Anulekhon.blogspot.com

Monday, 17 May 2021

রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার প্রক্রিয়া শুরু।


 পশ্চিমবঙ্গে সদ্য আট দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েেছ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে, কোন দফায় শান্তি ছিল না, কিছু না কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, এমনকি মারা গেছে। অনেক কিছু ঘটার পর গত ২ রা মে গননার পর পশ্চিমবঙ্গে শাসক পরিবর্তন হয় নি। কিন্তু না কে শোনে কার কথা, যেহেতু কেন্দ্রীয় শাসক দলের বাংলা দখল করা হল না। ছলে বলে কৌশলে বর্তমান শাসক দলের জয় হোল, এটাই মেনে নিতে পারছে না, কেন্দ্রীয় শাসক দল। কেন্দ্রীয় শাসক দল চাইছে যেমন করে হোক বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে। রাষ্ট্রপতি সে তো একটা কাঠের পুতুল আসলে কেন্দ্র চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শাসন কে সেখানে বসে আছে, একজন খুনের আসামী। তিনি খুনের দায়ে জেল খেটেছেন, ভাবুন বাঙালি ভাবতে শিখুন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী, যাহোক আমরা এদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। ভারতের সংবিধানে এসব আছে যে যত খুন করবে এবং মিথ্যা কথা বলবে চুরি করতে পারবে সে ততবড় নেতা হবে এবং ভোটে জিতে মন্ত্রী হবে। ঐ লোক টা জানে বাংলার বর্তমান শাসক দল একটি চোর চিটিংবাজের দল, আর আজ সাত বছর কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় বর্তমান কেন্দ্রীয় শাসক দল ( বি জে পি) ক্ষমতায় এবং তার আগে থেকেই বর্তমান বাংলার শাসক দলের ( তৃণমূল) নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সি বি আই তদন্ত চলছে, তাদের জেলে   দেওয়ার   পরিবর্তে নিজের তথা কেন্দ্রীয় (বি জে পি) দলের নেতা তথা সাংসদ করেছে।  বর্তমানে তারা অনেকেই কেন্দ্রীয় শাসক ( বি জে পি) দলের বিধায়ক হয়েছে। সি বি আই যখন গ্রেফতার করেছে সকল কে করুক না বেছে বেছে কেবল তৃণমূলের লোকজন কে কেন? যাতে রাজ্যে অশান্তি  বাড়ে এবং   নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়। আসলে স্বপ্ন দেখছে, যেমন কেন্দ্রে  প্রথম  লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২ আসন পেয়েছিল। তারপর ৮১ টি এবং  তথা ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২০৫ টি তারপর এন ডি এ জোটের সরকার গঠন, তারপর দুটি নির্বাচনে ভরাডুবি আবার ২০১৪ সালে মিথ্যাবাদী   জোচ্চর কে প্রমোট করে কর্পোরেট এর টাকায় ভোটের জেতা, ঠিক এটাই ভাবছে বাংলায় হবে, বর্তমান শাসক তথা তৃণমূলের কল্যানে ৩ থেকে ৭৭ হয়েেছ এবার ভোট হলে ২০০ পার করে দেবে বাঙালি। অনেকেই হয়তো লেখাটা পড়ে ভাববেন, তৃণমূলের তথা চোর চিটিংবাজ ঘুষ খোর মিথ্যযাবাদী, কাটমানি খোর চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির দল তৃণমূল কে সমর্থন করি, না আমি দৃঢ় ভাবে বলছি এই দুই দলের একজন কেও আমি সমর্থন করি না। কারণ এরা মানুষ কে তথা খেটে খাওয়া মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না, ভোটের সময় নানা রকম মিথ্যযা প্রতিশ্রুতি আর ভোটে জিতে অন্য মূর্তি আমি এদের কাউকে সমর্থন করি না, তবুও এসব লিখছি কারণ রাজ্যে এখন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে করোনা করোনা করে লকডাউন এর ঠেলায় অনেক মানুষ আছে যাদের কাজ চলে গেছে ট্রেন বন্ধ যান চলাচল বন্ধ আয় উপায় বন্ধ তার উপর করোনা হলে মিলছে না সঠিক চিকিৎসা, পেটের খিদে না মেটাতে  পেরে পরিবার সহ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছে। এসব দিকে এই দুই সরকারের নজর নেই, গরীব মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে হবে সে সব চিন্তা ভাবনা নেই কেবল ক্ষমতা দখল করতে হবে। আমার কেন চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী বিরোধী সকলের দাবি আয়কর যারা দেয় তাদের বাদ দিয়ে প্রতিটি পরিবার কে মাসে ৭৫০০ টাকা দিতে হবে। আর এই সব খেটে খাওয়া মানুষ কে ভোটের আগে যেমন বলেছেন দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে, দুয়ারে রেশন পৌঁছে দিতে হবে সকল মানুষের রেশন কার্ড থাক বা না থাক তবে মাসে পরিবার পিছু দু কেজি চাল নয়, ৩৫ কেজি চাল দিতে হবে, না হলে এই লকডাউন তুলে নিন কারণ না করছেন করোনা টেষ্ট না করছেন চিকিৎসা কেবল গরীব মানুষ কে না খাইয়ে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয় এবং ছ মাসের মধ্যে বা পরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভোট করে সেই টাকা আসবে কোথা থেকে সেই টাকা এই সময়ে মানুষের জন্য খরচ করুন সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আর রাজ্যের শাসক দলের নেতা কর্মী দের বলছি আপনারা জানেন না আপনাদের নেতা মন্ত্রীরা তোয়ালের নীচে টাকা নিয়েছে, কিম্বা চিটফাণ্ড এর টাকা হজম করেছে, কাটমানি তোলাবাজির টাকায় আজ কোটি পতি। আপনারাদের সবাই কে মানুষ চেনে আপনারা চোর চিটিংবাজ এবং অশান্তি কারি দল আর সে কারণেই বি জে পি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে এই সব চোর চিটিংবাজ দের গ্রেফতার করেছে আর আপনারা যত অশান্তি করবেন দেখবেন, ঐ ধর্মের ধব্জা রাজ্যপাল আছে ওকে দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবে। আর রাজ্যের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে, আর ছ মাস হোক যা হোক আবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন করা হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...