত্র ও বাড়িতে যত জন আছেন প্রতি জনের নাম শুদ্র হলে পরুষ হবে দাস আর নারী হবে দাসী) সর্ব সিদ্ধি কামনার্থায় কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্ম্মানি করিষ্যে । ( পরের ক্ষেত্রে ' করিষ্যামি বলতে হবে) 
১১ ) সংকল্প সূক্ত :- সামবেদীয় :- ওঁ দেব বো দ্রবি নোদা পূর্ণাং বিবষ্ঠাসিচম ।উদ্বা সিঞ্চধ্বমূপ বা পৃণধ্ব মাদিদ্বো দেব ওহতে ।ওঁ সংকল্পিতার্থস সিদ্ধিরস্তু ।ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু ।
১২) পঞ্চ গব্য শোধন :- এই কাজে আলাদা আলাদা মন্ত্র আছে তবে এক সাথে মিশিয়ে গায়ত্রী পাঠ করে দিলেও পঞ্চগব্য শোধন হয়। 
১৩) অধিবাসের স্বত্তি বাচন :- ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস কর্ম্মানি। ওঁ  পূণ্যাহম ভবন্তোহধিব্রবন্ত । ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তোহধিব্রবন্ত ।ওঁ পূণ্যাহম ভবন্তোহধিব্রবন্ত । ওঁ পূণ্যাহম ।ওঁ পূণ্যাহম ।ওঁ পূণ্যাহম ।
ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস কর্ম্মানি। ওঁ স্বত্তি ভবন্তোহধিব্রবন্ত ।ওঁ স্বত্তি ভবন্তোহধিব্রবন্ত ।ওঁ স্বত্তি ভবন্তোহধিব্রবন্ত । ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ।
ওঁ কর্ত্তব্য হোস্মিন গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক কোজাগরী লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস কর্ম্মানি। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তোহধিব্রবন্ত ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তোহধিব্রবন্ত । ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তোহধিব্রবন্ত । ওঁ ঋদ্ধতাম । ওঁ ঋদ্ধতাম ।ওঁ ঋদ্ধতাম ।
 স্বত্তি সূক্ত :- ( আলো চাল ছড়াতে ছড়াতে) ওঁ সোমং রাজনং বরুণমাঅগ্নিবার ভামহে ।আদিত্যং বিষ্ণু সূর্যং ব্রহ্মণাঞ্চ বৃহস্পতিম ।ওঁ স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা ।ওঁ স্বত্তি ন বৃহস্পতির দ ধাতু। ওঁ স্বত্তি নর্ত্রক্ষো অরিষ্ঠনমি ।ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ওঁ স্বত্তি ।
১৪) অধিবাস :- এই অধিবাস অনেক বড় সংক্ষিপ্ত করতে চাইলে দু ভাবে করা যায়। ঘন্টা ধ্বনি করতে করতে, গঙ্গা মাটি নিয়ে, অনেন মহ্যা অস্যা শ্রীং লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস মস্তু। এভাবে অনয়া শিলা, অনেন দীপ, ইত্যাদি। আর একেবারে সংক্ষিপ্ত করতে হলে " অনেন প্রশস্ত পাত্রেন অস্যা শ্রীং লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস মস্তু। এবার দূর্বা বাঁধা হলুদ সুঁতো নিয়ে, অনেন মঙ্গল সূত্রেন অস্য শ্রীং লক্ষীদেব্যা শুভ অধিবাস মস্তু। দেবীর বাম হাতে বেঁধে দিতে হবে আর মূর্তি না হলে রেখে দিতে হবে ঘট বসানো হলে ঘটের গলায় বেঁধে দিতে হবে। সূত্র বন্ধনের সম্পূর্ন মন্ত্র :- সূত্রমাং দ্যামোনে হসং পৃথিবীং সুশর্মান মদিতিং সুপ্রনীতিম ।দৈবাং নাবাং সরিত্রামনাগসম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে। ব্রাহ্মণ বা পূজক তিন বার এই মন্ত্রে পুষ্পাঞ্জলী দেবেন। এষো সচন্দ পুষ্পাঞ্জলী ওঁ শ্রীং কোজাগরী লক্ষী দেব্যৈ নমঃ।
১৫) সাক্ষ্য মন্ত্র :- ওঁ সোমং যমং কালং সন্ধ্যা ভুতানহক্ষপা পবন দিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা ।ব্রাহ্মণ শাসন মাস্তায় কল্পধিহম । 
১৬) সংকল্প :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল পক্ষে কন্যারাশিস্থে ভাস্করে ( কার্তিক মাসের হলে তুলারাশিস্থে হবে) পৌন্যমাস্যতিথৌ অমুক গোত্র অমুক দেবশর্ম ( যজমানের  গোত্র ও শুদ্রদের হলে দাস্যস বা মহিলা হলে দাসীস্য বলতে হবে।) সর্ব সিদ্ধি কামনার্থায় কোজাগরী লক্ষী পুজা কর্ম্মানি করিষ্যে ( যজমানের হলে করিষ্যামি বলতে হবে ।) 
১৭) সংকল্প সূক্ত : - ওঁ দেব বো দ্রবি নোদা পূর্ণাং বিবষ্ঠাসিচম ।উদ্বা সিঞ্চধ্বমূপ বা পৃণধ্ব মাদিদ্বো দেব ওহতে ।ওঁ সংকল্পিতার্থস সিদ্ধিরস্তু ।ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু ।
১৮) সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন :- নিজের ডান দিকে গঙ্গার জল দিয়ে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে। তার উপর ফুল দিয়ে পুজো করে নিতে হবে। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধারশক্তয়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথিবৈ নমঃ । ওঁ ফট মন্ত্রে কোশা ঐ মণ্ডলের উপর রাখতে হবে এবং নমঃ মন্ত্রে জল পূর্ণ করে নিয়ে। কোশার উপর ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে। ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। ওঁ উঃ সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ। এবার ধেনু মুদ্রা, অবগুণ্ঠন মুদ্রা, গালিনী মুদ্রা, মৎস মুদ্রা, ও অঙ্কুশ মুদ্রায় জল পর্শ্ব করে, তীর্থ আহ্বান করতে হবে। ওঁ গঙ্গোদা সরতি চ সর্বা সমুদ্রাশ্চ সরংসি চ ।আয়নতু অয়ম ( যজমানস্য) দূরিত ক্ষয়কারক ।ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদে, সিন্ধু, কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিধিংকুরু। এবার এই জল কুশ ত্রিপত্র দিয়ে পুজা উপকরণে ছিটা দিয়ে বলতে হবে। বং এতেস্মৈ গন্ধাদি পঞ্চকেভ্য নমঃ ।(তিন বার) 
১৯) বিঘ্ন অপসারণ :- ওঁ ফট মন্ত্রে বাম পায়ের গোড়ালি দিয়ে ভূমিতে তিন বার আঘাত করে এবং তুড়ি দিয়ে বিঘ্ন অপসারণ করা হয়। 
২০) দ্বার পুজো :- ওঁ ফট মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্র দিয়ে দ্বারে জলের ছিটা দিয়ে নিয়ে। দ্বার দেবতা দের আহ্বান জানাতে হবে। 
আহ্বান :- ওঁ দ্বার দেবতা গন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যত্ত অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মহালক্ষৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ঐং সরস্বতৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গাং গঙ্গায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে যাং যমুনায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ক্ষাং ক্ষেত্রপালায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে অস্ত্রয় নমঃ। যিনি সংক্ষিপ্ত করবেন তিনি কেবল এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ। এতৎ পুষ্প দ্বার দেবগনভ্য নমঃ। এষো ধূপ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ। এষো দীপ দ্বার দেবগনভ্য নমঃ। এতৎ নৈবেদ্যম দ্বার দেবগনভ্য নমঃ।
২১) মাসভক্ত বলি :- কলা পতার টুকরো, বেল পাতা, কাঁঠাল পাতা, বা নতুন মাটির খুরিতে আপত চাল দধি, কুঁচো ফল তার উপর ধূপ জ্বেলে দিতে হবে। এবার বং এতেস্মৈ মাস ভক্ত বলয়ে নমঃ। তিন বার এই মন্ত্রে জলের ছিটা দিতে হবে। আহ্বান :- ওঁ ভুতা দ্বয় ইহাগচ্ছ, ইহাগচ্ছ, ইহতিষ্ঠ, ইহতিষ্ঠ, ইহসন্নিরুধ্যত্ত, ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এবার ফুল বেল পাতা দূর্বা নিয়ে, এতে গন্ধে পুষ্পে এত অধিপতয়ে দেবায় নারায়ণায় শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।এতৎ সম্প্রদানায় ভুতাদিভ্য নমঃ । এবার হাত জোর করে :-  ওঁ ভুত প্রেত পিশ্চাস বেতালাশ্চ যে বসন্ত্র ভু তলে তে গৃহন্তু ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাদিত। পুজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লি তর্পি তুস্তা। দেশস্মাৎ বিনিসৃত পূজাং পশ্যন্তু মৎ কৃতাম । এবার একটা ফুল দিয়ে এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মাসভক্ত বলয়ে নমঃ । কোশা করে জল দিয়ে বলতে হবে। ভূতদ্বয় ক্ষমধম। এবার সাদা সরিষা বা আতপ চাল ছড়িয়ে দিতে দিতে, অপসর্পন্তু তে ভূতা যে ভূতা বিঘ্ন কর্তারস্তে নশ্যন্তু শিব আজ্ঞায় । বেতালাশ্চ, পিশ্চাস, সরীসৃপা অপসর্পন্তু তে সর্বে চণ্ডি কাস্ত্রেন তাড়িতা ।
২২) আসন শুদ্ধি :-  আসনের নীচে একটি চৌকোন এবং তার মধ্যে একটি মণ্ডল এঁকে পুষ্প দিয়ে পুজো করে নিন। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং কুর্ম্মায় কমলাসনায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং অনন্তায় কমলাসনায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং পৃথিবৈ কমলাসনায় নমঃ । 
এবার আসন পর্শ্ব করে বলুন, আরেখে বজ্ররেখে সুরেখে কমলাসনায় নমঃ । ওঁ অস্য আসন উপবেসন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা আসন উপবেসনে বিনিয়োগ। ওঁ পৃথ্বী ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম । এবার গুরু পঙতি পাঠ :- নিজের বাম দিকে হাত জোর করে। গুরুভ্যে নমঃ, পরম গুরুভ্যে নমঃ, পরমেষ্ঠী গুরুভ্যে নমঃ। পরাপর গুরুভ্যে নমঃ । ডান দিকে :- গাং গনেশায় নমঃ । উর্ধ্বে :- ব্রহ্মণে নমঃ। পশ্চাতে : - ক্ষেত্রপালায় নমঃ । সম্মুখে :- শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষী দেব্যৈ নমঃ । 
২৩) পুষ্প শুদ্ধি :-  নারাচ মুদ্রায় পুষ্প পর্শ্ব করে ওঁ পুষ্পকেতু রাজার্হতে শতেয় সমক্য সমন্ধায় হুং । ওঁ পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়াবকীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা ।
২৪) কর শুদ্ধি :- একটি রক্ত পুষ্প নিয়ে "ওঁ হেঁসৌ" বলে ডান হাতের অঙ্গুলি অগ্র দিয়ে পেষণ করে ঈশান কোনে ফেলে দিতে হবে। 
২৫) সংক্ষেপে ভূতশুদ্ধি :-  "রং" মন্ত্রে নিজের চার পাশে জলের ছিটিয়ে নিয়ে নিজে অগ্নি মণ্ডলের মধ্যে আছেন কল্পনা করে নিয়ে নিম্ন লিখত চারটি মন্ত্র বলতে হবে। 
ক) ওঁ মূলশৃঙ্গাটচ্ছির  সুষম্না পথেন জীবং শিবং পরম শিব পদে যোযয়ামি স্বাহা । 
খ) ওঁ যং লিঙ্গ শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা ।
গ) ) ওঁ রং সংকোচং শরীরং দহ দহ স্বাহা । 
ঘ) ওঁ পরম শিব সুষম্না পথেন মূলশৃটামূল্ল সোল্লাস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল সোহংস স্বাহা ।
২৬) প্রাণায়াম :- " ওঁ শ্রীং" মন্ত্রে সবচেয়ে কম আট বার করতে হবে। ডান নাসা বন্ধ করে বাম নাসা দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার। বাম নাসা বন্ধ করে ডান নাসা দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার। নাসা বন্ধ করে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার। মুখ বন্ধ করে নাসা দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে দুবার। 
বিঃদ্রঃ - এবার ন্যাস করতে এখানে একটি কথা বলে রাখি ন্যাস গুলো অর্থাৎ মাতৃকা ন্যাস থেকে পীঠন্যাস পর্যন্ত ন্যাস গুলো করবেন ঘট বসানোর স্থানে যেখানে পঞ্চ গুঁড়ি দিয়ে অষ্ট দল পদ্ম এঁকে রেখেছেন ঐ আসনের উপর গুঁড়ো সিন্দুর দিয়ে ঘটে আঁকা ঐ মূর্তি টি এঁকে এখানে বলা তার অঙ্গ গুলো পর্শ্ব করে ন্যাস করতে হবে, তবে ঐ স্থান টি পীঠ স্থানে পরিণত হবে। আর ওখানে পীঠ পুজোর পর ঘট বসাবেন। আর বাকি করন্যাস থেকে বাকি গুলো নিজ শরীর এবং যেভাবে বলা থাকবে সেই ভাবে করবেন। 
২৭) মাতৃকান্যাস :- ওঁ অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্মঋষি গায়ত্রী ছন্দ, মাতৃকা সরস্বতী হলো বীজানি স্বর শক্তয়ে মাতৃকা ন্যাসে বিনিয়োগ। ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ । ( মস্তকে) ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ । ( মুখে) ওঁ হলেভ্য বীজভ্য নমঃ ( হৃদয়) ওঁ স্বরেভ্য শক্তেভ্য নমঃ ( নাভৌ) ওঁ অবক্ত কীলিকায় নমঃ ( সর্বাঙ্গে) 
২৮) অন্তর মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ আঁধারে লিঙ্গ নাভৌ হৃদয়ে সরসিজে তালুমূলে ললাটে দ্বৈপত্রে দ্বিদশ দশদলে দ্বাদশস্কে চতুস্কে বালমধ্যে বাসান্তে ড- ফ ক- ঠ সহিতে কণ্ঠদেশে স্মরণাং হং ক্ষং তর্থাৎ যুক্ত সকল দলগত বর্ণ রূপং নমামি। 
ওঁ অং আং ইং ঈং উং ঊং ঋং ঋং ৯ং ৯ং এং ঐং ওং ঔং অং অঃ ইতি কণ্ঠে। ওঁ কং খং গং ঘং ঙং চং ছং জং ঝং ঞং টং ঠং ইতি হৃদয়ে। ওঁ ডং ঢং ণং তং থং দং ধং নং পং ফং ইতি নাভৌ ওঁ বং ভং মং যং রং লং ইতি লিঙ্গমূলে ওঁ বং ষং শং সং ইতি মূলাধারে। ওঁ হং ক্ষং ইতি ভ্রূ মধ্যে। 
২৯) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ পঞ্চাশলি পিভির্বি ভক্ত মুক্ষোদা পন্নমধ্য বক্ষস্থলাং ভাস্ব মৌলি চন্দ্রশ কলা মাপীন তুঙ্গ স্তীনাম ।মুদ্রা মোক্ষ গুণ সুধাঢ্য কলসং বিদ্যাঞ্চ হস্তাম্বুজ বিবর্নভাং বিশদ প্রভাং ত্রিনয়নাং বাগদেবতা মাশ্রয়ে ।
অং নমঃ ( ললাটে) আং নমঃ ( মুখবৃত্তে) ইং নমঃ ( দক্ষিণ চক্ষু) ঈং নমঃ (বাম চক্ষু ) উং নমঃ ( দক্ষিণ কর্ণ) ঊং নমঃ ( বাম কর্ণ ) ঋং নমঃ ( দক্ষিণ নাসা) ঋং নমঃ ( বাম নাসা) ৯ং নমঃ ( দক্ষিণ গণ্ড) ৯ং নমঃ ( বাম গণ্ড) ( আমরা জানি এখন জোরা ঋ কার নেই বা লি কার নেই কিন্তু এই বর্ণ গুলো মন্ত্রে লাগে সে কারণেই বাংলা সংখ্যার নয় কে লি কার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ঐং নমঃ ( অধর) ওং নমঃ ( উর্ধ্ব দন্ত) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত) অং নমঃ ( মুখে) অঃ নমঃ ( মস্তকে) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহু মূল) খং নমঃ ( কর্পূরে) গং নমঃ ( মনি বন্ধে) ঘং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ঙং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) চং নমঃ ( বাম বাহুমূলে) ছং নমঃ ( কর্পূরে) জং নমঃ ( মনিবন্ধে) ঝং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ঞং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) টং নমঃ ( দক্ষিণ উরু মূলে) ঠং নমঃ ( জানুনি) ডং নমঃ ( গুল্ফে) ঢং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ণং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) তং নমঃ ( বাম উরু মূলে) থং নমঃ ( জানুনি) দং নমঃ ( গুল্ফে) ধং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) নং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) পং নমঃ (দক্ষিণ পার্শ্বে) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে) বং নমঃ ( পৃষ্ঠে) ভং নমঃ (নাভৌ ) মং নমঃ ( উদর) যং নমঃ ( হৃদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) লং কুকুদি) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ হস্তে)শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম হস্তে) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পদে) হং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম পদে) লং নমঃ ( হৃদয় দুয়ারে) ক্ষং নমঃ ( হৃদয়াদি মুখে) 
৩০) সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্রজং হরিণপোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈর বিরতং দধতীং ত্রিনেত্রাম । অর্দ্ধেন্দুমৌলি মরুণামরবিন্দবাসং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভার নম্রাম ।
ক্ষং নমঃ ( হৃদয়াদি মুখে) লং নমঃ ( হৃদয় দুয়ারে) হং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম পদে) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পদে) শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম হস্তে) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ হস্তে) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) লং নমঃ ( কুকুদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) যং নমঃ (হৃদি) মং নমঃ ( উদরে) ভং নমঃ ( নাভৌ) বং নমঃ (পৃষ্ঠ) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে) পং নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে) নং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ধং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি মূলে) দং নমঃ ( গুল্ফে) থং নমঃ ( জানুনি) তং নমঃ ( বাম উরু মূলে) ণং নমঃ ( দক্ষিণ পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ঢং নমঃ ( দক্ষিণ পদ অঙ্গুলি মূলে) ডং নমঃ ( দক্ষিণ পদ গুল্ফে) ঠং নমঃ ( জানুনি) টং নমঃ ( দক্ষিণ উরু মূলে) ঞং নমঃ ( বাম হস্ত অঙ্গুলি অগ্রে) ঝং নমঃ( বাম হস্ত অঙ্গুলি মূলে) জং নমঃ ( বাম হস্ত মনিবন্ধে ) ছং নমঃ ( বাম হস্ত কর্পূরে) চং নমঃ ( বাম বাহু মূলে) ঙং নমঃ ( দক্ষিণ হস্ত অঙ্গুলি অগ্রে) ঘং নমঃ ( দক্ষিণ হস্ত অঙ্গুলি মূলে) গং নমঃ ( দক্ষিণ হস্ত মনিবন্ধে) খং নমঃ ( মনিবন্ধে) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহুমূলে) অঃ নমঃ ( মস্তকে ) অং নমঃ ( মুখে) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত) ওং নমঃ ( উর্ধ দন্ত ) ঐং নমঃ ( অধর) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ৯ং নমঃ ( বাম গণ্ড) ৯ং নমঃ ( দক্ষিণ গণ্ড) ঋং নমঃ ( বাম নাসা) ঋং নমঃ ( দক্ষিণ নাসা) ঊং নমঃ ( বাম কর্ণ) উং নমঃ ( দক্ষিণ কর্ণ) ঈং নমঃ ( বাম চক্ষু) ইং নমঃ ( বাম চক্ষু) আং নমঃ ( মুখবৃত্তে) অং নমঃ ( ললাটে) 
৩১) পীঠ ন্যাস :- একটি ফুল নিয়ে ঘট বসানোর জন্য পঞ্চ গুঁড়ি দিয়ে যে অষ্টদল পদ্ম এঁকেছেন ওই স্থান পর্শ্ব করে এই মন্ত্র গুলো বলুন ।ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ । ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । ওঁ অনন্তায় নমঃ । ওঁ পৃথিবৈ নমঃ । ওঁ ক্ষীরা সমুদ্রায় নমঃ। ওঁ শ্বেত দ্বীপায় নমঃ। ওঁ কল্প বৃক্ষায় নমঃ । ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ । ওঁ মনিমণ্ডপায় নমঃ । ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নমঃ। ( হৃদয় ) ওঁ ধর্মায় নমঃ ।( দক্ষিণ স্কন্ধে)। ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ( বাম স্কন্ধে) ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ( দক্ষিণ উরু মূলে) ওঁ ঐশ্বর্যায়ৈ নমঃ ( বাম উরুমূলে) । ওঁ অধর্মায় নমঃ ( বাম স্কন্ধে) । ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে)। ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ( বাম পার্শ্বে)। ওঁ অনৈশ্বর্যায় নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে)। ওঁ অনন্ত নমঃ। ওঁ পং পদ্মায় নমঃ । ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ। সং সত্ত্বায় নমঃ। রং রজসে নমঃ। তং তমসে নমঃ । আং আত্মেন নমঃ । ওঁ অং অন্তর আত্মন নমঃ। ওঁ পং পরম আত্মন নমঃ। ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মন নমঃ (পুনঃ হৃদয়ে) 

(এই করন্যাস, অঙ্গ ন্যাস, নিজের শরীরের অঙ্গ পর্শ্ব করে করবেন।) 
৩২) করন্যাস :- ওঁ শ্রাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ শ্রীং তর্জনীভ্যাং স্বাহা । ওঁ শ্রূং মধ্যমাভ্যাং বষট । ওঁ শ্রৈং অনামিকাভ্যাং হুং । ওঁ শ্রৌং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট । ওঁ শ্রঃ করতলপৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট।
৩৩) অঙ্গ ন্যাস্য :- ওঁ শ্রাং হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ শ্রীং শিরসে স্বাহা । ওঁ শ্রূং শিখায় বষট । ওঁ শ্রৈং কবচায় হুং । ওঁ শ্রৌং নেত্রায় বৌষট । ওঁ শ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
৩৪) বীজন্যাস :- এই পূজার এই ন্যাস করতেই হবে। নিজের শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্শ্ব করে) 
শ্রাং নমঃ ( ব্রহ্ম রন্ধ্রে)। শ্রীং নমঃ ( ললাটে) ।শ্রূং নমঃ ( নাভি) শ্রৈং নমঃ ( গুহ্য)। শ্রৌং নমঃ ( মুখে)। শ্রঃ নমঃ (সর্বাঙ্গে) ।
৩৫)ব্যপক ন্যাস :- বুকের কাছে আনতে হবে অর্থাৎ মূর্তি বা পটের সামনে হাত জোর করে এবার হাত দুই দিকে প্রসারিত করতে করতে " ওঁ শ্রীং" মন্ত্র বলবে।এ ভাবে তিন বার বা ফুল দিয়ে নিজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত তিন বার করবেন। 
৩৬) ধ্যান :- ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্ভোজ সৃনি ভির্যাম্যা সৌম্যয় ।পদ্মা সংস্থাং ধ্যায়েচ শ্রিয়ং ত্রৈলক্য মাতরম ।গৌর বর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভুষিতাম । রৌক্মপদ্ম ব্যাগ্র করাং বরাদাং দক্ষিণেন তু। 
৩৭) মানস পুজা :-  অর্থাৎ মনে মনে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে মায়ের পায়ে সমর্পণ করে দেওয়া। 
৩৮) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন :- জল শঙ্খ টি শঙ্খ দানিতে রেখে প্রথম বিলোম মাতৃকা ন্যাসে জল পূর্ণ করে নিতে হবে। ওঁ ক্ষং হং সং শং ষং বং লং রং যং মং ভং বং ফং পং নং ধং দং থং তং ণং ঢং ডং ঠং টং ঞং ঝং জং ছং চং ঙং ঘং গং খং কং অঃ অং ঔং ওং ঐং এং ৯ং ৯ং ঋং ঋং ঊং উং ঈং ইং আং অং। জল পূর্ণ হলে ওর উপর বিল্ব পত্র রেখে তার উপর অর্ঘ্য সাজিয়ে দিয়ে এবার এই তিন টি মন্ত্র পড়ে ফুল দিন। 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নমঃ। 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নমঃ। 
৩৯) পীঠ পূজা :- ওঁ পীঠদেবতা গন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মণ্ডলায় নমঃ । 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথিবৈ নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ক্ষীর সমুদ্রায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কল্পবৃক্ষায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্বেতদ্বীপায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনি মণ্ডপায় নমঃ ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নমঃ। 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ধর্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐশ্বর্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অধর্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনৈশ্বর্যায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পদ্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ সং সত্ত্বায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রং রজসে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ তং তমসে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অন্তর আত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং আত্মনে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পরম আত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মনে নমঃ। 
৪০) ঘট স্থাপন :- পঞ্চ গুঁড়ি দিয়ে আঁকা মণ্ডল যেখানে এতখন পূজো করে পীঠস্থান করে নিয়েছেন ঐ মণ্ডলের উপর পঞ্চ শষ্য ছড়িয়ে একটি বড়ো লাল আলতা পাতা পেতে ওর উপর কাদার ঢেলা লাগিয়ে তার উপর ঘট বসিয়ে দিতে হবে এবং ঘটের মধ্যে মহাষৌদি দিতে হবে। এবার ঘটের উপর পঞ্চ পল্লব দিয়ে তার উপর ছোট একটি সরা করে ধান তার উপর পান দিয়ে এবার সশীষ ডাব বসিয়ে দিতে হবে। এখানে বলে রাখি আগেই ঘট ও ভাবের উপর সিন্দুর দিয়ে মূর্তি এঁকে দিতে হবে। এবার তীরকাটি চারপাশে বসিয়ে কম পক্ষে তিন দণ্ডি লাল সূত দিয়ে ঘটের কাছ বা একটা কাঠির কাছে এনে রেখে দিন বাঁধবেন না কারণ সূত্র বন্ধনের মন্ত্র আছে। এবার ঘটের উপর নতুন গামছা দিয়ে আচ্ছাদন দিন। এবার এই নির্দিষ্ট জায়গা গুলো পর্শ্ব করে মন্ত্র গুলো বলুন। 
মাটি :- ওঁ মহীত্রিয়ান বরস্তু দুক্ষং মিত্র সার্যমন দূরা ধর্ষং বরুনস্য । ধান :- ওঁ ধানবন্ত করমনিভ মপু পবন্ত মুখথিনম ইন্দ্র পাতুতযস্য ন। জল :- লম্বা করে কুশ ঘটের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিন। এবার বলুন :-  আ ন মিত্র বরুনা ঘৃত্যর্গব্যূতি মুখ্যতম। মধ্বা রজাংসি সক্রতু । কলস :- আবিস ন কলসং ভিশ্রিয় বিশ্ব অর্ষন ধীয়তে ।ইন্দুরিন্দ্রিয়ায় ধীয়তে । ফল :- ( ডাব) ইন্দ্র নরনেমেধিতা হব্যং যৎপর্যা যুনজতে ধীয়স্তে । শূর নৃশংসতা শ্রবচা কাম আ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং ।  পল্লব :- অয়া মুর্জাবত বৃক্ষং উর্জীব ফলানি ভব পণং বনস্পতে নূত্ত্বা নূত্ত্বা চ সুয়তাং রয়ি । বস্ত্র :- যুবা সুবাসা পরিবিত আগতা স উ শেয়ান ভাবতি জায়মান। তব ধীয়স্তে কবয়া উন্নয়তি সাধ্যে মনসা দেবয়ন্ত। ফুল :- পবন মান বশ্নুরশ্মি ভির্ভজসাতম। দধস্তোত্রে সুবীর্যম । সিন্দুর - সিন্দোর উচ্ছাসে পতয়োন্তমুখং হিরণ্যপাব পশমপশু গৃভনতে । স্থির করণ :-   যাবৎ পুরবস বয়মিন্দ তাবৎ স্থাং স্থিং স্থির ভব। তীর্থ আহ্বান :- গঙ্গদা সরতি চ সর্বি সমুদ্রাশ্চ সংরসি চ আয়ন্তু যজমানস্য দূরিত ক্ষয়কারক ।হাত জোর করে :- সর্ব তীর্থোদ্ভবং বারি সর্ব দেব সমন্বিতে, ইমং ঘটং সমারুজ্য দেবী গনং সহ। 
৪১) কাণ্ড রোপন :- ( যে কোন একটা তীর কাঠি পর্শ্ব করে মন্ত্র বলবেন। পারলে একটা দূর্বা পুঁতে দিন।) ওঁ কাণ্ডাৎ কাণ্ডাৎ প্রহোরন্তি পুরুষ পুরুষ পরি। এবেন দূর্বেন প্রতেনু সহস্রেন শতেন চ ।
৪২) সূত্র বেষ্ঠন :- ওঁ সুত্রাং পৃথিবীং দ্যামনেহসং সুশর্মান সুপ্রনীতীং । দৈবাং নাবাং সরিত্রামনাগম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে। 
৪৩) বেদী শোধন :- ওঁ বেদ্যা বেদী সমপ্যতে যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রনেতর্হগ্নিনা। ( কুশ ত্রিপত্র দিয়ে পঞ্চ গব্য ছিটিয়ে দেবেন) 
৪৪) আহ্বান :- (আগে ধ্যান করে নিন) ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্বজ শৃন্নি ভৃয্যমৌ সৌময় । পদ্মা সংস্থানং ধ্যায়েচ শ্রীয়ং ত্রৈলক্য মাতরম । গৌরবর্ণং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভুষিতাম । রৌক্মপদ্ম ব্যাগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু। 
ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ পরিবার সমন্বিতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।  ( পঞ্চ মুদ্রা দেখাবেন) 
এবার হাত জোর করে বলুন ওঁ দেবেশি ভক্তি সুলভে পরিবার সমন্বিতে। যাবৎ পূজিয়াস্মি তাবৎ সুস্থিরাভব ।
৪৫) চক্ষুদান :- - বিল্ব পত্রে ঘী মাখিয়ে প্রদীপ ধরে কাজল করে নিয়ে ঐং মূল মন্ত্রে প্রথম বাম নেত্র পরে দক্ষিণ নেত্রে ঠেকিয়ে চক্ষু দান করতে হবে। অথবা বাম নেত্রে :- ওঁ আপ্যায়স সমেতু তে বিশ্বত সোম বিষ্ণম। দক্ষিণ নেত্রে :- ওঁ দেবানমুদগাদানিকং চক্ষু মিত্রস্য বরুণাস্যাগ্নে। আ প্রা দ্যাবা পৃথিবী অন্তরীক্ষ সূর্য আত্মা স্থূশ্চয় ।
৪৬)প্রাণ প্রতিষ্ঠা :- ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হৌং হংস। লক্ষী দেব্যা জীব ইহ স্থিত। ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হৌং হংস। লক্ষী দেব্যা প্রাণা ইহ স্থিত।ওঁ আং  হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌংস লক্ষী দেব্যা সর্বইন্দ্রায় ইহস্থিতা ।ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌংস লক্ষী দেব্যা বাঙ্মচক্ষুশ্রোতাঘ্রানাপ্রাণা চির সুখং ইহ তিষ্ঠন্তু স্বাহা । ওঁ মনোজ্যোর্তিজ্জুষ্যা -মাজস্য বৃহস্পতিরযজ্ঞমিমং তনোতু। অরিষ্টং যজ্ঞ সমিমং দধাতু।  বিশ্বদেবাস  ইহ মাদয়ন্তা মম প্রতিষ্ঠ, অসৈ প্রাণ প্রতিষ্ঠন্তু অসৈ প্রাণ ক্ষরন্ত চ অসৈ দেবতা সংখ্যায়ৈ স্বাহা । এবার শ্রীং মন্ত্র তিন বার পাঠ করতে হবে।
৪৭) পঞ্চ দেবতার পূজা :- ক) গনেশের পূজা :- ধ্যান :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদনং লম্বোদরং গজাননম প্রসন্দম্মদগন্ধলুদ্ধমধূপ ব্যালোল গণ্ডোস্থলম।দন্তাঘাতে বিদারিতারি রুধৈরৈ সিন্দুর শোভাকরম ।বন্দে শৈলসূতা সূতং গনপতি সিদ্ধিপ্রদ কামদম । আহ্বান :- ওঁ ভূর্বস্ব গাং গনপতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব । পঞ্চ উপাচারে পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ গাং গনেশায় নম । এতৎ পুষ্পম ওঁ গাং গনেশায় নম । এষো ধূপ ওঁ গাং গনেশায় নম । এষো দীপ ওঁ গাং গনেশায় নম ।এতৎ সোপকরণ নৈবেদ্যম ওঁ গাং গনেশায় নম ।
প্রণাম :- ওঁ এক দন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম। বিঘ্ন নাশকরম দেবং হেরম্বং প্রণমহম।
সূর্য পূজা:- ধ্যান :- ওঁ রক্তাম্বুজাসনম শেষগুনার্কৈ সিন্ধু ভানুং। সমস্ত জগতামধিপ ভজামি পদ্মদয় বরাভয় দধাতন করাব্জৈমৌলিমরুনাঙ্গ রুচিং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ শ্রী সূর্যায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম ।এতৎ পুষ্পম ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এষো ধূপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এষো দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম। এতৎ সপোকরণ নৈবেদ্য ওঁ শ্রী সূর্যায় নম।
প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুম সংঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং  মহাদ্যুতিং    ধনত্বারিং সর্বপাপঘ্ন প্রণোতোস্মি দিবাকরম।
বিষ্ণু পূজা :- ধ্যান :-  ওঁ ধেয় সদা সবৃতমণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরসিজাসন সন্নিবেষ্টিত কেয়ূরবান কণক কুণ্ডলবান কীরিটীহারি হিরণ্ময় বপু ধৃত শঙ্খ চক্র।
আহ্বান :- ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ পুষ্পম ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম। এষো ধূপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো দীপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
এতৎ সপোকরণ নৈবেদ্য ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
প্রণাম :-- ওঁ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রহ্মণ হিতায় চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণ নমহস্তুতে ।
শিবের পূজা :-  ধ্যান :- ওঁ ধ্যায়ে নিত্যং মহেশং রজত গিরি নিভনং চারুচন্দ্রবতনংসং। রত্নকল্পোজ্জ্বলাঙ্গ পরশু মৃগ বরা ভীতি হস্তং প্রসন্নম। পদ্মাসন স্তুতম মরগৈন্য ব্যাঘ্র কৃতিবসনাং বিশ্বদ্যাং বিশ্ববীজং নিখিল ভয়হরং পঞ্চবক্তং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ নম শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ নম শিবায় নম। এতৎ পুষ্পম ওঁ নম শিবায় নম । এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নম । এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নম। এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নম।
প্রণাম :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয় হেতবে নিবেদয়ামি চাত্মাং ত্বং গতি পরমেশ্বরো।
দুর্গা পূজা:- ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈরি কুলভয়দ্যাং মৌলিবদ্ধেন্দুরেখাং । শঙ্খ চক্র কৃপাণ ত্রিশিখমোপি কররৈরুধ্ব হন্তীং । সিংহ স্কন্ধাধিরূঢ়াং ত্রিভুবন মখিলং তেজসপুরায়ন্তীং ধ্যায়ে দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃত্তাং সেবিতাং সিদ্ধিকাময়ৈ ।
আহ্বান :- ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম। এতৎ পুষ্পম ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম । এষো ধূপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম। এষো দীপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নম।
প্রণাম :- ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে শিবে সর্বাত সাধিকে স্মরণে ত্রম্বকে গৌরি নরায়নী নমহস্তুতে ।
কয়েকটি দেবতার পূজা :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ব্রাহ্মণে নম। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ যাং যমুনায় নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ গাং গঙ্গায় নম । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ সর্ব দেব দেবীভ্য নম ।
৪৮) প্রধান পূজা :- ধ্যান :- ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্বজ শৃন্নি ভৃয্যমৌ সৌময় ।পদ্মা সংস্থানং ধ্যায়েচ শ্রীয়ং ত্রৈলক্য মাতরম ।গৌরবর্ণং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভুষিতাম ।রৌক্মপদ্ম ব্যাগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু ।
ধ্যানের পর পঞ্চ উপাচারে /দশম উপাচারে / ষোলো উপাচারে পূজা করতে পারেন। প্রতি ক্ষেত্রে প্রথম সম্প্রদান করে, নিবেদন করবেন। পঞ্চ উপাচার হলো। ১)গন্ধ ২) পুষ্প ৩) ধূপ ৪) দীপ ৫) নৈবেদ্য । (গন্ধ হচ্ছে চন্দন, অগরু, ধূন, গগুল, কর্পূর এই পাঁচটির মধ্যে যে কোন একটা ব্যবহার করা হয় ) 
দশম উপাচার ১) রজত আসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) স্নানীয় ৫) বস্ত্র ৬) গন্ধ ৭) পুষ্প ৮) ধূপ ৯) দীপ ১০) নৈবেদ্য ।
ষোলো উপাচার ১) রজত আসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) আচমনীয় ৫) মধু পর্ক ৬) পুনঃ আচমনীয় ৭) স্নানীয় ৮) বস্ত্র ৯) আভরণ ১০) গন্ধ ১১) পুষ্প ১২) ধূপ ১৩) দীপ ১৪) নৈবেদ্য ১৫) তাম্বুল ১৬) পুষ্প মালা প্রতিটি দ্রব্য এই মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্রের তিন বার জল ছিটিয়ে সম্প্রদান করে নেবেন।
সম্প্রদানের মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ রজত আসনায় নম। এতে গন্ধ পুষ্পে এতধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নম ।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ । ইদম রজত আসনায় ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নম। যদি সব বলতে চান না তবে ইদম রজত আসনায় ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নম । এই ভাবে প্রথম সম্প্রদান করে নিয়ে যত উপাচার দিতে চান। দিয়ে পুজো করবেন, পুজো হয়ে গেলে, সাধারণের পুষ্পাঞ্জলি দেবেন। 
নমঃ অপবিত্র পবিত্র বা গত হোপিবা - - - - - - - 
৪৯)এষো সচন্দন গন্ধ পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলী নম শ্রী লক্ষী দেবৈ নমঃ ।এই মন্ত্রে তিন বার। কেবল নিজের সময ওঁ শ্রীং বলবেন। ৫০) এবার প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ বিশ্বরূপ ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে ।সর্বত্র পাহিমাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে। 
এবার আরতি করে নিয়ে হোম করা কর্তব্য। 
৫১) হোম :- কুসুম ডিঙা বা যযুর্বেদীয় হোম মন্ত্র এখানে দিলাম কারণ এই হোম সহজ সরল। 
প্রথমে হোমের জায়গা টি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিতে হবে। তার পর এক হাত লম্বা ও এক হাত চওড়া বালি দিয়ে একটা সণ্ডিল তৈরি করে নিতে হবে। দেখতে হবে তাতে কোন নোংরা না থাকে। যদি ঐ পরিমাপের হোমের জন্য তাম্র কুণ্ডু থাকে তাহলে তার উপর পরিষ্কার বালি দিয়ে নিতে হবে। এবার তিন টি কুশ পূর্ব মুখে রেখে এখানে বলে রাখা ভালো ব্রাহ্মণ বা হোতা পূর্ব মুখে বসে হোম করবেন। ঐ যে পূর্ব মুখে কুশ রাখলেন ওই কুশের গোড়া অর্থাৎ পশ্চিম দিক থেকে তিন চিমটি বালি নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব কোনে ফেলে দিয়ে এবার ঐ সণ্ডিল সাজিয়ে ফেলুন যে কোন শুদ্ধ কাঠ দিয়ে, কাঠের মধ্যে, চন্দন, আম, বেল, সেগুন, সচরাচর বেল কাঠ ব্যবহার করা হয়। যেহেতু দেবী তাই ত্রিকোন করে সাজাতে হবে। সণ্ডিলে ভালো করে কর্পূর দেবেন। যাতে করে আগুন তাড়াতাড়ি জ্বলে, এবার একটা পিতলের সরায় বা পাত্রে আগুন, আগুন দেওয়ার আগে সণ্ডিলের দক্ষিণ দিকে বেশি করে পূর্ব অভিমুখে কুশ বিছিয়ে ব্রহ্মার আসন করে রাখতে হবে আর কাছাকাছি সিংহাসন সহ নারায়ণ শিলা কে রাখতে হবে। কারণ ব্রহ্মা অর্থাৎ হোতা এবং তন্ত্রধারক দুজন লাগে এখানে নারায়ণ শিলা হবে ব্রহ্মা। আসুন আগুন পিতলের সরা বা নতুন মাটির সরায় নিয়ে এই মন্ত্রে " ক্র্যাবদম প্রহিনমি দুরং যমরাজ্যং গচ্ছতু রিপ্রবাহ ।" ঐ সরার কিঞ্চিৎ অগ্নি দক্ষিণ দিকে ত্যাগ করে দিই এবার এই মন্ত্রে নিজের সম্মুখ দিক দিয়ে সণ্ডিলে আগুন দিই। মন্ত্র :-  ইহৈবায় মিতর জাতবেদা হব্যং বহতু প্রজনন। 
এবার হাত জোর করে বলুন :- " সর্বতোহি পানিপাদান্ত সর্বোত্রক্ষি শির মুখ। বিশ্বরূপ মহা অগ্নি প্রণেতস্মি সর্বকর্মেসু ।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...