Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 31 July 2021

করোনা ভাইরাস ততখন যাবে না যতক্ষণ না দেশ বিক্রি শেষ হচ্ছে।


 আমাদের রাজ্যে করোনা এখন দুটি জায়গায় রেলে আর স্কুলে তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ভুগছেন কারা খেটে খাওয়া মানুষ এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার  এদের অনেকের না আছে রেশন কার্ড না আছে সরকারের সাহায্য না পারে কার কাছে সাহায্য চাইতে কেবল, বাজারে, মুদির দোকানে দিনের পর দিন বাড়ছে ঋণ।

আর করোনা নিয়ে কিছু মানুষ যেমন আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে সরকার সেই সব কথায় কান দিয়ে কী করছে দিনের পর দিন লক ডাউন বাড়িয়ে যাচ্ছে। এই লক ডাউন আসলে এক ধরনের সরকারি বনধ। এই ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দের ধ্বংস করে বড় পুঁজিপতি ব্যবসায়ী দের বা কর্পোরেট সংস্থার লাভ করে দেওয়া। কর্পোরেট সংস্থার মজুত করার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ছোট খাটো সংস্থার কাজ করা কর্মী অনেকেই কাজ হারিয়ে বেকার। আয় উপায় আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে, আমি অর্থনীতি বিদ নই তবে যে টুকু বুঝি মানুষের হাতে টাকা পয়সা এমন ভাবে কমছে তাতে করে এই রাজ্যে ঐ কুড়ি টাকার পাউচ কেনার ক্ষমতাও থাকবে না। বাজারে অর্থের যোগান নেই, কেবল প্রতিশ্রুতির বন্যা ছুটে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি দাম বাড়ছে ওষুধের কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার চিকিৎসার খরচ করতে ঐ গরীব মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। আসলে এসব সরকারের তৈরি করা সমস্যা ইচ্ছা কৃত ভাবে সরকার অন্য পথে তার দলের নেতা কর্মী দের অর্থের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করে, কোভিড এ মারা গেলে দু লক্ষ না চার লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। তাই যে কোন রুগী এলে বা একটু জ্বর সর্দি থাকলেই আগে তাকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা এবার পরীক্ষা করার পালা। রোগী ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পরছেন এবং মারাও যাচ্ছেন, ঘোষণা করা হচ্ছে, কোভিড এ মারা গেছে। মারা যাওয়ার পর যখন রিপোর্ট আসছে দেখা যাচ্ছে কোভিড নেগেটিভ। কিন্তু ঘোষণা করা এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে কোভিড এর এবার টাকা পাওয়ার পালা এখানেই নেতা মন্ত্রী দের ধরা আর নেতা মন্ত্রী তো হাত পেতে বসে আছে দেখ তোকে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম আমার পঞ্চাশ হাজার লাগবে। আর এই কারণেই শাসক দলের নেতা কর্মী দল কোভিড হাসপাতালের পাশ থেকে সরে না। আর তাদের না ধরলে টিকা পাওয়া যাবে না, যতই cowin এ নাম থাক ঐ নেতা এবং কর্মীরা যতখন না টোকেন তৈরি করে দিচ্ছে, টিকা পাওয়া দুষ্কর। এই টিকাও ঐ বড়ো কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যবসা করতে সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা। কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ ঐ সব সংস্থা কে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি যতদূর জানি এই করোনা ভাইরাস একটি আর এন এ. ( R. N. A.) ভাইরাস এই ভাইরাস তাদের চরিত্র বদলে ফেলতে পারে। এই রকম একটা ভাইরাস কে রোধ করতে হলে ভালো খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত খাবার দরকার অপুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে পরবে। আর এই মুহূর্তে রাজ্যের গরীব খেটে খাওয়া মানুষ এবং ছোট ছোট ব্যবসায়ী তাদের উপার্জনের রাস্তা বন্ধ কারন ট্রেন বন্ধ। শাসক সব জানে ঐ যে দু টাকা কিলো চাল পাচ্ছে কারা শাসক দলের নেতা কর্মীরা। তারা এনে গরীব মানুষ কে পনেরো টাকা কিলো দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। দারুণ ব্যবস্থা গরীব মানুষ কিনছে ধার দেনা করে, আর কেবল চাল হলেই হবে না। সেটা ফুটিয়ে খেতে হবে, এখানে আরেক সমস্যা আগে তবু কেরোসিন স্টোভ ছিল রেশন থেকে কেরোসিন তেল দিত এখন খোলা বাজারে কিনতে হবে। মাস গেলে ইলেকট্রিকের বিল সেও অতিরিক্ত খরচ, অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সরকার চাইছে না এই সব মানুষ বেঁচে থাকুক। যদিও বেঁচে থাকে কেবল ভোটার হিসেবে, ভোট দিলেই হবে। সরকার তথা এক নায়ক তন্ত্রী নেত্রীর সুমতি হোক, লক ডাউনের নামে সরকারি বনধ ডাকা বন্ধ হোক। কারণ কোভিড বা করোনায় যত লোক মারা গেছে তার থেকে বেশি লোক মারা গেছে অন্যান্য রোগে। আর মিডিয়ার করোনা আক্রান্ত ছড়ানো বন্ধ হোক, এই তৃতীয় ঢেউ আসছে বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন বাচ্চারা আক্রান্ত বেশি হবে। খবর গুলো পড়ে মনে হয় করোনা ভাইরাস ওদের বলেছে আমি এবার এসে বাচ্চা দের ধরব। দয়া করে আতঙ্ক না ছড়িয়ে, কীভাবে মানুষ সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারে সেটা প্রচার করুন। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...