পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শাসক দল তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চালু করেছে ছাত্র ছাত্রী দের জন্য কেডিড কার্ড। কোন ছাত্র ছাত্রী বিশেষ শিক্ষার ( ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য ব্যয় সাপেক্ষ) জন্য 4% সুদে ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। কোন জামিন দার লাগবে না, কারণ সরকার গ্যরেন্টার। আপাতত দৃষ্টিতে খুব ভালো, কারণ শোধ করতে হবে চাকরি পাওয়ার পরের বছর থেকে চল্লিশ বছর বছর পর্যন্ত সময়। প্রশ্ন হলো চাকরি না পেলে কি শোধ করতে হবে না? যদি সত্যিই কেউ চাকরি পেল 35 বছরে বা অরেকটু বেশি বয়সে, তাহলে কি হবে? কারণ পশ্চিমবঙ্গে চাকরি পেতে হলে ঘুষ দিতে হবে এটা এই সরকার আসার পর ওপেন সিক্রেট। অর্থাৎ সবাই জানে অথচ কেউ জানে না। আজ দশ এগারো বছরে যত টুকু নিয়োগ করা হয়েছে তা শাসক দলের বাড়ির লোক এবং অধিকাংশ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। আর ইঞ্জিনিয়ারিং শিখে চাকরি সেত এই রাজ্যে নেই, সব পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সে সব সকলের ভাগ্যে জোটে না।
কোন ছাত্র ছাত্রী ঋণ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর ( কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল, আরও যা আছে) ক্যাম্পাসিং হলো অন্য রাজ্যে চাকরি করতে গেল আর ছ মাস পরে চাকরি চলে গেল। কারণ এই রাজ্যে তো কোন কারিগরি বিদ্যার চাকরি নেই, কেমিক্যাল হাব হতে দেননি। টাটা মোটর হয় নি, হিন্দ মোটর বন্ধ, ইনফোসিস, ও অন্যান্য আই টি হাব করতে দেন নি। আর সরকার যেখানে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করছে অন্য রাজ্য থেকে। এ বিষয়ে বাংলা পক্ষের একটি প্রতিবাদের ছবি দিলাম।
এবার একমাত্র বাকি থাকল মেডিক্যাল পড়া অর্থাৎ ডাক্তারি পড়া সেখানেও এখন দূর্নীতি ভালো ছেলে মেয়েরা সুযোগ পায় না। এবার ভেবে দেখুন কেডিড কার্ড কতটা কার্যকর যে টা পাবার জন্য কয়েক দিন ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক এবং ছাত্র ছাত্রীরা নেট খরচ করে যাচ্ছেন। আরেকটা কথা কেডিড কার্ড রাখার জন্য প্রতি বছর ব্যাঙ্ক গুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা চার্জ কাটে সেটা কাটবে না তো। শেষে আরেকটা কথা এই কার্ডের স্বাস্থ্য সাথীর মত অবস্থা হবে না তো! দেখা যাবে শেষে বাবা মায়ের ভিটে মাটি বিক্রি করে ঋণ শোধ করতে হবে। কারণ এরা তো কেউ আদানি, আম্বানি, রামদেব জয় শা নয় যে ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment