Anulekhon.blogspot.com

Monday, 31 May 2021

বাংলা প্রবাদ বাক্য "দু কান কাটা" কাদের বলে?



দিল্লিতে হোক বা বাংলার ক্ষমতা এখন দু কান কাটা দের দখলে । মা, ঠাকুর মা দের মুখে শোনা এই প্রবাদ বা প্রবচন যাই বলুন অনেকেই শুনেছি। আরও ভেঙে বললে লজ্জা হীন ব্যক্তি বা বেহায়া ব্যক্তি। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, করোনা করোনা লকডাউন এর মধ্যে আবার শুরু করে দিয়েছে এন আর সি জানে কেউ জমায়েত করতে পারবে না। আর ও সব কিছুতেই বাংলাদেশের থেকে নীচে নেমে যাচ্ছে, ক্ষুধা তালিকা হোক, মাথা পিছু আয় হোক, আর টাকার দাম, সব কিছুই এখন বাংলাদেশে এগিয়ে গেছে এই করোনা ও লকডাউনের মধ্যেও। এমন বেহায়া দুকান কাটার দল, এক বছর আগে করোনা এসেছে কেবল লকডাউন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। ভ্যাকসিন আবিষ্কার সে তো বন্ধু ওষুধ কোম্পানি কে টাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের জন্য শূন্য। খেটে খাওয়া মানুষের হাতে কাজ নেই, টাকা নেই, ক্রয় ক্ষমতা নেই কেবল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি আছে কারণ ঐ আইন তুলে দেওয়া হয়েছে যে যেমন খাদ্য সামগ্রী মজুত করে রাখতে পারে সেখানেও সেই কর্পোরেট সংস্থা যারা ভোট পরিচালনা করে তাদের জন্য। নির্বাচন করা হয় না তো এগুলো তো প্রহসন কেবল জনগণের টাকা ধ্বংস করা, খেটে খাওয়া মানুষ কে মারামারি করে মরতে উৎসাহ দেওয়া হয়। মদ আর মাংসের ফোয়ারা ছোটে, এখন তো কেবল ভোটের দিনে নয়। আগে বা পরে যে কোন সরকারী অনুষ্ঠানের আড়ালে মদ ও মাংস একদম থাকতেই হবে। এই যে দুয়ারে সরকার হলো, মঞ্চের পিছনে গ্যালন গ্যালন মদ খাওয়া ব্যবস্থা করা হলো সবটাই সরকারি টাকায়। আর এখন তো সবই দুয়ারে কেবল ভ্যাকসিন টা নয়, ওটা তো মামুলি ব্যপার না এখন ভোট মিটে গিয়েছে টাকা আর মদ খরচ করে জেতা শেষ এবার টালির চালা দোতলা হবে, তিনটে চারটে দামি চার চাকা থাকবে তবে না ভোটে নির্বাচিত এম এল এ সাথে কিছু দালাল থাকবে। জানা নেই ভ্যাকসিনের নামে কী দেওয়া হচ্ছে তবুও সেটাও ঐ সব নেতা মন্ত্রীদের তথা বর্তমান শাসক দলের দখলে, সিঙ্গুর এলাকায় কয়েকটি জায়গায় বিরামনগর পলতাগড় করোনায় ছেয়ে গেছে পঞ্চায়েত থেকে না আছে স্যানিটাইজ করা না আছে ভ্যাকসিনের, শুনলাম ভ্যাকসিন করা হয়েছে বা হচ্ছে কেবল ঐ শাসক দলের নেতা কর্মী দের বাড়ির লোক জন পাচ্ছে। তৃণমূল নেত্রী সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়তো নন, তিনি চান না সব মানুষ বেঁচে থাকুক, মুখে বলেন এক কথা আর কাজে আরেকটা। আবার শুনলাম দুযারে ত্রাণ আসছে, সেও আবার কারা পাবে ঐ শাসক দলের কর্মী নেতার বাড়িতে যাবে। যেমন সিঙ্গুর এক নং পঞ্চায়েতের স্যানিটাইজ হয় কেবল প্রধান আর উপপ্রধানের বাড়ি আর তার এলাকায় বাকি বাদ স্কুল গুলো কবে যে শেষ স্যানিটাইজ করে ছিল সে মনে নেই। সরকারি টাকা কীভাবে লুট করতে হয় এদের থেকে শেখা উচিত। লোকের মুখে শুনেছি বা বর্তমান শাসক দলের কিছু নেতারা প্রচার করেছে বামেরা ক্ষমতায় আছে সব বাম নেতারা পাচ্ছে। পরিবর্তন করা হলে সকল মানুষের জন্য সরকার হবে। হচ্ছে টা কোথায় ভ্যাকসিন নিয়েও রাজনীতির শেষ নেই, সিঙ্গুর হরিপাল কেন রাজ্যের সর্বত্র একই চিত্র। আসলে দু কান কাটা তো খোলা খুলি চুরি করা এদের কাজ এদের লজ্জা শরম নেই। ঐ যে টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে তোয়ালে মুড়ে টাকা নিচ্ছে, প্রমানিত চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি তে জড়িত তবু সে বড় নেতা বড় বড় কথা বলতে ছাড়ছে না। সত্যিই এদের লজ্জা নেই এরা বেহায়া সাধারণ মানুষ কে এরা গোরু ছাগল মনে করে জানে মদ মাংস পাঁচশ হাজার টাকা দিয়ে দিলেই অনেকেই ভোট দিয়ে দেবে, আর সাথে আছে ঘুষ খোর এর দল উর্ধিধারী তোলা বাজের দল। সকল দু কান কাটা দের ধন্যবাদ। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...