Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 14 October 2020

এই তো রেল নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


 দারুণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ট্রেন চলাচল করলেই, করোনা আক্রান্ত হয়ে পরবে সব মানুষ, কলকাতার ঠাকুর দেখতে যাওয়ার হিড়িক পরে যাবে তাই না। সাধারণ গরীব খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ, আর কিছু দিন না খেয়ে থাকতে পারবে কারণ পুজোর পর ভাবনা চিন্তা করে দেখা হবে ট্রেন চলবে কিনা! লোকাল ট্রেন চলাচল নিয়ে কীসের এত তাড়া, বেশ তো গাড়ি বাজার বেড়েেছ, খেয়ে না খেয়ে ধার দেনা করে, অবশ্যই যার ঐ ধার দেনা করার সামর্থ্য যাদের আছে তারা, সকলেই নয়, দু চাকা কিনেছে, বা কিনছে, জি এস টি কমানোর বদলে বাড়ানো হয়েছে, জ্বালানী তেল বিক্রি বেড়েছে, ট্যাক্স সেস আছে সরকারের ইনকাম কতটা বেড়েেছে, ওসব বাদ দিলাম এর উপরি পাওয়া না আছে রাস্তায় সিভিক পুলিশের গাড়ির কাগজ পরীক্ষা এখন যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আইন করে দিয়েছে কাগজ পত্র গাড়ির সাথে না থাকলেও চলবে অন লাইনে দেখানো যাবে। ও দাদা এটা পশ্চিমবঙ্গ বাঙালি বাস করে যদিও আসল বাঙালির সংখ্যা ক্রমশ কমছে, হিন্দি ভাষি মানুষ বেশি এদের অনেকেই বাংলায় থাকতে থাকতে বাংলা ভাষায় কথা বলেন তাই বাঙালি। কলকাতায় বাঙালি নেই বললেই চলে, যাহোক বাদ দিন ওসব কথা, এটা পশ্চিমবঙ্গ বলছিলাম না, এখানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা কেউ ভাবে না দেখলেন না লকডাউন ঘোষণার সময় থেকেই গরীব মানুষ গুলোর কষ্ট নিয়ে কোন সরকারের মাথা ব্যথা ছিল? মহারাষ্ট্র সরকার বোঝে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা, ওখানে পশ্চিমবঙ্গের থেকেও বেশি শহরতলির লোকাল ট্রেন চলাচল করে, ওখানের সরকার করোনা কালেই অল্প করে হলেও শহরতলির ট্রেন চলার অনুমতি দিয়েছিলেন, আগামী 15 ই অক্টোবর থেকে মানে আগামী কাল থেকেই আরো বেশি শহরতলির ট্রেন চলাচল করবে মহারাষ্ট্রে। আমি যতদূর জানি পশ্চিমবঙ্গে থেকে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তএর সংখ্যা বেশি। আমার ভালো লাগছে মানুষ কে করোনা থেকে বাঁঁচাতে এই চেষ্টা কে, কিন্তু বাস গুলোতে গাদাগাদি, ভাড়া যে যেমন পারে নিচ্ছে ওতে  কি হয়েছে? জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে কি? খেটে খাওয়া মানুষ গুলো ভাতে মরুক তবুও তো করোনায় মরবে না, কারণ করোনা হলে চিকিৎসা সে তো গরীবের কাছে স্বপ্ন সঠিক পরীক্ষা করতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ আর ওষুধ তার দাম আর নাইবা বললাম করোনার ওষুধ কিনতে হলে গরীবের ভিটে মাটি বিক্রির জোগাড়, যাক তবুও ভালো লাগলো ভালো সিন্ধান্ত, সামনে পুজো তার পরেই ভোটের দামামা বাজবে বেশ কিছু দান করতে হবে বড়ো বড়ো কাট আউট চাই কি জানি এবার ছবি  মনে হয় লেখা থাকবে, করোনা অসুর বধের কথা। ধন্যবাদ রেল আর রাজ্য সরকার কে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...