Anulekhon.blogspot.com

Friday, 14 May 2021

শিক্ষা আজ বিক্রি হয়ে গেছে অশিক্ষার কাছে।

 এক সময় বাঙালি ইংরেজ শাসকের কাছে দরবার করেছে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা বাংলায় প্রচলন করার জন্য। কারণ তখন ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল, রাজা বা সামন্ততান্ত্রিক শিক্ষা। যার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছিল ধর্ম কে ভিত্তি করে, সেখানে সকলের অধিকার ছিল না শিক্ষা নেওয়ার, সার্বজনীন পাশ্চাত্য শিক্ষায় বা আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে সেই সময় থেকেই। বাঙালি জাতি এগিয়ে গিয়েছিল বিজ্ঞান গবেষণা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিকের উন্নত শিক্ষায়। এই শিক্ষা তাদের এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা একটা জাতি বুঝে ছিল, সঠিক শিক্ষা দিতে হলে স্বাধীনতা চাই। কেবল কেরানি কুল তৈরি করার জন্য মিশনারি শিক্ষা ব্যবস্থা, এটা পাশ্চাত্য শিক্ষা নয়। আধুনিক শিক্ষায় ছিল না গোলামীর শিক্ষা নিজেকে বিকিয়ে দেওয়ার শিক্ষা। ব্রিটিশ মিশনারি পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেখানে কেবল ইংরেজের গোলাম তৈরির শিক্ষা ছিল, সে পুলিশের চাকরি, কেরানির চাকরি যে যেখানে ছিল প্রত্যেকে শেখানো হতো, কীভাবে গোলামী করতে হবে, কীভাবে ঘুষ নিতে হবে, কীভাবে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করে টাকা আদায় করতে হবে। মানুষ কে কিছুতেই এক বা সংঘ বদ্ধ হতে দিলে হবে না। জাতের নামে ধর্মের নামে, টাকা দিয়ে হলেও দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে হবে। মদ বিক্রির জন্য মদ খাওয়া ধরাতে হবে, যেটা বাঙালি আজও ভুলতে পারে নি। অবশ্যই সব বাঙালি নয় যারা ইংরেজের গোলামের বংশধর তারা ভুলতে পারে নি। একটু চারপাশে তাকিয়ে দেখুন, অসৎ অফিসারে বাংলা তথা দেশ ছেয়ে গেছে, তাতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ মরবে তো কি হয়েছে? তারা সংখ্যা ছাড়া কিছু না, আমাদের টাকা চাই, সাধারণ মানুষ ভীষণ ভুলে যায়। এই কয়েক বছর আগে, তারকেশ্বরের একটি সভায় মাননীয়া বলছেন একা খেলে হবে সকলে ভাগ করে খাও। তারপর 75% ও 25% এর বিভাজন করে ছিলেন, এখন মানুষ কে টাকা দিয়ে কেনা যায়, যেমন ধরুন এই পি কে না সিকে শুনলাম পাঁচ শ না সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা খরচ করে নিয়োগ করা হয়েছে, কেন ভোটে জেতার জন্য। টাকার দরকার কম হলে চলবে না, কোটি কোটি টাকা তিনি কার জন্যে কাজ করছেন কি করছেন দেখার দরকার নেই, তিনি চোর, কাটমানি খোর, ঘুষখোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদীর দের জন্য নিযুক্ত সেটাও দেখার প্রয়োজন নেই, কারণ তার টাকার দরকার। টাকার জন্য সব করা যায় টাকার গায়ে তো লেখা নেই, সেটা কিসের টাকা চুরির না ডাকাতির না ঘুষের। এই লোক টি তো পশ্চিমবঙ্গরে জন্যে আসেনি এর আগে দিল্লিতে যিনি ক্ষমতায় এসেছেন, তিনি এঁদের প্রথম নিয়োগ করে ছিলেন। একটু তাকিয়ে দেখুন এই লোকটা বা যারা বিজ্ঞাপনে অংশ নিতেন সেই সব মানুষ জানত যে সাধারণ মানুষ কে ঠকান হবে এই সব কাজ একটাও হবে না। এগুলো মিথ্যা ছাড়া আর কিছু না, কারণ পনেরো লক্ষ টাকা, বছরে দু কোটি চাকরি, কালো টাকা উদ্ধার কোনটাই সম্ভব নয়। কারণ যারা তাদের টাকা দিয়ে এই বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, তাদের সকলেই সরকার কে কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশের ব্যাঙ্কে টাকা জমা করে রেখেছে, অতএব এটা সম্ভব নয়।জেনেও কেবল টাকার জন্য মানুষের রায় কে বদলে দিতে উঠে পরে লেগেছিল, আমার রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। কিছু অসৎ অফিসার এবং পাহারাদার যারা এক মাস ধরে বাক্স পাহারাদার হিসেবে ছিলেন এবং যাদের ওখানে গিয়ে ঐ যন্ত্র ঠিক আছে কিনা দেখতে হতো সেই মানুষ গুলো কেবল টাকার জন্য এমন কাজ করেছে যে, আগামী দিনে একটা শিক্ষিত প্রজন্মের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছেন। কারণ চাকরি পেতে হলে ঘুষ দিতে হবে না হলে মরতে হবে, অনশন করতে হবে। কিছু মানুষ আছেন যারা চাকরি করেন সামান্য টাকা বেতন তাদের কাছে এই একটা সুযোগ টাকা পাওয়ার। একে হাত ছাড়া করা যাবে না। এটা বোঝা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতেও এই সব বাঙালি নিজে কে বদলাতে পারবে না। কারণ ভাবুন একজন শিক্ষিত মানুষ তিনি আবার অধ্যাপক মন্ত্রী হলেন, তাকে এস এস সি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করলেন কী উত্তর পেলেন, এস এস সি, কি দুর্গা পুজো যে প্রতি বছর হবে। অন্যভাবে বলা যেত, এতেই প্রকাশ পেয়েছে শাসকের মনোভাব। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে টালির চালা, তিন তলা প্রাসাদ হয়েছে। স্বনামে বেনামে সম্পত্তির শেষ নেই, তাঁকে মানুষ দু হাত ভরে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমি কেবল ভাবি এই সব অসৎ ঘুষখোর মানুষের বাড়িতে কেউ কিছু বলে না। আমি আশাবাদী এক দিন আসবে, তখন সেই প্রবাদ বাক্য সত্য হবে, " মাসি তুমি আমার ফা়সির কারণ।" আজ কাল বাঙালি ঠিক এই ছবির মত বুদ্ধিমান।



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...