কেবল কিডনি বিক্রি নয় আরও অনেক কিছু বিক্রি করতে হবে, এবং খেতে হবে। দা ওয়াল নামক একটা অন লাইন সংবাদ পত্রে বেড়িয়েছে অভাবের তাড়নায় নদিয়ার তাহেরপুরের ৬ জন তাদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
ব্রিটিশ শাসনের সময় একদল মানুষ ব্রিটিশ বা ইংরেজ দের চাটুকারিতা করে খেত যাকে অনেকেই চাকরি বলত। সেই সব ইংরেজের দালালরা এখন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে আছে। যেন তেন প্রকারেন ক্ষমতায় চাই, টাকা ছড়িয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষ খুন করে ধাপ্পাবাজি চিটিংবাজি করে যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই। বেশ কিছু খেটে খাওয়া মানুষ কে উপহার দিয়ে, ইংরেজ যেমন ঘুষ বা পুরষ্কার দিয়ে মানুষের মন জয় করে শাসন করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে ভারত তথা বাংলা কে শোষণ করত। বর্তমান শাসক ও ঠিক তাই পঞ্চায়েত স্তরের ছোট নেতা থেকে আরম্ভ করে উচ্চ স্তরের বড় নেতা সকলে চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ।আর কোটি কোটি টাকার মালিক, আর নেতা হবার আগের অবস্থা আর এখন তার অবস্থা দেখে চোখ কপালে উঠে যাবে। টালির ছাউনি ঘরে বাস করত একটা সাইকেল ছাড়া কিছু ছিল না। এখন চার তলা প্রাসাদ আর বাড়ির সামনে চার চারটি চার চাকা। মিডিয়া এসব আপনাকে আমাকে দেখাবে না কারণ কর্পোরেট পরিচালিত মিডিয়া টাকা খেয়ে আজ বাঙালি জাতি তথা দেশের জনগণের বিশেষ করে এই সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের কর্মী দের দালালি করছে। যেমন ইংরেজ আমলে হতো, যদিও কোন সংবাদ পত্র বা কেউ ইংরেজ সরকারের মানুষের উপর শোষণ অত্যাচারের খবর তুলে ধরতে লিখত তবে সেই সংবাদ পত্রের মালিক বা সংবাদ দাতার অবস্থা যে কি হতো কল্পনা করা যায় না। সামান্য দেশের মানুষ কে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বা জাগ্রত করতে নজরুল কবিতা লিখতেন তাকে কত বার জেলে যেতে হয়েছে। চারণ কবি মুকুন্দ দাস তাকেও কম অত্যাচার সহ্য করতে হয় নি। অর্থাৎ প্রতিবাদ করা যাবে না, মিডিয়া জানে সে কারণেই কার পেটে বাচ্চা এলো কে নাচল, কে হাসল কাঁদল, এই সব খবর দেখাতে ব্যস্ত। এখন চোরের কদর কত যে যত বড়ো চোর সে তত বড় উঁচু পদে আসীন। মানুষের ভোট ওত বাঁ হাত কা খেল কেবল দু শ পাঁচশ টাকা আর মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি ব্যাস এখন তো আবার আরেকটা বিষয় যোগ হয়েছে নকল অফিসার নকল পুলিশ অর্থাৎ নিজের দলের চোর গুণ্ডা ডাকাত দের বাঁচাতে নকল সামান্য কিছু টাকা দিয়ে নকল অফিসার নকল পুলিশের চাকরি দেওয়া। অনেকেই হয়তো ভাবছেন এ আবার হয় না কি এটাই চলছে ঐ নকল দের মধ্যে যে বেতন থেকে একটা অংশ নিয়মিত কাটমানি দিতে পারে নি তাদের তাকেই ধরে বলছে এই নকল অফিসার ধরলাম। কেবল কি কিডনি বিক্রি পেটের জ্বালায় মুড়ি আর কচু শাক সেদ্ধ করে খাচ্ছে।
ইংরেজ শাসনের সময় অনেক বার বাংলায় দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং স্বাধীনতার পরেও দেশের অধিকাংশ মানুষ খেতে পেত না। চালের ক্ষুদ, বিভিন্ন বিষাক্ত কড়াই সেদ্ধ ভুট্টা মাইলো এই সেদিনও অর্থাৎ বাংলায় বাম সরকার আসার আগে পর্যন্ত মানুষ এই সব খেয়ে বেঁচে থাকত। এখন তো শুনি বা কাগজে মিডিয়ায় প্রচার পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান জন সংখ্যা দশ কোটি প্রতিটি মানুষের রেশন কার্ড আছে এবং রেশন পায়। আবার দু টাকা কিলো চাল তাহলে এই অবস্থা কেন? গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে বোকা বানিয়ে কার লাভ। এই অর্ধ ভুক্ত অভুক্ত মানুষ এবং না খেয়ে থাকা মানুষ গুলো এক দিন না একদিন ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করবে না। এই সব সাধারণ মানুষের কাছে আমার একটাই আবেদন সচেতন হন, নিজে এবং নিজের ভবিষ্যত প্রজন্ম কে বাঁঁচাতে এক জোট হয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, না হলে বাঁচার রাস্তা নেই। ঐ যে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা বা ঋণের ফাঁদে পড়ে জীবন শেষ করে দেওয়া এটা কোন পথ হতে পারে না। পথ হচ্ছে প্রতিবাদ এক জোট হয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। বিদ্রোহী কবির ভাষায়, 'যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটির মুখের গ্রাস /আমার এ রক্ত লেখায় লেখা হোক তাদের সর্বনাশ।' আসুন সবাই মিলে এই শাসক আর শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই চোর কে চোর বলতে শিখি।
No comments:
Post a Comment