প্রথমে বলে রাখি এই প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি তে 2013 থেকে। 5+ বয়স হলে এই শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। আগে অর্থাৎ 2013 সালের আগে এরা প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারত এবং বাংলা/ অঙ্ক/ ইংরেজি পড়ত কিন্তু যখন থেকে এরা প্রাক প্রাথমিকের ছাত্র ছাত্রী হয়ে গেল সেদিন থেকে অদ্ভুত দুটি বই একটি কাটুম কুটুম আর মজারু পড়তে আরম্ভ করে দিল। আজব রাজ্যের লোক তো আমরা কিছু নেই বই গুলোতে শেখার মতো। তবুও শেখাতে হবে, এটা অন্য কিছু না এক জনের জেদের জন্য আর বাংলার সরকারের লেখা পড়া যাতে উঠৈ যায় তার ব্যবস্থাপনা। অনেকেই আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় না। একটু টাকা থাকলে সোজা চলে যান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি বিদ্যালয়ে সেখানে ঐ মজারু নেই আর ভর্তির বয়সের কড়াকড়ি নেই। স্বাধীন ব্যবস্থা, যাহোক সে সব বাদ দিন কারণ সেয়ানা পাগলের পাল্লায় পরে আমরা এখন সবাই পাগলা হয়ে গেছি। এসব নিয়ে আলোচনা করলে শেষ হবে না। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধ্বংসের মুখে। আসুন আমরা 5+ বয়সের বাচ্ছা দের, যারা একদম লিখতে পারেনা তাদের কিভাবে লেখা শেখাব সেটা আলোচনা করি। লেখার আগে বাচ্ছা দের স্লেট পেনসিল দিন আর বিভিন্ন রকমের আঁকি বুঁকি কাটাতে বলুন, যেমন এরকম হতে পারে। ছবি টি একটি বই থেকে নেওয়া।
এভাবে তিন কোনা, গোল, অর্ধ গোল আরও নানা ধরনের আঁকা আকতে দিন। ,একটা আঁকা বা লেখা কে 10 বারে না হলে 100 বার সে আঁকবে বা লিখবে। এখানে একটা কথা বলে রাখি লেখা শেখাবার সময় পরপর লেখা শেখাতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সব শিখে যাবার পর সে পরপর লিখবে। তিন কোনা আঁকতে পারে তবে সে লিখতে পারবে। ব, ক, ঝ, র, ধ, ঋ, অর্থাৎ এগুলো সব তিন কোন আকৃতির। এবার বাচ্ছা যদি অর্ধ গোল আঁকতে পারে তবে সে যা যা বর্ণ লিখতে পারে সেটা হল, অ, আ, ত, ৩,ড।আর এই ড লিখতে শিখলে সে লিখতে পারে উ, ঊ, ড, ৬,৫ এই ভাবেই যে শিশু লিখতে পারে না। তাকে লেখা শেখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক বা অভিভাবক কে ধৈর্য্য শীল হতে হবে, কোন বর্ণ বা সংখ্যা কার সাথে মেলে সেটা শিখিয়ে দিতে হবে। পরে পরপর লেখা শিখে নেবে। যেমন "ক" এর আঁকরি টা দিতে পারলে ১ শিখবে, হয়তো বলবেন মোটেই মেলে না এটা একদম ঠিক কথা কিন্তু প্রথম শেখাবার জন্য এটা করতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আবার "য" এই বর্ণ টি লিখতে পারে তবে সে য, য়, ষ লিখতে শিখবে। 'ই' লিখতে পারে তবে ঐ আকৃতির হ, 2,২ লিখতে শিখবে। অনেকেই বলবেন মেলেনি তো একদম হুবাহু মিলবে না। প্রাথমিক ভাবে বর্ণ লেখাতে হলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে লেখালে ছাত্র ছাত্রী ভালো এবং তাড়াতাড়ি লেখা শিখতে পারে।
এভাবে তিন কোনা, গোল, অর্ধ গোল আরও নানা ধরনের আঁকা আকতে দিন। ,একটা আঁকা বা লেখা কে 10 বারে না হলে 100 বার সে আঁকবে বা লিখবে। এখানে একটা কথা বলে রাখি লেখা শেখাবার সময় পরপর লেখা শেখাতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সব শিখে যাবার পর সে পরপর লিখবে। তিন কোনা আঁকতে পারে তবে সে লিখতে পারবে। ব, ক, ঝ, র, ধ, ঋ, অর্থাৎ এগুলো সব তিন কোন আকৃতির। এবার বাচ্ছা যদি অর্ধ গোল আঁকতে পারে তবে সে যা যা বর্ণ লিখতে পারে সেটা হল, অ, আ, ত, ৩,ড।আর এই ড লিখতে শিখলে সে লিখতে পারে উ, ঊ, ড, ৬,৫ এই ভাবেই যে শিশু লিখতে পারে না। তাকে লেখা শেখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক বা অভিভাবক কে ধৈর্য্য শীল হতে হবে, কোন বর্ণ বা সংখ্যা কার সাথে মেলে সেটা শিখিয়ে দিতে হবে। পরে পরপর লেখা শিখে নেবে। যেমন "ক" এর আঁকরি টা দিতে পারলে ১ শিখবে, হয়তো বলবেন মোটেই মেলে না এটা একদম ঠিক কথা কিন্তু প্রথম শেখাবার জন্য এটা করতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আবার "য" এই বর্ণ টি লিখতে পারে তবে সে য, য়, ষ লিখতে শিখবে। 'ই' লিখতে পারে তবে ঐ আকৃতির হ, 2,২ লিখতে শিখবে। অনেকেই বলবেন মেলেনি তো একদম হুবাহু মিলবে না। প্রাথমিক ভাবে বর্ণ লেখাতে হলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে লেখালে ছাত্র ছাত্রী ভালো এবং তাড়াতাড়ি লেখা শিখতে পারে।
No comments:
Post a Comment