আমি জানি না এই কথাটা সত্য কিনা, কিন্তু আজ পশ্চিমবঙ্গ তথা বাংলার দিকে তাকিয়ে দেখুন, এই দশ বছর বাংলায় স্বৈরতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আছে। সেখান থেকেই জণ্ম নিচ্ছে ফ্যাসিবাদের বা ফ্যাসিস্ট দলের। গত ২০১১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে একটি নির্বাচন ও শান্তি পূর্ণ হয় নি। নির্বাচনের আগে পরে অশান্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত কারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বামপন্থীরা, তাদের অফিস ভাঙচুর বাম সমর্থক দের ঘর ছাড়া করা, ভয় দেখিয়ে নিজের দলে নেওয়া। ভোটের আগে ভয় দেখানো, ভোটের পর রিগিং আগে শুনতেন সান্টিফিক রিগিং, রিগিং এর নাম এখন তো আরও উন্নত রিগিং, যেখানে বড়ো বড়ো অফিসের কর্মীরা যুক্ত, কেবল টাকার জন্য ক্ষমতা দখল। আর টাকা দিয়েই ক্ষমতায় আসা। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, গত ২০১১ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে যে ভাবে বামেদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে, ঠিক একই কায়দায় বর্তমান নির্বাচন গুলোর পর থেকে বামেদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনে পাটি অফিস ভাঙচুর থেকে শুরু করে সব কিছু। একজন ও গ্রেফতার হয়নি, থানায় কেস বা এফ আই আর পর্যন্ত নেয়নি, যদি বা নিয়েছে তাও চাপ দিয়ে তোলা হচ্ছে। আর আছে অজস্র মিথ্যা কেস, ঝাণ্ডা বাঁধতে বাধা দেওয়াল লেখায় বাধা সব আছে, প্রতিবাদ করলেই জুটেছে ডাকাতির কেস আরও কতকি। আর এখান থেকেই ফ্যাসিস্ট শক্তি আমাদের রাজ্যে মাথা চাড়া দিয়েছে, আজ দশ বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাকান দেখুন আর এস এস কত হাজার প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছে, কি করা হচ্ছে এসব জায়গা থেকে হিন্দু পাড়ার মধ্যে মুসলিম সেজে ভাঙচুরের এবং অত্যাচার আর মুসলিম পাড়ার মধ্যে হিন্দু হয়ে গণ্ডগোল পাকানো। কারণ একটাই শাস্তি নেই, বামেদের উপর অত্যাচার হলে শাস্তির কোন প্রশ্ন ওঠেনা। এই নির্বাচনে জয়ী স্বৈরাচার আর স্বৈরাচার থেকে জণ্ম নেওয়া ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট দলের দুই নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আক্রান্ত হল সাথে সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা যদি সর্ব ক্ষেত্রে করা হতো তাহলে আজ রাজ্যে এই ফ্যাসিস্ট শক্তি তাদের শক্তি বিস্তার করতে পারত না। স্বৈরাচারী শাসক এটা সুকৌশলে করে তুলেছে, যাতে ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার বিরোধী মূল শক্তি রাজ্যে আর কোন মতে না থাকে। স্বৈরাচারী শাসক সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না, সেটাই প্রতিটি নির্বাচনে ঘটে চলেছে, এক জন শাসক থাকেন, তিনি যা কিছু করেন বলেন জনগণের জন্য করছেন কিন্তু সেই জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারেন না। কারণ তিনি জানেন তার উন্নতি নিজের এবং কতিপয় নেতা কর্মীদের কখনো সমগ্র মানুষের কাছে পৌঁছয় না। স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট দের মূল কাজ মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে কষ্টে রাখা, তারা কষ্টে থাকবে তাতে নিজের আখের গোছাতে সুবিধা হবে। একটু ছিটে ফোঁটা পৌঁছে দিলেই হলো। কেবল প্রচার বিভিন্ন ভাবে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে রাখা, চুরি গুলো মানুষের মনে না থাকে তার চেষ্টা। আজ পশ্চিমবঙ্গরে নির্বাচন এ জয়ী স্বৈরাচারী শাসক কে দেখে অনেকেই ভাবছেন বা বলছেন যাক ফ্যাসিস্ট কে তো আটকানো গেছে। তাদের অবগতির জন্যে একটা কথা বলি, দেখুন নির্বাচনে জয়ী হল হওয়ার পর আক্রান্ত কারা সেই বামপন্থীরা, এক জনও গ্রেফতার হয়েছে না হন নি, এরা কারা এই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট দলের সমর্থক তারা জানে তাদের মূল শত্রু বামপন্থী দল বিশেষ করে সি পি আই এম। আজ যারা ভাবছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী ঐ ফ্যাসিস্ট শক্তি না ফ্যাসিস্ট কখনো স্বৈরাচারের বিরোধী হতে পারে না। কারণ এরা জানে স্বৈরাচার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত ফ্যাসিস্ট দল বাড়বে, পশ্চিমবঙ্গে তথা কথিত বিরোধী তথা ফ্যাসিস্ট দলের বিধায়ক অর্ধেকর বেশি এই স্বৈরাচারী দলের প্রাক্তন বিধায়ক বা সাংসদ। এরা কখনো মানুষের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরতে পারেন না। সাধারণ মানুষ কে বুঝতে হবে, স্বেচ্ছাচার কে না আটকাতে পারলে বাংলা ফ্যাসিস্ট শক্তি বাড়াবে এবং ধর্মের নামে, ভাষার নামে, জাত পাতের বিষয়টি আরো বাড়বে, কারণ ফ্যাসিস্ট দের কাজ হলো মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। মানুষ যত বিভাজিত হবে তত এদের লুট করার সুবিধা হবে। এমন একটা সময় আসবে যখন, নিজ দলের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই হবে। ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী শাসক, সে সর্বক্ষণ ক্ষমতায় থাকতে চায়, টাকার জন্য, এই টাকার জন্য নিজ দলের মধ্যে লড়াই, আজ পশ্চিমবঙ্গে সেটাই দেখা যাচ্ছে। স্বৈরাচারী দলের উপর তলার কিছু নেতা থাকে যারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কথা বলতে থাকে কারণ একটা নিজের অপরাধ চাপা দেওয়া। স্বৈরাচারী শাসক কখনো সাধারণ মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারে না।পশ্চিমবঙ্গে আজ সেটাই হচ্ছে, ক্ষমতা আর টাকার জন্য লড়াই জানে একবার কোন কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত সদস্য বা এমপি এম এল এ হতে পারলেই, পাঁচ বছরের মধ্যে কোটি পতি বাড়ি গাড়ি সব হবে। এই কারণেই বিরোধী শূন্য করতে চাওয়া, যাতে সব কিছু একাই ঠিক করতে পারে কেউ না বাধা দিতে পারে। স্বৈরাচার এক নায়ক তন্ত্রের জণ্ম দেয়, এবং নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই করতে থাকে। স্বৈরাচার এক নায়ক তন্ত্র বেশি দিন স্থায়ী হয় না। স্বৈর শাসকের সব কটি লক্ষণ আজ দেখা যাচ্ছে, প্রথম এরা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করতে পারে এরা জনগণ কে বিশ্বাস করতে পারে না এরা গনতন্ত্রের সব কটি জায়গা কে ধ্বংস করে দেয়, সংবাদ মাধ্যম, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা সব স্বৈরাচারী এক নায়ক সর্বদা প্রচারে থাকতে চায়। যা করে তার তিন গুণ প্রচার করে, প্রশাসন কে পুরো নিজের আয়ত্তে এনে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে, একের পর এক মিথ্যা কথা বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে চলে। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সব কটি লক্ষণ দেখা যাবে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment