Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 17 March 2021

বিজেপির মিশন 'সোনার বাংলা, সোনার ভারত নয় কেন? '


 পশ্চিমবঙ্গ গত দশ বছর ধরে সোনার বাংলা দেখছে, আবার বিজেপির নেতারা বলছে সোনার বাংলা করে দেবেন। আমার একটাই প্রশ্ন কেন্দ্রীয় সরকারে কারা ক্ষমতায় আছে বিজেপি, তাহলে কেবল বাংলা সোনার হবে কেন? গোটা দেশ টা সোনার বাংলা করে দিলে আলাদা করে আর বাংলা কে সোনার বাংলা করতে হবে না। আমরা বাঙালি জাতি ভীষণ প্রতিশ্রুতি তে ভুলে যাই, ঐ যে ১৫ লক্ষ টাকা এ্যাকাউন্টে চলে এসেছে না এই জন্যে। নোট বন্দী করে সব কালো টাকা   উদ্ধার করা হয়েে গেছে। জিনিস এর দাম কমে গেছে, ৬০ টাকার ডাল ১৫০ টাকা, ৮০ থেকে ১০০ টাকা সরষের তেল এখন কমে ১৪৫ বা টাকা হয়ে গেছে। পেট্রোল ডিজেল কমে ১০০ টাকা হয়ে গেছে। গ্যাসের দাম কমে ১০০০ টাকা হয়েছে। দেশের বেকারের সংখ্যা কমে স্বাধীনতার পর ৪৫ % হয়ে গেছে। সোনার আসাম হয়ে গেছে  এমন সোনার হয়ে গেছে গরীব মানুষ এখন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী। মা বাংলাদেশী বাবা ছেলে এদেশি, আবার কারো ছেলে বাংলা দেশী বাবা মা ভারতীয় কেমন সোনার আসাম হয়ে গেছে। আর চাকরি সে তো বলে শেষ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার রেল বেচে , ব্যাঙ্ক বেচে, বীমা বেচে সরকারি চাকরি তুলে দিয়ে সোনার ভারত করে ফেলেছে। সোনার গুজরাত হয়ে গেছে, বস্তি তথা ডিটেনশন ক্যাম্পের পাশে পাঁচিল তুলে চাপা দিয়ে। জয় শ্রীরাম বললেই যাবতীয় জিনিস পত্র বিনা পয়সায় দিয়ে দিচ্ছে। লক ডাউনে বিদেশ থেকে সব ফেরত এলো বিনামূল্যে বিমানে আর অন্য রাজ্যে কাজ করতে   যাওয়া শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে, শ্রমিকদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হলো তাদের শরীর সোনার হবে বলে। ত্রিপুরা তো সোনার করে তুলেছে, সরকারি চাকরি তুলে দিয়ে পেনশন তুলে দিয়ে, বেতন কমিশন না দিয়ে। আরেকটা ছবি দেখে নিন ইনি দিদির দলে ছিলেন সোনার বাংলা করবেন বলে, এমন সোনার বাংলা করেছে এখন নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে। 
এছাড়া বীরভূমের এক গুণ্ডডা আছে, সেও এমন গুণ্ডা পুলিশ পাহারাা দেয়, অথচ পুলিশকে বোম মারতে বলে। তার কথায় পুলিশ কে বোম মেরে মেরে ফেলা হয়। কী দূর্ভাগ্য পুলিশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করে এই সব সোনাা বাংলা গড়ার কারিগর দের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হয়। পাহাড়ে এরকম একজন আছে, তাকেও নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। কি সুন্দর সোনাা বাংলা হয়েছে তাই না। বেকার দের চাকরি আরে একটা রাজ্যের শুন্য পদ কত আর কেন্দ্রীয় শুন্য পদ কত আছে একবার সত্যি কথা বলতে বলুন, আমার মনে হয় জণ্মের পর থেকে কোন দিন সত্যি কথা বলে নি, যাদের জণ্ম দাতার ঠিক থাকে না, তারা এই রকম হয়, মানুষ কে মানুষ বলে মনে করে না। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে এরা মশা মারার মতো মেরে ফেলতে পারে। জানা নেই কবে বাঙালি আবার জাগবে এই দ্বিতীয় ইংরেজ দের হাত থেকে দেশ কে মুক্তি দিতে। বাঙালি তথা ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের খুব জরুরী হয়ে গেছে, আরেক জন সুভাষ চন্দ্র বসুর দরকার। শিক্ষিত বাাঙালি ওঠো জাগ, এই সব তথাকথিত ভদ্র  দের দেশ থেকে তাড়া করতে হবে। আর দেরি নয়, মিছিলের পদ ভারে কেঁপে উঠুুক বাংলা এই সব মিথ্যা বাদী ধাপ্পাবাজ চোর চিটিংবাজ দের বাংলা থেকে তাড়া করতে হবে। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ' দুলিতেছে তরী ফুলিতেছে জল ভুলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্ম্ৎ?  কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষৎ / এ তুফান ভারী দিতে হবে    পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।।' 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...