Anulekhon.blogspot.com

Monday, 18 May 2020

" বন্ধু! তোমরা দিলে না ক দাম," নজরুল ইসলাম।

প্রথমে আমার সুধী পাঠকের ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই শিরোনাম টি ধার করা হয়েছে, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের " আমার কৈফিয়ৎ" কবিতা থেকে কেন, সেটা লিখছি। কালকের ঘটনা আমি কিছু পরিযায়ী শ্রমিক দের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তার ছবি আর রোড এ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে এর ছবি দিয়ে একটা ক্লোলাজ ভিডিও ফুটেজ করে ছিলাম। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের "বোধন" কবিতার সাথে। ছবি গুলো অবশ্যই আমি তুলে আনিনি সে গুলো বিভিন্ন অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া, ও সাথে লাল ঝাণ্ডার ছবি ছিল। কারণ তারা ঐ পরিযায়ী দের খাবার দিচ্ছিল রাস্তায় সেই কারণেই তাদের ছবি ছিল। ছবি গুলো সব স্টিল ছবি, তার সাথে সুকান্তের বোধন কবিতা আবৃত্তি পাঞ্চ করে ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে ছিলাম। ঐ ভিডিও টি সন্ধ্যা থেকে চেষ্টা করে রাতে সম্ভব হয়, । আর রাতেই ঐ টি ইউ টিউবে দিই, কেউ ফ্লাগ  রিপোর্ট করায়  ইউ টিউব কতৃপক্ষ রাতারাতি ঐ ভিডিও রিম্যুভ করে মেল পাঠায়, অবশ্যই বলা আছে আমি যদি চাই ঐ ভিডিও ফেরত আনতে তাহলে আবেদন করতে হবে। আমি চাই না ঐ ভিডিও ফেরত আনতে তাই আবেদন ও করাবো না। এমনিতেই আমার ঐ ইউ টিউব চ্যানেল তেমন কেউ দেখে না। সাধারণ মানুষ যারা ইউ টিউব দেখে অনেকের ধারণা ঐ ধরনের ইউ টিউব চ্যানেল থেকে টাকা আসে। আমার অনেক শিক্ষিত বন্ধু বান্ধব ও আমাকে বলেছে। যা হোক আগে এখানে ঐ জি মেইলের ছবি দিই, তার পর আরও কিছু লেখার আছে লিখব কেমন।

আমি যে ছবি গুলো দিয়ে ছিলাম সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেওয়া বিভিন্ন নিউজের ছবি। আর ঐ পরিযায়ী শ্রমিকদের। আমার এই ছবি দেওয়ায় যদি ভায়লেন্স তৈরি হবে মনে করা হয়, তাহলে যারা ঐ ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। এসব বাদ দিন ইউ টিউবে এমন সব গেমের ভিডিও আছে যেখানে প্রতি মুহূর্তে বন্দুক নিয়ে গুলি চলছে একটা খেলা free fire, আরও আছে আমার কিশোর বয়সী ছেলে সারাদিন ঐ গেমে নিয়ে বসে আছে আর মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলছে, ঐ দিকে ঐদিকে মার মার গুলি কর। কি জানি ঐ সব ভিডিও ভায়লেন্স ছড়িয়ে দিচ্ছে না বোধ হয়, আমার দেওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের সংগ্রহ করা স্টিল ছবি সাথে সুকান্ত ভট্টাচার্য মহাশয়ের বোধন কবিতার কোলাজ ভিডিও ভায়লেন্স ছড়িয়ে দেবে। ইউ টিউবে আমার চ্যানেলের নাম,jakhusi Tai ইংরেজি তে না লিখলে দেখাবে না। আর চ্যানেল চেনার জন্য বিবেকানন্দর ছবি আছে। কেউ দেখে না, বছরে দু একজন, তবে কিছু দিন আগে আমি আমার চ্যানেলে এখন কার কোভিড 19 এর স্বাস্থ্য বিধি বা ঐ জাতীয় ভিডিও ফুটেজ দিই সেটা বলা হয়। জি মেলের মাধ্যমে, কিন্তু আমি তো ডাক্তার নয়, কি করতে কি হয়ে যাবে, ডাক্তার ও নয় আর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নই। আবার এই যে ব্লগ লিখছি এটাও গুগলের হয়তো এটাও বন্ধ করে দেবে। আর এই ব্লগ ও যে বেশি লোক পড়ে তাও না। কারণ ঐ একটা ধারণা এ সব করে প্রচুর টাকা পাওয়া যায়। আর যত বেশি পড়বে তত বেশি টাকা, এসব অনেক মানুষের ধারণা আছে ছিল থাকবে। যা হোক এসব যাক কাল পরিযায়ী শ্রমিক দের এ্যাকসিডেন্টের ছবি দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক দের নিয়ে এই ব্লগে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে ছিলাম। কারণ কেবল এই ব্লগে লিখে রেখে দিলে কেউ পড়ে না। ঐ যে বছরে একজন, ফেসবুক ছবি চাপা দিয়ে বলছে এতে ভায়লেন্স ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে বন্ধু চাইবে খুলে দেখে নেবেন। ঐ ছবিও সোশ মিডিয়া থেকে নেওয়া।ফেসবুকের নোটিশের ছবি দিলাম। আরেকটু লেখার আছে ছবির পরে লিখবো কেমন।

কি বুঝলেন আমি বিশাল বড়ো কেউ কেটা ব্যক্তি বড়ো বড়ো ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়াই ছবি ভিডিও তুলে পোস্ট করি মোটেই না। আমি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেশিরভাগ ছবি সংগ্রহ করে দিয়ে থাকি। এর আগে ইউ টিউব একই ভাবে আমার ভিডিও বাতিল করে দিয়েছে। আমি গরীব মানুষের দুঃখ দেখে থাকতে পারি না। আমি মনে করি আমি মানুষ মানবতা আমার ধর্ম, মানুষ কষ্ট পাবে বা মারা যাবে কতগুলো অমানুষের জন্য, ভুল বা হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।  মানুষগুলোর কষ্ট দেখে আমি থাকতে পারি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যত দেখি, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে আমার কষ্ট হয়, মানুষ হয়ে মানুষ কষ্ট দেখে কষ্ট পাওয়া অন্যায়। আমি আমার সাধ্য মত এই ধরনের মানুষ কে সাহায্য করি, সব সময়ে পারি না, এসব পড়ে অনেকে হয়তো ব্যঙ্গ করবেন মজা নেবেন, আপনারা মহান মানুষ বুঝতে পেরেছেন ঐ ছবি ও ভিডিও ভায়লেন্স ছড়িয়ে দিতে পারে বন্ধ করে দিয়েছেন বেশ করেছেন। সেই জন্যই এই ব্লগে লিখছি, আমি একটা নগন্য মানুষ দু চার জন ছাড়া আমার লেখা কেউ পড়ে না। আবার ঐ ইউ টিউব চ্যানেল তো দেখেই না। এরকম এক জনের সব আপনাদের ভালো লাগলো তাই, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলি।
" কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু, আমিই কি বুঝি তার কিছু?
হাত উঁচু আর হ'ল না ত ভাই, তাই লিখি করে ঘাড় নিচু!
                    বন্ধু ! তোমরা দিলে না ক  দাম,
                    রাজ  -  সরকার রেখেছেন মান!
যাহা কিছু লিখি অমূল্য বলে অ - মূল্যে নেন! আর কিছু
শুনেছ কি, হুঁ হুঁ  ফিরিছে রাজার প্রহরী  সদাই  কার  পিছু?

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...