রাজা লক্ষ্ণণ সেনের পরাজয়ের পর থেকে বাঙালি পিছিয়ে পেরেছিল, এই সেন বংশ বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে ছিল কঠোর হিন্দুত বাদের মধ্যে দিয়ে। বল্লাল সেনের কৌলিন্য প্রথা, একটি কঠোর হিন্দুত্ব বাদের নমুনা,এই কারণেই তথাকথিত নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা সহজ সরল জীবন যাপন করতে বৌদ্ধ ধর্ম বা পরবর্তীতে বৈষ্ণব ধর্মের স্মরণাপন্ন হয়ে ছিল। আর খলজির বাংলা দখল এর পর ধীরে ধীরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে। হিন্দু ধর্মের কঠোরতা এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা বা জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করা বাংলায় একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে, যা আজও চলছে, 1946 সালের বাংলায় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা, সেই শুরু তারপর দেশভাগের মধ্যে দিয়ে যার শেষ হবে বলে অনেকে ভেবে ছিলেন কিন্তু না, অত সহজে ধর্মের আগুন নেভে, যতই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে হিন্দু মুসলিম এক হয়ে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করুক, ধর্মের নামে যে বিষ ইংরেজ সরকার ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে বাঙালি জাতির শরীরে সেই বিষে আজ সে জর্জরিত। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, রাজনৈতিক নেতারা তথাকথিত শান্তির ধর্মের মানুষ দিনের পর দিন অত্যাচার করে যাচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগে, বাংলায় জণ্ম বাংলা ভাষার জন্য লড়াই তবুও তাদের বাংলায় থাকার অধিকার নেই। কারণ সরকারি মদতে তথাকথিত ধর্ম গুরুরা প্রতি নিয়ত অত্যাচার করে চলেছে। দেখে দেখে মনে হচ্ছে, এর মুক্তি পাবার উপায় নেই, ইসলাম কথার অর্থ নাকি শান্তি, এমন কোন শান্তি মানুষ কে মানুষ মনে না করে তার বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়ে তার সর্বস্ব লুঠ করে তাকে খুন করার অধিকার নাকি আল্লাহ দিয়েছেন।জানা নেই কোন ধর্ম প্রচারক একথা বলেছেন কিনা কারণ সেই সময়ের কেউ আজ আর বেঁচে নেই, আর কথা সে তো গুজব রটার মত একটি কথা একশ জনের মধ্যে বলা হয় তখন প্রথম জন কে যা বলা হয়েছে, একশ তম ব্যক্তির কাছে যখন পৌঁছ কথাটা তখন উল্টো হয়ে যায়। যাহোক ওসব ছাড়ুন কারণ শান্তির ধর্মের প্রচারক মক্কা থেকে মদিনা না মদিনা থেকে মক্কা গিয়েছিলেন যুদ্ধ করতে করতে, আমার কথা মানতে হবে না হলে গর্দান যাবে। শান্তি না থাকলে উন্নয়ন হয় না। শান্তি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ধর্মের নামে রাজনীতি এবং ধর্ম নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। করতে হবে তথাকথিত বাঙালি কে? কোথায় সে বাঙালি, যে বাঙালি একদিন গোটা ভারত বর্ষ কে শিক্ষা দিয়েছে জাতীয়তা বোধ, ভাষা ধর্ম যা হোক আমরা ভারতীয় ( we are Indian) কোথায় সে 1946 সালের পর থেকে হারিয়ে গেছে সেই বাঙালি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আজ আবার একবার উঠে দাঁড়াও, কেবল শান্তির বাণী শুনিয়ে লাভ হচ্ছে কি স্বাধীনতা সত্তর বছর হয়ে গেল, সেই যে বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে ধর্মের ভিত্তিতে জাতের ভিত্তিতে, এপার ওপার বাংলা ভাগ তাদের ভাষা গত ভাগ, ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে এপার বাংলায় এসেছেন, কিন্তু আপনি একটা আলাদা জাত এদের কাছে বাঙাল জাত, এখানেও সেই ভাগ বাঙালি কোন দিন এক জাতি হিসেবে নিজেদের বিশ্ব মাঝে তুলে ধরতে পারবে না। কেবল শান্তির ললিত বানী, যে যে বানী বোঝে তাকে সেই বানীতে উত্তর দিতে হবে, এটা আমাদের বিপ্লবী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী মাষ্টারদা সূর্য সেন, রাসবিহারি বোস, সুভাষ চন্দ্র বোস আরও অনেক চরম পণ্থী বিপ্লবী নেতা কর্মীরা শিক্ষা দিয়ে গেছে, আমরা ভুলে গেছি সেই বিখ্যাত গান, " মা গো আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে" শত্রু শিয়রে তবুও আমাদের মধ্যে একতা নেই, যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তারা থাকলে আজ লজ্জা পেতেন কি উত্তর সুরি তারা রেখে গেছে। শত অত্যাচারেও এদের মধ্যে একতা গড়ে ওঠে না, আর এটাই ব্রিটিশ এবং তথাকথিত ব্রিটিশদের দালালরা চেয়ে ছিল, কিছুতেই বাঙালি কে এক হতে দিলে হবে না, তাহলে গোটা দেশে তথা ভারত কে কব্জা করা এবং মানুষ কে শোষণ করা, এবং ভিক্ষুক বানান সহজ হবে না। আজ ভারত এবং এপার বাংলায় ব্রিটিশদের দালাল রা ক্ষমতায়, আর ওপার বাংলার বাঙালি সে তো কিসে পরিনত হয়েছে বলে বোঝানো যাবে না, ইংরেজ এবং ইংরেজের দালালরা জানত বিপ্লব সংগঠিত করে ওপার বাংলার মানুষ আর এবং সনাতন ধর্মের মানুষ জন বেশি করে, এদের মেরুদন্ড ভাঙতে হবে তাই দেশ ভাগ এবং ধর্মের নামে, ইনশাল্লাহ বলে যারা লাফালাফি করে হাতে গোনা কয়েকজন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছিলেন। একজন বাঙালি ইসলাম ধর্মের লোকের নাম কেউ জানে না যাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আমি জানি বলবে তিতুমীর, তার সেনাপতি, গোলাম মাসুম ওটা স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য নয় জমিদারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিলেন এবং জমিদার ইংরেজের সাহায্য নিয়ে তাকে ধ্বংস করেন আসলে লড়াই ছিল ক্ষমতা দখল করার জন্য। ব্রিটিশ সরকার বুঝে ছিল এদের ক্ষমতা দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা যাবে। আর এই কারণেই দুই বাংলার শাসক ছিলেন ইসলাম ধর্মের মানুষ কলকাতার শাসক নবাব সুরাবর্দী, এই সুরাবর্দী মুসলীগ এর নেতা দের সাথে হাত মিলিয়ে 1946 সালের দাঙ্গা লাগিয়ে ছিলেন, হিন্দু দের দিকে সাভারকরের দ্বি জাতি তত্ত্ব কে সমর্থন করে শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জির মত কিছু মানুষ এই দাঙ্গায় নেমে পড়েন। সে সময় গোপাল মুখার্জি ( গোপাল পাঁঠা) নেতৃত্ব দেন হিন্দু দের, কয়েক শ নীরিহ মানুষ প্রাণ হারান ঐ ধর্মীয় দাঙ্গায়। একটা মৃত দেহে প্রান দিতে পারে না, কিন্তু জীবন বা প্রান কেড়ে নিতে ওস্তাদ। এর পর এই রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় আসুক তাদের প্রথম কাজ হবে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ( মাদ্রাসা) কে বন্ধ করা, ধর্মের নামে পঁচিশ টা বিয়ে একশো টা সন্তানের জন্ম দান বন্ধ করতে হবে। এসব যদি বন্ধ না করে তাহলে আর কয়েক বছরের মধ্যে বাংলায় খাদ্য সংকট দেখা যাবে কারন চাষের জমি সব মসজিদ আর বাসস্থান পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন পর বাংলাদেশের মত অবস্থা দেখা যাবে, এখানে, অনেকেই বলছেন বি জেপি ক্ষমতায় এলে এসব হবে, আমি বলছি হবে না, কারণ এই বিজেপি কী করবে ওরা কোরান পড়াচ্ছে আমরা বেদ পড়াব, ওরা আমাদের কাফের বলছে ওদের গদ্দার বলব। কারণ এই বিজেপির জণ্মদাতা দের জন্য বাঙালির জাতির আজ এই দূর্দশা, দেখছেন না এখনই গোর্খা দের জন্য দার্জিলিং কে ভাগ করে গোর্খাল্যাণ্ড করতে চাইছে, অর্থাৎ আবার বাংলা ভাগ, কোন দিন শুনবেন গোর্খাল্যাণ্ড হয়েছে, কোচবিহার কামতাপুর হয়েছে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জঙ্গলমহল হয়ে গেছে, অর্থাৎ এদের লক্ষ্য বাংলা কে ভাগ করে দেওয়া জাতের নামে ধর্মের নামে যে ভাবে হোক বাঙালি কে এক হতে দেওয়া যাবে না। বিজেপির উপর তলার নেতারা বাংলা তথা বাঙালি বিদ্বেষী। আর বর্তমান সরকার সেতো পুরোহিত ভাতা, মোয়াজ্জেম ভাতা, মৌলবিভাতাা পুজো কমিটি কে টাকা, এর কাজ কর্ম দেখে মনে হচ্ছে আগে এই রাজ্যে ধর্ম পালন কেউ কোনো দিন করেনি। এদের বিরুদ্ধে গন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, বাংলার কোনে কোনে জোট বেঁধে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ধর্মের নামে ক্ষমতা দখল করে রাজ্যের মানুষ কে যারা লুঠ করছে তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দিতে হবে।
আবার অনেকেই আছেন বলবেন তাহলে এত দিন হয়নি কেন? লাখ টাকার প্রশ্ন এটা আমারও প্রশ্ন, ধর্মের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সন্তান জন্ম দেওয়া আগের সরকার যারা পরিচালনা করেছেন তারা করেনি কেন? আমি একটা কথা বলি, এপার বাংলায় কংগ্রেস শাসন কোন দিন ধর্মের ব্যাপারে মাথা ঘামায় নি, বাম আমলের শেষের দিকে বলা হয়েছিল মাদ্রাসা শিক্ষা থাকবে সেখানে আরবীর পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে তবে সরকার অনুমোদন দেবে। আর ওপার বাংলা সে তো ইসলাম কে রাাষ্ট্র ধর্মে পরিনত করেছে, ধর্ম গুরু দের, রব বা হুমকি দেওয়া ভাষণ বন্ধ করতে পারে না, কারণ ঐ গুলো ধর্ম প্রচারের নামে ব্যবসা টাকা আসে অনেক। আজ অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া একটা ছবি এখানে দিলাম, আমি চাই দুই বাংলার এই ছবি বাঙালি মাথা উঁচু করে বাঁচুক। ছবি টি এখানে দিলাম।
এই ছবি দেখা যাক দুই বাংলার বুকে ধর্ম ধর্মের কাছে থাক, যে যার মত ধর্ম পালন করি, কিন্তু উগ্রতা বাদ দিয়ে, বাঙালি জাতির সেই শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনি যা দিয়ে তারা গোটা বিশ্ব জয় করবে। বিদ্রোহী কবি সেই স্বপ্ন সত্যি করে তুলি, "আকাশ বাতাস চন্দ্র তারায় সাগর জলে পাহাড় চুড়ে, আমার সীমার বাঁধন টুটে, দশ দিকেতে তে পরব লুটে,
পাতাল ফেঁড়ে নামব আমি, উঠব আমি আকাশ ফুঁড়ে।
বিশ্ব জগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।" বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠত্ব কে তুলে ধরতে ধর্মের গোঁড়ামি থেকে বেড়িয়ে আসব এই প্রতিজ্ঞা করি, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা বিশ্ব শাসন করি।
No comments:
Post a Comment