দু চাকার বেশি কোন গাড়ি চালানোর জন্য লাগে ড্রাইভিং লাইসেন্স, আর দু চাকা চালাতে রাইডিং লাইসেন্স না ড্রাইভিং লাইসেন্স সেটা কেউ জানে না।
আসলে তা নয় দু চাকা চালানো কে রাইডিং বলে এটাই অনেকেই জানেন না। যা হোক সকলেই বলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, সেটা দু চাকার হোক বা চার চাকা, সামান্য স্কুটি চালাতেও লাইসেন্স লাগে। আর এই লাইসেন্স পেতে যে কোনও মানুষের জুতোর শুকতলা ছিঁড়ে যায়। দালাল ছাড়া কোনো উপায় নেই, কেবল সরকারি ঘোষণা আছে বড়ো বড়ো বিজ্ঞাপন আছে, মানুষের হয়রানির শেষ নেই, সরকারি ভাবে এই লাইসেন্স করানোর জন্য আর টি ও তে যাও ( হুগলি জেলা শাসকের দপ্তর) সেখানেও দালাল আছে তিনি জোর গলায় বলেন। আমাদের সাহায্য ছাড়া নতুন লাইসেন্স অসম্ভব, দূর থেকে ট্রেনে বাসে করে আর টি ও তে গিয়ে কোন লাভ নেই।এ জানালা ও জানালা ঘুরে শেষ হয়ে যাবে, তবুও কেউ বলবে না কীভাবে নতুন লাইসেন্স পাওয়া যাবে, যদি বা বলে দায় সারা উত্তর দেবে। এখনতো ওয়েবসাইটের যুগ একটা ওয়েব সাইট বলে দেবে ( porivahan. gov. in) যে কোন সাইবার কাফেতে গিয়ে নাকি করা যায়! এবার সাইবার কাফে খোঁজার পালা যে কাফেতে যাবেন বলে দেবে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স করি না। এবার আপনি দালাল খুঁজুন এক এক দালালের এক এক রেট, ওখানের মানে অফিসে যিনি আছেন তার রেট দু হাজার টাকা, একটু দূরে আসুন রেট চার হাজার, কেউ কেউ বাইশ শো টাকা এবার আপনার সিদ্ধান্ত কার কাছে কাজটা করবেন। কারণ আপনি জানেন না সরকারের ফিজ কত টাকা? ড্রাইভিং লাইসেন্স চাই কারণ রাস্তায় পুলিশের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে, কারণ পুলিশ এত কিছু বোঝে না, তারা জানে আপনি করেননি। আসলে এই দালালের সাথে সবার অর্থাৎ সব অফিসের যোগাযোগ এদের নেওয়া টাকার ভাগ উপর তলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সাধারণ মানুষের হয়রানি ওত মামুলি ব্যপার, আর পুলিশের মুখের ভাষা শুনে মনে হবে ওরা মানুষ বাকিরা সবাই অপরাধি কেবল ঘুষ দাও টাকা চাই টাকা চাই। ব্রিটিশ আমলে একটা কথা প্রচলিত ছিল পুলিশ নিজের বাবা মায়ের কাছ থেকেও ঘুষ নেয়। সেই যুগে আমরা বাস করছি, পুলিশের ব্যবহার দেখে মনে হবে না, আমরা স্বাধীন হয়েছি!
No comments:
Post a Comment