নেতা মন্ত্রীরা মঞ্চে উঠে আকথা কুকথা বলছেন। খুনের কথা বলছেন, গুলি করে মেরে ফেলা হবে বলেও ছাড় তখন তাদের ভয়েষ টেষ্ট করতে হবে ওটা সে বলেছে কিনা। ভিডিও দেখা যাচ্ছে টিভি চ্যানেলে বার বার দেখাচ্ছে, তবুও ভয়েষ টেষ্ট আর পাবলিক করলে দোষ। সুকুমার রায় কে নকল করতে গিয়ে যা খুশি কবিতা লেখা হচ্ছে। মানছি বিশ্ব কবি লিখেছেন, কেউ কেউ গেল গেল রব তুলে দিয়েছেন, কত অন্যায় করে ফেলেছে, খিস্তি দিয়ে কথা বা গান হামেশাই শোনা যায় ট্রেনে বাসে যারা যাতায়াত করেন তারা কথায় কথায় মাত্রা দেওয়া ভাষা শোনে, মনে হয় তার ঐ নীচের অঙ্গ মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসবে, মুখে একটা জাঙ্গিয়া পড়িয়ে দিলে ভালো হয়। আসলে তা নয় আমরা নেতা মন্ত্রীরা যা খুশি তাই করতে পারি, প্রশাসন কিছু বলবে না চুরি করে জনগণ কে ভিক্ষা দিতে পারি। গালাগালি দিতে পারি জন গনের জণ্মের ঠিক নেই বলতে পারি। তুমি কে তুমি জনগণ তোমরা আমার প্রজা আমি তোমাকে চাকরি বা কাজ করে খাওয়ার অধিকার না দিতে পারি। আমার বেতন দু লক্ষ হতে পারে তোমাকে আমি দু হাজার টাকা বেতন দিতে পারি টেন্ডার পাইয়ে দেবার নাম করে কোটি কোটি টাকা লুঠ করতে পারি। কাটমানি নিতে পারি তোলা তুলতে পারি পুলিশ আমাদের ধরবে কি, কিন্তু তুমি জনগণ তোমার কোনো অধিকার নেই কিছু করার আমি রাজা আমি সব করে ছাড় পাব আইন কানুন ওসব তোমাদের জন্য। পুলিশের ক্ষমতা নেই আমাদের কিছু করে,তুমি অপরের কি লিখে গেছে না দেখে নিজের মতো করে একটা গান লেখ বা কবিতা লেখ তাহলে বা কার্টুন পোষ্ট কর তুমি অপরাধী তখন মিলিয়ে দেখা হবে যদি দু চারটে শব্দ মিলে গেল তাহলে অপরাধ করে ফেলছ। আমার তো মনে হয় দোষ টা এই সব নেতা মন্ত্রী দের নয় দোষ আমাদের আমরা যারা সহ্য করে নিয়েছি। এরা আবার ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে আসবে। আর জনগণ কে কুত্তা বানিয়ে রেখেছে। সত্যই জনগণ খুব বোকা ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দিয়ে রেফ করিয়ে দেব বলার পরও শাস্তি হয় না। দারুণ রাজত্ব চলছে। কিছু বলার নেই, আমরা ক্রমশ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছি।দেশ এবং রাজ্যে লক্ষ লক্ষ বেকার ছেলে মেয়ে লেখা পড়া শিখে কোন চাকরি বাকরি নেই আছে চাকরির নামে ভাঁওতা যদিও চাকরি পেতে হয় তাহলে ঘুষ দিতে হবে নেতাদের 280 টাকার মজুর নেতা হয়ে 280 কোটি টাকার মালিক। আর এই সব চোর চিটিংবাজ নেতাদের নিরাপত্তা দেয় পুলিশ। নিজে বেতন পায় ত্রিশ হাজার টাকা আর নেতা বেতন পাচ্ছেন দু লক্ষ টাকা। আবার উপরি পাওয়া না। আমাদের দেশের তথাকথিত রাজ্যের দূর্ভাগ্য নেতারা মন্ত্রীরা এমন ভালো কাজ করেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়। জনগণের মধ্যে মিশতে পারে না। মিথ্যাবাদী শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মতো মানুষ নেই। কেবল একটি ইস্যু পেলেই হলো। রবীন্দ্র সঙ্গীতের সাথে দু একটা কথা মিলে গেছে ব্যাস আর যায় কোথায়? ব্যবস্থা নিতে হবে, কিন্তু বেকারের কাজ চাই, না হলে এসব হবে। আমি নেতা আমি নিরাপদে নিরাপত্তা নিয়ে চর্বচোষ্যলেহ্য পেয়ে তেতলায় শুয়ে থাকব আমার চুরি করে কেবল টাকা দিয়ে মদ মাংস খাইয়ে বেকার যুবক দের দুহাজার টাকা বেতন দিয়ে চাকর করে রাখব। তাও ঐ দু হাজার টাকার চাকরি পেতে দশ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এই তো দেশের অবস্থা সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে পুলিশ দিয়ে সামান্য ঘটনা কে বাড়িয়ে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থাপনা চলছে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।
ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...
-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment