Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 28 March 2021

কোন অঙ্কে বাংলায় বিজেপি!


 প্রথম অঙ্ক টি হলো প্রথম থেকেই মিডিয়ার অপপ্রচার মানুষের সমস্যা এবং জনগণের আন্দোলন কে উপেক্ষা করে, প্রতি নিয়ত দুটি দলের কেচ্ছা দেখানো। চুরি, মিথ্যাবাদী দের চিটিংবাজ দের এবং তোলাবাজ দের, মিডিয়ার সত্য কথা না বলতে পারার ক্ষমতা।

দ্বিতীয় অঙ্ক :- সিবিআই ই ডির ভাইপোর বাড়িতে হানা দেওয়া এর মূল কারনে মাননীয়ার পায়ে চোটের নাটক যাতে প্রচার করতে না যেতে হয়। ভাইপোও গৃহ বন্দী হয়ে গেছে সি বি আই এর ভয়ে। মাননীয়া জানে যে এবার রাজ্যে যেমন করে হোক বি জে পি সরকার আনতে হবে এটা তার চুক্তি সে কারণেই দলের যত তোলাবাজ দাঙ্গা বাজদের বিজেপি তে পাঠিয়েছে। পরে নিজেও ঐ দলে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হবে।

তৃতীয় অঙ্ক :- নির্বাচন কমিশন, এদের ইচ্ছা নেই বাংলায় শান্তিতে ভোট হোক। বাঙালি যত মারপিট করে মরবে এদের দেখতে ভালো লাগে। 

চতুর্থ অঙ্ক :-গ্রামের দিকে কিছু অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বাঙালি আছে যাদের একটু মদ মাংস দিলে নিজের বাপকে পর্যন্ত খুন করে দিতে পারে। নেতারা তথা সরকার ভিক্ষা দেয় সেটাতেই খুশি এরা। সেই কারণেই ঐ বিজেপির অবাঙালি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী বাঙালি কে বলে কুত্তার জাত যতই খেতে দাও পেট ভরে না, কেবল ঘেউ ঘেউ করে। আরও কত কী ভাষা তার সেই বিজেপি কে বাঙালিরা ভোট দিচ্ছে কেবল দিদির জন্য দিদি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

পঞ্চম অঙ্ক :- কিছু হিন্দু বাঙালি আছে যারা বিজেপি এলে তাদের বাড়ি গুলো সব সোনার হয়ে যাবে। সে কারণেই জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কি? মানুষ মরবে তাতেও ঠিক আছে ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবে আসামের মতো সে সব হলেও বিজেপি চাই। 

ষষ্ঠ অঙ্ক :- এ রাজ্যে অবাঙালির আগমন, এরা তাদের রাজ্যে সব অচ্ছুৎ জাত, নিম্ন বর্ণের মানুষ তাদের রাজ্যে উচ্চবর্ণের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে এরাজ্যে এসে বসবাস করছে এবং ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে এরা বাংলায় এখন তিন থেকে চার কোটি আছে। এদের অনেকেই বাংলায় কথা বলে তাই বোঝা যায় না। বিজেপি এদের স্বপ্ন দেখিয়েছে বাংলা দখল করে বাঙালি কে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে বাংলা কে পূর্ব বিহার বানানো হবে। বামেরা ছিল যত দিন এইসব সম্প্রদায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে নি। কিন্তু দিদি ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এরা ভীষণ ভাবে সক্রিয়। 

সপ্তম অঙ্ক :- জনগণ কে সহজে ধোঁকা দেওয়া যায়, কারণ অবশ্যই ধর্মের একটি বিশেষ ধর্মের মানুষ যাদের বেশির ভাগ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত এদের দিয়ে যা খুশি করানো যায় কেবল কিছু টাকার বিনিময়ে। দেখবেন বাংলার অপরাধের মধ্যে শতকরা আশি ভাগ এদের দ্বারা সংঘটিত হয়। সকলে দেখলেন গত ২০০৬ নন্দীগ্রামের আন্দোলন ধর্মের উস্কানি দেওয়া হল আর মাওবাদীরা যোগ দিল ব্যস একটা এলাকা দখল হয়ে গেল। বর্তমানে এই নির্বাচন দেখুন ওখানের প্রার্থী অর্থাৎ যিনি মানুষের রুটি রুজির কথা বলছেন তাকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যিনি ধর্মের নামে জিগির তুলে ভোট চাইছেন তাকে ঠাকুর যত্ন করা হচ্ছে, মাননীয়া প্রথম দিন ওখানে প্রচার করতে গেলেন, তার আগে ভাইপোর বাড়িতে সি বি আই হানা ব্যাস চোট লাগল পায়ে তিনি মিথ্যা বদনাম দিলেন ওখানের কিছু মানুষের নামে তার পর আবার বয়ান পাল্টে ফেললেন। ওসব কিছু না ঐ যে দু পাঁচশ টাকা পাওয়া আর মানুষের উপর জোর জুলুম করেও রেহাই পাওয়া যাবে এর কারণেই এবং তোলাবাজি টাকার ভাগ পাওয়া যাবে এই জন্য বিরোধী দের বাধা। দেখুন সেই বিশেষ ধর্মের অশিক্ষিত মানুষ এটা করছে। 

প্রথম আলো কে বলছি উত্তর পেলেন, সাংবাদিকতা করবেন সৎ হন। রাজ্যের মানুষের পাশে থাকুন সত্যি কথা লিখুন দালালি করে সাংবাদিক হওয়া যায় না। এই ছবিটি দিলাম এটা সত্য না সঠিক খবর জোগাড় করুন, এটা একশ শতাংশ সত্যি কারণ একটাই এই সংবাদ যারা প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা হয় নি ঐ শাসকের। 






No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...