Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 3 March 2021

শিব পুজোর মন্ত্র ও নিয়ম ।


 শিব দেবাদি দেব তিনি একটি বেল পাতাতে তুষ্ট, ভক্তি ভরে একটি বেল পাতা শিব লিঙ্গের মাথায় দিলে তিনি ভীষণ খুশি এবং ভক্ত কে রক্ষা করার জন্য তিনি সব রকম সাহায্য করে থাকেন। আসুন আমরা শিব পুজোর মন্ত্র ও নিয়ম জেনে নিই। প্রথমে বলি কয়েক রকম শিব পুজো আছে। পার্থীব শিব পুজো এই শিব পূজো বাড়িতে মাটি দিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ট প্রমাণ তার থেকে ছোট নয় বড় শিব লিঙ্গ বানিয়ে নিতে হবে। একটু চাপ দিয়ে মাথা একটি গুলির মত বজ্র বসিয়ে দিতে হবে। মন্ত্র " ওঁ হরায় নম" আর পিনাক টি উত্তর দিকে রাখতে হবে। এই শিব পুজোর নিয়ম একটু আলাদা তাই ব্রাহ্মণ ডেকে করতে হবে। যে কোন শিব পুজো উত্তর দিকে মুখ করে বসে করতে  হয়। কারণ শিবের বাসস্থান হিমালয় সেটি ভারতের উত্তর দিকে অবস্থিত সে কারণেই এটা করতে হবে। এছাড়া শিব লিঙ্গ পুজা, শিব মুর্তি পুজো একসাথে কখনো দুটি শিব লিঙ্গ পুজো করতে নেই। অনেকেই বলেন লিঙ্গ টি আসলে প্রডাক্টিভিটির প্রতীক, আমার তো তা মনে হয় না, কারণ ব্যকরণে আমরা লিঙ্গ পড়ে ছি, যা বিভিন্ন নাম কে স্ত্রী ও পুরুষে ভাগ করে। যা হোক যে যা ভাবেন ভাবুক যুগ যুগ ধরে পুজো হয়ে আসছে ক্রমশ হয় তো বা আকার আকৃতি পাল্টানো হয়েছে। পুজোর কথায় আসি মুর্তি থাকলে মাথায় জল দিয়ে স্নান করাতে নেই কারণ রং এবং অন্যান্য কিছু নষ্ট হয়ে যাবে। সামনে ঘট বসানো হয় এবং সেখানে ঐ স্নান করাতে হবে। এবার আসুন মন্ত্র ও নিয়ম। শিবরাত্রির ব্রত নিয়ে শেষে লেখা থাকবে, বিশেষ বিশেষ দিনে সাধারণ শিব লিঙ্গ পুজো ( শিব রাত্রির দিন) 
আগের দিন হবিষ্যান্ন খেতে হবে, পরের দিন পুজো অব্রাহ্মণ হলে ওঁ না বলে নমঃ বলে পুজো করবেন। লিঙ্গ বা শিলা পুজোর সময়ে ঘট স্থাপন না করলেও চলে। শিলা বা শিব লিঙ্গ কে বেল পাতার উপর বসাতে নেই। শিব রাত্রির দিন এক প্রহরে বা চার প্রহরে পুজো করতে পারেন। প্রতি বার তিন বার করে স্নান করাবেন, কেবল স্নানের মন্ত্র আলাদা, প্রথম প্রহরে ডাবের জল, দ্বিতীয় প্রহরে দুধ গঙ্গা জল দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে মধু দিয়ে, চতুর্থ প্রহরে ঘৃত এক প্রহরে হলে সব গুলো এক সাথে মিশিয়ে নিন। :- প্রথম প্রহরে মন্ত্র :-ইদং স্নানীয় দোকং ওঁ নমঃ সদ্যোজাত শিবায় নমঃ। দ্বিতীয় প্রহরে :- ইদং স্নানীয় দোকং পশুপতয়ে নম :  তৃতীয় ও চতুর্থ প্রহরে :-  ইদং স্নানীয় দোকং নমঃ শিবায় নমঃ । স্নানের পর বেল পাতা দেবেন এতৎ সচন্দন বিল্বপত্র ওঁ নম শিবায় নমঃ । এর পর সূর্যের অর্ঘ দিয়ে, :- ওঁ নম বিম্বস্বতে ব্রহ্মণ ভাস্বতে বিষ্ণু তেজসে জগৎ সবিত্রে ইদং অর্ঘ্য ওঁ নম শ্রী সূর্যায় নমঃ। ( রাতে হলে ভট্টকর নমঃ) । এবার সূর্য প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম ধন্বতারিং সর্ব পাপোঘ্ন প্রণতোস্মি দিবাকরম ।এর পর নিচের বিষয় গুলো করুন। আবার এই স্নান প্রধান পুজোর সময়েও দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে নীচের মন্ত্র দিয়ে পুজো করে নিয়ে প্রধান পুজোর সময়ে স্নান জল দিন। বিঃ দ্রঃ :- মুদ্রার ছবি দেওয়া গেল না, কিন্তু আহ্বানে পঞ্চ মুদ্রা এবং ধ্যান মুদ্রা, আর সামান
অর্ঘ্য স্থাপনের মুদ্রা প্রদর্শন করে পুজা করতে হবে। মুদ্রা অবশ্যই প্রদর্শন করবেন। 
আচমন ও বিষ্ণুস্মরণ :- ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ বিষ্ণু, ওঁ তদ্বোবিষ্ণু পরমপদং সদা পশ্যন্তি সুরোয়, দ্বিবীব চক্ষুরাততম। 
ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং গত হোপি বা। যৎ স্মরেৎ পুণ্ডরি কাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর শুচি শুচি। সর্ব মঙ্গল মঙ্গলং বরেদং বরেণ্যং শুভম । নারায়ণং নমস্কৃতং সর্ব কর্ম কারয়েৎ ।
শঙ্খ চক্র ধরং দ্বি ভুজং বিষ্ণু পীত বসনম। প্রারম্ভে সর্ব কর্ম নং বিপ্র পুণ্ডরি কং স্মরেদ্ধ রিম । মাধব মাধব বাচি মাধব হৃদি স্মরণতি সাধ্ব সর্ব কার্যেসু মাধবম । ওঁ শ্রী মাধবম, ওঁ শ্রী মাধবম, ওঁ শ্রী মাধবম। 
২) কয়েকটি দেবতা কে ফুল দিয়ে নিন :- এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্রী বিষ্ণবে নারায়ণায় নমঃ। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ক্রীং কালিকায় নম । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশ দিক পালেভ্য নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে নারদাদি পার্শ্ব দেবভ্য নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মৎসাদি দশ অবতারভ্য নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে কুল দেব দেবীভ্য নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ইষ্ট দেব দেবীভ্য নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে সর্ব দেব দেবীভ্য নমঃ। 
৩) স্বত্তি বাচন :- ওঁ কর্তব্য হোস্মিন গাং গনপতাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক   শিব পুজা কর্মানি। ওঁ পূণ্যাহম ভবন্ত ব্রুবন্তু ।ওঁ পূণ্যাহম ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁ পূণ্যাহম ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁ পুণ্যাহম ।ওঁ পুণ্যাহম ।ওঁ পুণ্যাহম ।
ওঁ কর্তব্য  হোস্মিন  গাং গনপত্যাদি নানা দেবতা পুজা পুর্বক শিব পুজা কর্ম্মানি । ওঁ স্বত্তি ভবন্ত বুব্রন্তু ।ওঁ স্বত্তি ভবন্ত ব্রুবন্তু ।ওঁ স্বত্তি ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি ।
ওঁ কর্তব্য হোস্মিন গাং গনপত্যাদি নানা দেবতা পুজা পূর্বক শিব পুজা কর্ম্মানি। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্ত ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্ত ব্রুবন্তু ।ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁঋদ্ধতাম । ওঁ ঋদ্ধতাম। ওঁ ঋদ্ধতাম ।
স্বত্তি সূক্ত :- (স্বত্তি পাঠ করার সময় কুশীতে নেওয়া আপত চাল ছড়াতে ছড়াতে) ওঁ সোমং রাজনং বরুণ অগ্নিম ভামহে। আদিত্য বিষ্ণু সূর্যং বৃহস্পতিম। স্বত্তি ন বৃহস্পতির দ- ধাতু। স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা। স্বত্তি ন পুষ্য বিশ্ব বেদা। স্বত্তি নত্রোক্ষ অরিষ্টানমি । ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি ।
স্বাক্ষ্য মন্ত্র :- ওঁ সোমং জমং কালং সন্ধ্যা ভুতানহ ক্ষপা। পবন দিক পতি ভূমিরাক্ষং খচরা মরা। ব্রাহ্মণ শাসনা মাস্তায় কল্প ধিহম ।
বরণ :- যযমানের বাড়িতে গিয়ে পুজো করলে এটি করতে হবে আর যযমান কে আচমন, বিষ্ণু স্মরণ , কয়েকটি দেবতার পুজা স্বত্তি বাচন করিয়ে নিতে হবে। ( যযমান শুদ্র হলে ওঁ এর বদলে নমঃ বলতে বলবেন।) যযমান :- সাধু ভাবা নাস্তাম ব্রাহ্মণ :- সাধ্যামাসে । যযমান :- অর্চায়াস্ম ব্রাহ্মণ :- অর্চয় যযমান :- এতানি গন্ধ পুষ্প বস্ত্রা অঙ্গুরি যজ্ঞ উপবীত পূজক ব্রাহ্মণায় নমঃ ।ব্রাহ্মণ :- ওঁ স্বত্তি । কুশিতে কুশ দিয়ে তৈরি ত্রিপত্র তিল ফুল জল হরিতকি ফল নিয়ে যযমান :- ওঁ বিষ্ণুরোম ( শুদ্র হলে, নম বিষ্ণু মোহর্দ ) তৎ সদ্য ফাল্গুন মাসি কৃষ্ণ পক্ষে চতুর্দশী তিথৌ চতুর বর্গ সিদ্ধি কামনার্থায় অমুক গোত্র ( পুজকের গোত্র) অমুক দেব শর্মা চতুর্দশী শিব পুজা পুজক কর্ম করোনায় মহং বৃনে ।  ব্রাহ্মণ :- ওঁ বৃহস্পতিম । যযমান :- যথা জ্ঞান পুজা কুরু। ব্রাহ্মণ :- যথা জ্ঞান কুরবানী।
অধিবাস :-( মুর্তি হোক আর লিঙ্গ শিলা যাকেই পুজো করা হোক অধিবাস করতে হবে। অর্থাৎ বরণডালা নিয়ে বরণ, শিলা বা লিঙ্গ হলে হাতে সুঁতো বাঁধা হবে না। এই অধিবাস ব্রাহ্মণ নিজে করতে পারে আবার যযমান কে দিয়ে করাতে পারেন, করুন তাকে অধিবাসের স্বত্তি বাচন  হবে বা করাতে হবে।)
অধিবাসের স্বত্তি বাচন :- ওঁ কর্তব্যহোস্মিন ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ পক্ষে চতুর্দশী শিব পুজা শুভ অধিবাস কর্মানি। ওঁ পুণ্যাহম ভবন্ত ব্রুবন্তু। ওঁ পুণ্যাহম ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁ পুণ্যাহম ভবন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ পুণ্যাহম । ওঁ পুণ্যাহম । ওঁ পুণ্যাহম ।
ওঁ কর্তব্য হোস্মিন ফাল্গুন মাসি কৃষ্ণ পক্ষে চতুর্দশী শিব পুজা শুভ অধিবাস কর্মানি । ওঁ স্বত্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু ।ওঁ স্বত্তি ভবন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ স্বত্তি ।ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি ।
ওঁ কর্তব্য হোস্মিন ফাল্গুন মাসি কৃষ্ণ পক্ষে চতুর্দশী শিব পুজা শুভ অধিবাস কর্মানি। ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্ত ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধিং ভবন্তু ব্রুবন্তু । ওঁ ঋদ্ধতাম ।ওঁ ঋদ্ধতাম । ওঁ ঋদ্ধতাম ।
স্বত্তি সূক্ত :- ওঁ সোমং রাজনং বরুণা অগ্নিম ভামহে । আদিত্য বিষ্ণু সূর্যং বৃহস্পতিম। স্বত্তি ন ইন্দ্র বৃদ্ধ শ্রবা। স্বত্তি ন পুষা বিশ্ব বেদা। স্বত্তি নত্রক্ষো অরিষ্ঠানমি । ওঁ স্বত্তি । ওঁ স্বত্তি ।ওঁ স্বত্তি । (কুশিতে নেওয়া আতপ চাল ও দূর্বা ছড়িয়ে দেবে, যদি যযমান কে দিয়ে কাজ টি করান তাহলে এবং যযমান শুদ্র হলে ওঁ এর বদলে নম বলান) 
বরণ ডালা নিয়ে :- অনেন প্রশস্তি পাত্রেন অস্য ওঁ নম শিবায় নমঃ।  (শিবও দুর্গা মুর্তি হলে অনেন প্রশস্তি পাত্রেন অস্য ওঁ নম শিব দুর্গায় নমঃ) (শিব লিঙ্গ বা শিলার সামনে কম করে সাত বার সব থেকে বেশি হলে এগারো বার। যদি শিব দুর্গার মূর্তি থাকে তবে। হাতে সুঁতো বেঁধে দিতে হবে। দুর্গার বাম হাতে আর শিবের ডান হাতে।
সুঁতো বাঁধার মন্ত্র :- অনেন মঙ্গল সুত্রেন অস্য ওঁ শিব ও দুর্গায় নমঃ 
 যদি যযমান কাজটি করে তবে তাকে দিয়ে পঞ্চ উপাচার নিবেদন করিয়ে দিন। পঞ্চ উপাচার। গন্ধ ( চন্দন বা অগরু) পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য। স্নান দেওয়া করান) 
মন্ত্র :- এষো গন্ধ ওঁ নম শিবায় নমঃ । এতৎ পুষ্পম ওঁ নম শিবায় নমঃ । এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নমঃ । এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নমঃ। এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নম । 
ইদং স্নানীয়দকং ওঁ নম শিবায় নমঃ 
পুষ্প অঞ্জলী দেওয়া করান :- এতৎ স্ব চন্দন পুষ্প বিল্বপত্রাঞ্জলী ওঁ নম শিবায় নমঃ। (তিন বার দিন যযমান কে প্রণাম মন্ত্র পাঠ করান) 
প্রণাম মন্ত্র :-  ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয়ো হেতবে নিবেদামি চাত্মাং ত্বং গতি পরমেশ্বর । ( একটা কথা মনে রাখতে হবে যযমান শুদ্র হলে অবশ্যই ওঁ এর বদলে নমঃ বলবে) 
এবার পুজক ব্রাহ্মণ পঞ্চ গব্য শোধন করে নেবেন। 
সংক্ষেপে করবেন। গরুর থেকে প্রাপ্ত পাঁচটি জিনিস। 
গোময়, গোমুত্র, দুধ, দই, ঘৃত। একসাথে মিশিয়ে গায়ত্রী পাঠ করে নিন। 
এবার সংকল্প করুন :- 
সংকল্প মন্ত্র :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণ পক্ষে চতুর্দশী তিথৌ অমুক গোত্র অমুক দেব শর্মণ ( শুদ্র হলে দাসস্য) চতুরবর্গ সিদ্ধি কামনার্থায় শিব পুজা কর্মানি করিষ্যামি ।
সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন :- (  নিজের ডান দিকে জল দিয়ে ত্রিকোন মণ্ডপ এঁকে নিয়ে)(ঐ মণ্ডপের উপর ফুল দিয়ে পুজো করুন।) 
মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তায়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথীবৈ নমঃ। এবার " ওঁ ফট" বলে কোশা ওখানে বসাতে হবে। তার পর ওঁ নম শিবায় মন্ত্রে কোশা জল পুর্ণ করে নিয়ে কোশার উপরে দিকে পুজো করতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মেনে নমঃ। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মেনে নমঃ। ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মেনে নমঃ। (এবার অঙ্কুশ মুদ্রা মধ্যমা ও তর্জনী একসাথে করে তর্জনী প্রথম কর ভাঁজ করে নিয়ে এই মুদ্রা তৈরি করা হয়।) এবার জল শুদ্ধির মন্ত্র :- ওঁ গঙ্গদা সরতি চ সর্বা সমুদ্রাশ্চ সরংসি চ আয়ন্তু যযমানস্য দূরিত ক্ষয় কারক। ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী নর্মেদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্ধিং কুরু ।পুজো উপকরণে কুশ ত্রিপত্র দিয়ে 
জলের ছিটা দিন। বং এতেস্মৈ গন্ধা দিভ্যভ নমঃ । তিন বার। 
দ্বার পুজো:-ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব ।( সংক্ষেপে)
এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম।
এষো ধূপ ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম।এষো দীপ দ্বার দেবগনভ্য নম। এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ দ্বার দেবগনভ্য নম।
 বিঘ্ন অপসারণ :- ওঁ অস্ত্রায় ফট বলে বাম পায়ের গোরালি দিয়ে ভুমিতে তিন বার আঘাত করতে হবেে।
 মাস ভক্ত বলি :- বং এতেস্মৈ মাসভক্ত বলয়ে নম।( একটি মাটির খুড়ি বা কলা পাতাা টুুকরো নিয়ে তার উপর মাস কলাই দই একটু মধু দিয়ে। এবার কুশ দিয়ে জলের ছিটে তার পর আহ্বান ও পূজা। )
ভূতদ্বয়ের আহ্বান =ওঁ ভূতদ্বয় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব।
পূজা :- এষো গন্ধ ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ পুষ্পম ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ বিল্ব পত্র ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ ভূত্যাদিভ্যোব নম।ওঁ ভূতদ্বয় ক্ষমধ্বম ।( কুষি করে একটু জল দিতে হবে।)এবার হাত জোর করে। ওঁ ভূত প্রেত পিশ্চাস যে বসন্ত্র ভুতলে তে গৃহন্তু্ ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাদিতা পূজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লিতর্পিতুস্তা পূজা পশন্তু মৎ কৃতাম।( এবার আতপ সাদা সরিষা ছড়াতে ছড়াতে।) ওঁ অপসর্পন্তু ভূত প্রেত সর্বে যে ভূতা বিঘ্ন করতারস্তেে নশ্যন্তু শিব আজ্ঞায়।অপসর্পন্তু পিশ্চাস রাক্ষশ্চাশ বেতালশ্চ সরীসৃপ অপসর্পন্তুতে চণ্ডিকাস্ত্রেন তাড়িতা।
আসন শুদ্ধি :- ( আসনের নীচে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে) ওঁঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নম। ( আসন ধরে।) অস্য আসন উপবেশন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা আসন উপবেশনেে বিনিয়োগ।ওঁ ত্বয়া ধৃতা লোোকাদেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা তঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্র কুরুচাসনম। (তালি দিয়ে গুরু পঙতি পাঠ করতে হবে।) ডানদিকে - ওঁ গাং গনেশায় নম। বাম দিকে - গুরুভ্য নম। পরম গুরভ্য নম ।পরমেষ্ঠী গুরভ্যে নম । ঊর্ধ্বে - ব্রহ্মণে নম।পশ্চাতে - ওঁ ক্ষেত্রপালভ্য নম
পুষ্প শুদ্ধি :- ( অঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা দিয়ে  ফুল পর্শ্ব  করে) ওঁঁ পুুষ্পকেতু রাজা হর্তে শতেয় সম্যকায় হুং।ওঁ পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পেে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়নকীর্বে চ হুং ফট স্বাহা ।
প্রণায়াম :- ঐং মন্ত্রে প্রাণায়াম করতে হবে। ১৮)সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি :- রং মন্ত্রে কুশ ত্রিপত্র নিজের চাা পাশে জলের ছিটে দিয়ে নিতে হবে। বলয়ে বসে আছি কল্পনা করে মন্ত্র বলতে হবে। ১)ওঁমূলশৃঙ্গাঠচ্ছির সূষমান্ন পথেন পরম শিব পদে যোজয়ামি স্বাহা। ২) ওঁঁ রং লিঙ্গং শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা । ৩) ওঁঁ যং সংকোোচ শরীরং দহ দহ স্বাহা । ৪) ওঁঁ পরম শিব পদে সুষমান্ন পথেন মূলশৃঙ্গাঠ্যমূল্য জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল সোহংঅস স্বাহা ।
করশুদ্ধি :- একটা লাল নিয়ে বৃর্দ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে অঙ্গগুলি দিয়ে পেষণ করে ঈশাণ কোনে ওঁ অস্ত্রায় ফট মন্ত্রে ছুঁড়ে দিতে হবে।
ন্যাস গুলো ঘট বসানো স্থানে শুকনো সিন্দুর দিয়ে ঘট ও ডাবে আঁকা ঐ মূর্তি এঁকে নিয়ে তার উপর করলে জায়গাটা পীঠস্থানে পরিনত হয়। এটি আমার নিজস্ব মত। 
মাতৃকা ন্যাস :- অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষি গায়ত্রী ছন্দ মাতৃকা সরস্বতী হলো দেবতা বীজানি স্বরে শক্তেভ্য বীজেভ্য নম।মাতৃকান্যাসে বিনিয়োগ। ওঁ ব্রহ্মণ ঋষয়ে নম।ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নম।ওঁ মাতৃকা সরস্বতৈ নম ।ওঁ শরেভ্য শক্তেভ্য নম।ওঁ হলেভ্য্য বীজেভ্য নম ।ওঁ অবক্ত ক্লীকায় নম।
অন্তর মাতৃকা ন্যাস :-  ওঁ অং আং ইং ঈংউং ঊংঋং ঋং লীং লীংএং ঐং ওংঔংঅং অঃইতি কণ্ঠে। ওঁ কং খং গং ঘং ঙং চং ছং জং ঝং ঞং টং ঠং ইতি হৃদয়ে। ডং ঢংণং তং থং দং ধং নং পং ফং ইতি নাভৌ। বং ভং মং যং রং লং ইতি লিঙ্গ মূল। ওঁ বং শং সং ষং ইতি মূলাধারে । ওঁ হং ক্ষং ইতি ভ্রূমধ্য।
 বাহ্য মাতৃকা ন্যাস :- ( নিজ শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে বা দেবী মূর্তি বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে করতে পারেন।) পঞ্চাশলি পিভর্বি ভক্ত মুক্ষদা ভাস্ব মৌলি চন্দ্রশ কলা মাপীন তুঙ্গস্তীনাম মূদ্রা মোক্ষ গুনম পন্নমধ্য বক্ষ স্থলম হস্তাম্বুজ বিবর্ণভাঙ বিশদপ্রভাং ত্রিনয়নাং বাগদেবতা মাশ্রয়ে । ওঁ অং নম । ওঁ আং নম । ওঁ ইং নম। ওঁ ঈং নম। ওঁ উং নম। ওঁ ঊং নম। ওঁ এং নম। ওঁ ঐং নম। ওঁ অং নম। ওঁ অঃ নম। ওঁ কং নম। ওঁ খং নম। ওঁ গং নম। ওঁ ঘং নম । ওঁ ঙং নম।ওঁ চং নম। ওঁ ছং নম।ওঁ জং নম। ওঁ ঝং নম । ওঁ ঞং নম। ওঁ টং নম। ওঁ ঠং নম। ওঁ ডং নম। ওঁ ঢং নম। ওঁ ণং নম। ওঁ তং নম। ওঁ থং নম। ওঁ দং নম। ওঁ ধং নম। ওঁ নং নম। ওঁ পং নম। ওঁ ফং নম। ওঁ বং নম। ওঁ ভং নম। ওঁ মং নম। ওঁ যং নম। ওঁ রং নম। ওঁ লং নম। ওঁ বং নম। ওঁ শং নম। ওঁ সং নম। ওঁ ষং নম। ওঁ হং নম। ওঁ ক্ষং নম।
সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্রজং হরিণ পোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈরবীরতীং দধিতীং ত্রিনেত্রাম।অর্দ্ধ মৌলিমরুণামরবিন্দবাসনং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভারনম্রাম। ওঁ ক্ষং নম।ওঁ হং নম। ওঁ সং নম। ওঁ শং নম। ওঁ ষং নম ।ওঁ বং নম ।ওঁ লং নম। ওঁ রং নম ।ওঁ যং নম ।ওঁ মং নম ।ওঁ ভং নম।ওঁ বং নম।ওঁ ফং নম ।ওঁ পং নম। ওঁ নং নম। ওঁ ধং নম।ওঁ দং নম।ওঁ থং নম ।ওঁ তং নম।ওঁ ঢং নম। ওঁ ডং নম।ওঁ ঠং নম। ওঁ টং নম।ওঁ ঞং নম। ওঁ ঝং নম।ওঁ জং নম। ওঁ ছং নম।ওঁ চং নম।ওঁ ঙং নম।ওঁ ঘং নম।ওঁ গং নম। ওঁ খং নম।ওঁ কং নম।ওঁ অং নম।ওঁ অঃ নম।ওঁ ঔং নম। ওঁ ওং নম।ওঁ ঐং নম।ওঁ এং নম।ওঁ লীং নম।ওঁ ল্লীং নম।ওঁ ঋং নম।ওঁ ঋং নম।
ওঁ ঊং নম। ওঁ উং নম। ওঁ ঈং নম।ওঁ ইং নম। ওঁ আং নম।ওঁ অং নম।
পীঠ ন্যাস :- ( একটি ফুল নিয়ে়ে,ঘট বসানোর জন্য যে অষ্ট দল পদ্ম আঁকা হয় সেই স্থানের চতুর্দিক ও মধ্যে স্পর্শ করে পীঠ ন্যস করতে হয়) ওঁ আধার শক্তয়ে নম।ওঁ কুর্ম্মায় নম।ওঁ অন্তায় নম।ওঁ পৃথীবৈ নম। ওঁ ক্ষীর সমুদ্রায়় নম। ওঁ শ্বেত দ্বীপায় নম। ওঁ মণিদ্বীপায় নম। ওঁ কল্পবৃক্ষায় নম। ওঁ মণি মণ্ডপায় নম। ওঁ রত্ন মণ্ডপায় নম। ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নম। ওঁ রত্ন বেদিকায় নম। ওঁ ধর্মায় নম।ওঁ জ্ঞানায় নম। ওঁ বৈরাগ্যায় নম। ওঁ ঐশ্বর্যায় নম। ওঁ অধর্মায় নম। ওঁ অজ্ঞানায় নম। ওঁ অবৈরাগ্যায় নম। ওঁ অনৈশ্বার্যায় নম। ওঁ অনন্তায়় নম । ওঁ পদ্মায় নম। ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম। ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। ওঁ রং রজসে নম।ওঁ তং তমসে নম।ওঁ আং আত্মনে নম। ওঁ অং অন্তর আত্মনে নম। ওঁ পং পরম আত্মনে নম। ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মনে নমঃ। ওঁ শ্মশানায় নমঃ । ওঁ শবায় নমঃ । ওঁ প্রেতায় নমঃ । ওঁ নন্দীয়ৈ নমঃ । ওঁ ভৃরিঙ্গীয়ৈ নমঃ । ওঁ ব্যাঘ্রকৃত্তৈয় নমঃ । ওঁ পঞ্চমুণ্ড আসনায় নমঃ । 
কর ন্যাস :- ওঁ আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নম । ওঁ ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা । ওঁ  ঊং মধ্যমাভ্যাং বৌষট । ওঁ ঐং অনামিকা ভ্যাং হুং । ওঁ ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বষট । ওঁ অং অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
 অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ  আং হৃদয়ায় নম।ওঁ  ঈং শিরসে স্বাহা। ওঁ ঊং শিখায় বৌষট।ওঁ ঐং কবচায় হুং। ওঁ ঔং নেত্রায় বষট। ওঁ অং অঃ করতল পৃষ্ঠা ভ্যাম অস্ত্রায় ফট। 
ব্যপক ন্যাস :- ওঁ নম শিবায় মন্ত্রে দুই বাহু প্রসারিত করে ব্যপক ন্যাস করবেন। 
ঋষ্যাদি ন্যাসঃ- ওঁ বামদেব ঋষি পঙতি ছন্দ, ঋষ্যাদি ন্যাসে বিনিয়োগ। ওঁ বাম দেব ঋষয় নমঃ। ওঁ পঙতি ছন্দসে নমঃ । ওঁ নম শিবায় নমঃ । 
ধ্যান :- ওঁ ধ্যায়ে নিত্যং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং, রত্ন কল্প উজ্জ্বলাঙ্গ পরশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম। পদ্মাসীং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক, ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্বদ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম ।
মানস পূজা :- নিজের হৃদয় কে দীপ, মন কে নৈবেদ্য, শরীর কে ধূপ কল্পনা করে অর্থাৎ সমগ্র শরীরে কে গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য কল্পনা করে নিবেন করতে হবে। 
বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন :- নিজের বাম দিকে ভূমি তে জল দিয়ে একটি চতুষ্কোন তার মধ্যে একটা ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তার উপর ত্রিপাদিকা বসিয়ে পুষ্প দিয়ে পুজো করে নিন। 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথীবৈ নমঃ । এবার ত্রিপাদিকার উপর শাঁখ বসিয়ে ওঁ নম শিবায় বলে জল পুর্ণ করে অঙ্কুশ মুদ্রা বা কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জল স্পর্শ করে জল শুদ্ধি করে নিতে হবে। ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব্য গোদাবরি সরস্বতী নমর্দে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্ধিং কুরু । এবার শাঁখের উপর বেল পাতা তার উপর অর্ঘ্য টি রেখে ফুল দিয়ে পুজো করে নিন। 
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নমঃ। 
বেদি শোধন :- বেদ্যা বেদি সমপ্যতে যুপে ন যুপ আপায়তং প্রণীত অগ্নিম। 
পীঠ পুজা :- যে হেতু প্রতিষ্ঠিত শিলা বা লিঙ্গ পুজো ঘট স্থাপন নেই সে কারণেই পীঠ পুজো হবে না। শিব দুর্গ
 পুজোয় করতে হবে। পীঠ ন্যাসের মন্ত্র আর পীঠ পুজোর মন্ত্র এক কেবল এতে গন্ধে পুষ্পে যোগ করতে হবে। 
ঘট স্থাপন :- শিলা বা লিঙ্গ পুজোয় হবে না। শিব দুর্গা পুজোয় করতে হবে কারণ সেখানে মূর্তি আছে। 
মন্ত্র :- ( সামবেদীয়) ( ধান স্পর্শ করে ) ওঁ ধানবন্ত করমনিভ মপূ পবন্ত মুখ থিনম ইন্দ্র পাতুতযস্যান। ( ঘট বা কলসী স্পর্শ করে) ওঁ আবিসন কলসং সূত বিশ্ব অর্ষন্ন ইন্দু রীন্দ্রায় ধীয়তে ।
( কুশ দিয়ে জল স্পর্শ করে) ওঁ আ ন ঘৃতৈ ব্যুতি মুক্ষতম, মধ্বা রজসিং সক্রতু। ( পল্লব স্পর্শ করে) :- ওঁ অয়া মুর্জাবত বৃক্ষ ঊর্জীব ফলানি ভব। পর্ণ বনস্পতে নূত্ত্বা নূত্ত্বা চ সুয়োতাং রয়ি ।
( ফল স্পর্শ করে) :- ওঁ ইন্দ্র নর নেমে ধিতা হব্যং যৎ পর্যা যুনযতে ধীয়তে ।শূর নৃশতা শ্রবশ্চা কাম আঃ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং । ( বস্ত্র) ওঁ যুবা সুবাসা পরিবৃত আগত স উ শেয়ন ভাবতী জায়মান। তবঃ ধীরসা কবয় উন্নতি সাধ্বে মনসা দেবয়ন্ত। ( সিন্দুর) :- ওঁ সিন্দুরো উচ্ছাসে পতয়ন্তো মুখং হিরণ্য পাব পশম পশু গৃভনতে। ( ফুল) পবনমান  বশ্নহি সূর্য রশ্মি ভি দধোস্তত্রে সুবীর্যম। ( স্থরি করন) স্থাং স্থিং স্থির ভব। প্রণেতহোস্মিং স্থাতর্হনাম । সর্ব তীর্থোদ্ভোব বারি সর্ব দেব সমন্বিত সমারুয্য দেব গন সহ। যাবৎ পুজাস্মি তাবৎ সুস্থিরা ভব।
কাণ্ড রোপন :- ওঁ কাণ্ডৎ কাণ্ডৎ প্রহোরন্তি পুরুষ পুরুষ পরি। এবেন দূর্বেন প্রতেনু সহস্রেন শতেন চ ।
সুত্র বেষ্ঠন :- সূত্র দ্যামং হেসং সুমোদিতিং সুশর্ম্মাং মোদিতিং, দৈবাং নাবাং সরিত্রাম নাগম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে। 
আহ্বান :-( মূর্তি থাকলে করতেই হবে আবার শিলা বা লিঙ্গ হলেও করতে হবে। ধ্যান করে আহ্বান করতে হবে) 
ধ্যান করে আহ্বান :- ওঁ ধ্যয়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং রত্ন কল্পো উজ্জ্বলাঙ্গ পরুশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম। পদ্মাসীং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্ব দ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম ।
ওঁ নম পশুপতয় শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।ওঁ দেবেশ ভক্তি সুলভে পরিবার সমন্বিতে যাবৎ পূজিয়াস্মি তাবৎ সুস্থিরাভব ।
মূর্তি হলে চক্ষু দান :- যেহেতু শিলা পুজো তাই চক্ষু দান হবে না। 
প্রান প্রতিষ্ঠা :- এই প্রান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং ষং শং সং হৌং হংস ওঁ নমঃ শিবায় জীব ইহস্থিতা। আং হ্রীং ক্রং যং রং লং বং ষং শং সং প্রাণ ইহ প্রাণ। আং হ্রীং ক্রং যং রং লং বং ষং শং সং হং হৌং হংস বাগ্মচক্ষুশ্রোতা ঘ্রাণা প্রাণা সর্ব ইন্দ্রিয়ানগ ইহ চির সুখং তিষ্ঠতি। ওঁ মনর্জোতির যুষ্যা তাম জস্য, বৃহস্পতি যজ্ঞ মিমং তনত্ব রিষ্ঠং যজ্ঞ সমিম দধাতু, ইহমদায়ন্ত প্রতিষ্ঠ প্রাণ, অসৈ প্রাণ ক্ষরন্তি চ। তিন গায়ত্রী জপ করে দেবেন। 
এবার পঞ্চ দেবতার পুজো করবেন। 
প্রথম গনেশের পুজো :- ধ্যান :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদং লম্বদরং । প্রসন্নদম মদ গন্ধ লুদ্ধ মধূপ ব্যলল গণ্ডস্থলম ।দন্তাঘাতে বিদারিতারি রুধিরৈ সিন্দুর শোভা করম । বন্দে শৈল্য সুতা সূতং গনপতিং সিদ্ধি প্রদং কামদম ।
আহ্বান :- ওঁ স্বর্ণ গনপতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
গন্ধ :- এষো গন্ধ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
পুষ্প :- এতৎ পুষ্পম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
ধূপ : - এষো ধূপ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
দীপ :- এষো দীপ ওঁ গনেশায় নমঃ ।
নৈবেদ্যম :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ এক দন্তং মাহাকায়ং লম্বদরং গজাননম । বিঘ্ন নাশকাং দেবং হেরম্বং প্রনহম ।
সূর্যের পূজো :- ধ্যান :- ওঁ রক্তাম্বুজাসনম শেষ গুনৈর্ক সিন্ধু ভানুং সমস্ত জগৎ ধিপ ভজামি। পদ্মদয়া বরাভয় দধাতন ।করারব্জৈ মৌলি মরুনাঙ্গ রুচিম ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ শ্রী সূর্যায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
পূজো :- গন্ধ :-এষো গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ ।
পুষ্প :- এতৎ পুষ্পম ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ ।
ধূপ :- এষো ধূপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ ।
দীপ :- এষো দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ 
নৈবেদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ জবাকুসুম সংঙ্কাশংস কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম। ধন্তারিং সর্ব পাপঘ্নম প্রনোতস্মি দিবাকরম ।
নারায়ণ পুজা :- ওঁ ধেয় সদা সবৃত্রমণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরসিজাসন সন্নিবেষ্ঠিত। কেয়ূরবান কনককুণ্ডলবান কীরিটীহারী হিরণ্ময়বপু ধৃত শঙ্খ চক্র। 
আহ্বান :- ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
গন্ধ :- এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।
পুষ্প :- এতৎ পুষ্পম ওঁ শ্রী নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।
ধূপ:- এষো ধূপ ওঁ শ্রী নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।
দীপ :- এষো দীপ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।
নৈবেদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ  নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ নমহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রাহ্মণ হিতায়চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণ নমহস্তুতে ।
শিব পুজো :- ওঁ ধ্যয়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং রত্ন কল্পো উজ্জ্বলাঙ্গ পরুশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম।পদ্মাসংস্থানং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্ব দ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম । 
আহ্বান :- ওঁ নম শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
গন্ধ :- এষো গন্ধ ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ ।
পুষ্প :- এতৎ পুষ্প ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ ।
ধূপ :- এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নমঃ ।
দীপ :- এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নমঃ ।
নৈবেদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হেতবে । নিবেদয়ামি চাত্মাং ত্বং গতি পরমেশরম ।
জয় দুর্গা পুজো :- ধ্যান :- ওঁ কালা ভ্রাভাং কটারক্ষৈরি কুল ভয়দাং মৌলি বন্ধেন্দু রেখাং । শঙ্খ চক্র কৃপান ত্রিশিখমপি করৈরুধ্ব হন্তিং ত্রিলোচনাম । সিংহ স্কন্ধাধিরূরাং ত্রিভুবন মখিলাং তেজস পুরোয়ন্তিং । ধ্যয়ে দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশ পরিবৃত্তাং সেবিতাং সিদ্ধি কামৈ ।
আহ্বান :- ওঁ হ্রীং দুর্গায়া ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
গন্ধ :- এষো গন্ধ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।
পুষ্প :- এতৎ পুষ্প ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।
ধূপ :- এষো ধূপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।
দীপ :- এষো দীপ ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।
নৈবেদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বাথ সাধিকে স্মরণ্যে ত্রমবকে গৌরি নারায়ণী নমহস্তুতে ।
প্রধান পুজা :- ধ্যান :- ওঁ ধ্যয়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং রত্ন কল্পো উজ্জ্বলাঙ্গ পরুশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম । পদ্মাসীং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্ব দ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম । 
এবার যদি পঞ্চ উপাচারে পুজো হয় তাহলে, গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য। 
দশম উপাচারে পুজো হয় তবে, রজত আসন,(. রজত আসন আসলে রূপার তৈরি একটি চৌক পাত এটি দশকর্মা দোকানে পাওয়া যায়) পাদ্য, অর্ঘ্য, স্নান, বস্ত্র, গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য। 
ষোঢ়শ বা ষোল উপাচারে পুজো হয় তবে, রজত আসন, স্বাগতম, পাদ্য, অর্ঘ্য, মধূপর্ক, আচমনীয়, পুনঃ আচমনীয়, স্নানের জল, বস্ত্র, গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, তাম্বুল ( কর্পূর দিয়ে পান সেজে দিতে হয়। পানের সংস্কৃত নাম তাম্বুল।) 
এবার প্রতিটি এভাবে সম্প্রদান করে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন দশম উপাচারে পুজো করার। 
রজত আসন :- বং এতেস্মৈ রজত আসনায় নমঃ ( মন্ত্রে তিন বার কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটা দিয়ে দিন।) এবার একটা ফুল নিয়ে, এতে গন্ধে পুষ্পে এত অধিপতয়ে শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।এতৎ সম্প্রদান ওঁ নম শিবায় নমঃ । এষো রজতাসনায় ওঁ নম শিবায় নমঃ ।( এটি সংক্ষিপ্ত মন্ত্র এগুলো বিস্তারিত আছে যাহোক প্রতি টি এভাবে নিবেদন করা যায়। স্নানীয় বা স্নান করানো মন্ত্র উপরে বলা হয়েছে, ঐ মন্ত্রে স্নান করবে। সব উপাচার এই ভাবে নিবেদন করা যাবে।) 
প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয় হেতবে নিবেদয়ামি চাত্মাং ত্বং গতি পরমেশরম ।
(পুষ্পাঞ্জলী ব্রাহ্মণ নিজে দেবেন পরে সাধারণ কে বা যিনি বা যারা উপবাস করে আছে তাদের দেওয়া করবেন। তাদের ক্ষেত্রে আচমন বিষ্ণু স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।) 
পুষ্পাঞ্জলী :- মনে রাখবেন যদি চার প্রহর পুজো করেন তবে প্রথম প্রহরে, এষো সচন্দন গন্ধ পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলী সায়ূধ বাহনায় সপরিবারায় ওঁ নম সদ্যোজাত শিবায় নমঃ। ( তিন বার) 
দ্বিতীয় প্রহরে :- ওঁ সদ্যোজাতর পরিবর্তে পশুপতয় নমঃ হবে। 
তৃতীয় ও চতুর্থ প্রহরে ওঁ নম শিবায় নমঃ ।
এবার প্রণাম মন্ত্র বলুন । ওঁ নম শিবায় শান্তায় - - - - 
শেষ মন্ত্র : - ওঁ যৎ ক্ষরং মাত্রা হিঞ্চ যদ ভবতে পূর্ণ ভবতু তদ প্রাসাদৎ সুরেশ্বর । ওঁ ক্ষমস্য ।একটু জল তাম্র পাত্রে দিন। 







No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...