Anulekhon.blogspot.com

Monday, 3 May 2021

ধর্ম কে বর্ম করে সম্পদ লুট করা একদল মানুষের কাছে রাজনীতি।

 


এক সময় এই ধর্ম দিয়ে সত্যিই বিশ্ব জয় করে ছিলেন এই উপমহাদেশের এক শাসক সম্রাট অশোক। সে অতীত ইতিহাস তার পর থেকে ধর্ম নিয়ে যা কাণ্ড হচ্ছে  এ গুলো কে ধর্ম বলা যায় কি? সব ধর্ম প্রচারক নাকি শান্তির কথা বলে গেছেন, সব মানুষের সমান অধিকারের কথা বলে গেছেন কিন্তু নিজে যে সব কর্ম কাণ্ড করে গেছেন সে সব ভাবা যায় না। মদিনা থেকে মক্কা যাত্রা অন্য ধর্মের তথা পৌত্তলিক ধর্ম স্থান ধ্বংস করতে করতে যাওয়া এবং সম্পদ লুট করতে করতে যাওয়া ও মানুষ কে খুন করতে করতে যাওয়া হয় লুটের ধর্ম মেনে নাও নয় মরো। মার মার কাট কাট করতে করতে যাওয়া এবং বিজয় উল্লাস, এর পর সম্পদের অধিকার নিয়ে লড়াই নিজেদের মধ্যে মারামারি যুদ্ধ। শুধু কি তাই, ক্ষমতা দখলের জন্য দুই ধর্মের মানুষের সাথে লড়াই, ক্রুশেড অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের সাথে খ্রীষ্টান ধর্মের যুদ্ধ সেও ক্ষমতা দখল এবং লুট করা নিয়ে একবার দুবার নয় তিন থেকে চার বার। সামনে ধর্ম আসল উদ্দেশ্য অপরের সম্পদ লুট। আর আজ পর্যন্ত যেটা এই উপমহাদেশে চলে আসছে। আজ ভারত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কীভাবে ধর্মীয় স্থান আক্রান্ত হচ্ছে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ লুট করা হচ্ছে বাংলাদেশে তো এটা সরকার স্বীকৃত, অপরাধের কোন শাস্তি নেই। বর্তমান ভারতও পিছিয়ে নেই কেবল এখানে কৌশল অবলম্বন করা হয় বলছে আমরা হিন্দু ধর্মের রক্ষক কিন্তু এই হিন্দু ধর্মের মধ্যে যে জাতি ভেদ আছে, নিম্ন বর্ণের মানুষের ওপর অত্যাচার আজ সর্বজনীন করে তুলেছে কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতায় থাকা দল। বাঙালি ইসলাম ধর্মের মানুষ তারা নিজেদের ভাবে সব বিদেশী বাংলায় বাস করে কিন্তু বাঙালি নয়। যত রকম ভাবে হোক খুন খারাপি ওদের পেশা এটাই নাকি ওদের ধর্মের আছে, ইসলাম ধর্মের একদল মানুষ ধর্মের নামে ব্যবসা করছে কোটি কোটি টাকার মালিক একটা জলসা করলে হুজুর দের আয় ভাবা যায় না। আর এই কারণেই আধুনিক শিক্ষা কে অস্কীকার করে সমান্তরাল ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে এপার বাংলায় এবং ওপার বাংলায়। এরা আধুনিক বিজ্ঞান মানে কিন্তু স্বীকার করে না এগুলো অ- মুসলিম দের তৈরি এমনকি মসজিদে যে মাইক এবং স্পিকার ব্যবহার করে সেটা যে এক জন অ-মুসলিম আবিষ্কার করেন সেটা জানে সেটা ব্যবহারে দোষ নেই, কিন্তু সেই মানুষের অস্তিত্ব স্বীকার করতে দোষ তিনি কাফের। এই সেদিন দেখলাম বাংলাদেশের এক হুজুর বলছে যে ইংরেজরা এবং আমেরিকার লোক পরমানু বোমা তৈরি করে কিন্তু জামা কাপড় তৈরি করতে পারে না সেটা যায় বাংলাদেশ থেকে। এতো বড় মুর্খ পৃথিবীতে আছে কিনা সন্দেহ, কারণ  সব চেয়ে বেশি তুল চাষ হয় আমেরিকার কালো মাটিতে আর লন্ডনের শিল্প বিপ্লব হয়ে ছিল কাপড়ের মিল থেকেই, অতিরিক্ত উৎপাদন এবং ভারতের তাঁত শিল্প কে ধ্বংস করে ছিল এই কাপড়ের মিল অর্থাৎ আধুনিক যন্ত্রপাতি। এতটাই অশিক্ষিত এবং ধর্মান্ধ যে জানে না বাংলাদেশে এখন যে কাপড় বা গার্মেন্টস শিল্প গড়ে উঠেছে কেবল সুলভ  এবং কম টাকায় শ্রমিক পাওয়া যায় বলে আসলে সুতো এবং ছিট কাপড় এবং মেশিন বা যন্ত্রপাতি সবটাই বিদেশি আবিষ্কার, আতাদের ধর্ম গুরু করে নি করেছে কোন এক ইহুদি বা খ্রীষ্টান। আসলে বাঙালি দলিত তথা হিন্দু ধর্মের নিম্ন বর্ণের মানুষ ধর্ম বদল করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে, নিজেকে সবথেকে ধর্ম পালক দেখাতে গিয়ে নিজের ছেড়ে আসা ধর্মের মানুষ জন দের উপর অত্যাচার করা আর সম্পদ লুট করা এই এদের কাজ। বাঙালি এখনও সেই জায়গায় রয়েছে নিজের ধর্মেই বিভাজন ঘোচাতে পারে নি। সেই যে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে তা এখনও ঘোচে নি সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। যে কারণে স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগ বাঙালি আটকাতে পারে নি। হিন্দু, মুসলমান, দলিত আদিবাসী, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র এক থাকলে বাঙালি জাতির এই অধঃপতন কখনো সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার সময় বাংলা ভাগ না হলে আজ বাঙালি  ভারত শাসন করত। এখনও সময় আছে নিজেদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে মারামারি না করে, জাত পাতের লড়াই না আসুন সব বাঙালি এক হয়ে যাই শান্তি ফিরিয়ে আনি। এক ভাষা এক জাতি এটাই হোক বাঙালি জাতির লক্ষ্য। ধর্ম থাক বাড়িতে, মন্দিরে মসজিদে একে অপরের উপর অত্যাচার বন্ধ করি। যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করছেন তারা একটু ভেবে দেখবেন, ধর্ম দিয়ে বিশ্ব জয় করার যুগ চলে গেছে, আপনি ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে দাঙ্গা লাগিয়ে যে সম্পদ লুট করছেন, সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত ভাববেন এই ভাবে অপরের সম্পদ লুট এবং অপর ধর্মের মানুষ খুন এটা কি আপনার ধর্ম ! আসুন সকলে মিলে মানবতা কে ধর্ম করে তুলি। আপনি চোখ মেলে দেখুন আজ সব থেকে বড় ইসলাম ধর্মের দেশ যে দেশে হজরত মহম্মদ জণ্ম গ্রহণ করে ছিলেন সেই দেশে এখন থেকেই শুরু করতে চলেছে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্ম গ্রন্থ এবং ভাষা এবং বিজ্ঞান ও ইতিহাস পড়ানো হবে, আর আপনারা সেই ধর্মের একজন হয়ে নিজেকে পিছিয়ে রাখছেন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, মানব সভ্যতা কে এগিয়ে নিয়ে চলুন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...