Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 3 August 2019

তারাপীঠের জীবিত কুণ্ডু বা পুকুরেও মানুষ মরে!

আসাম থেকে তারাপীঠ বেড়াতে এসে, তারাপীঠের জীবিত কুণ্ডু বা পুকুরে নেমে ডুবে মৃত্যু হল যীশু চক্রবর্তী নামে আসামের এক পূণার্থীর। খবর টি বিকেলে একটি অনলাইন খবরে পড়লাম। খবর টি পড়ে আমার খুব খারাপ লাগল, মানুষের মৃত্যু মানে দুঃখের, কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন পুকুর টির নাম জীবিত কুণ্ডু অর্থাৎ মরার ভয় নেই, এ বিষয়ে পুকুর টি একটি পৌরাণিক কাহিনী আছে, দ্বারকেশ্বর নদী দিয়ে রাজা জয়দ্রত বাণিজ্যে যাচ্ছিলেন, বাণিজ্য তরীতে তার একমাত্র পুত্র অসুস্থ হয়ে মারা যান। তখন তারা ঐ স্থানে ছিলেন খাবার জোগাড় করতে গিয়ে মাঝি মাল্লারা একটি মাছ ধরে সেটি নিয়ে জঙ্গলে ভেতরে ঢুকে যান কাঠ আনতে ঐ জঙ্গলের মধ্যে একটি পুকুর দেখতে পান যেখানে কোনো নোংরা পরে ছিল না। অত গভীর জঙ্গলে এত স্বচ্ছ জলের পুকুর তারা পুকুরে নেমে, মরা মাছ টি ধুতে গেল পুকুরের জলে স্পর্শ করার পর মাছ টি জীবন ফিরে পেল আর কোথায় চলে গেল। এই ঘটনা তারা রাজাকে এসে বলল, রাজার মন খারাপ তার একমাত্র পুত্র কে হারিয়ে, কিন্তু মাঝি মাল্লারা ছাড়ল না। তারা আরও কয়েকটি মাছ ধরল আরেকটা মরা মাছ সাথে নিয়ে রাজা কে পথ দেখাতে দেখাতে নিয়ে গেল। তিনি সব অবাক এদিকে মাঝি মাল্লারা রাজার মৃত পুত্র কে নিয়ে এসে তাকে পুকুরের জলে ডোবাতেই আশ্চর্য হয়ে গেল,
সে আবার প্রান ফিরে পেল।রাজা জয়দ্রত সেখান থেকে গেলেন না নিশ্চয়ই কোন মাহাত্ম্য আছে, এমন সময় হঠাৎ দৈব বাণী সে শুনতে পেল ওখানে একটা শিমুল গাছের নিচে একটা পাথরের মুর্ত্তি তে তারা মা অবস্থান করছেন। তিনি যেন একটা মন্দির করে দেন। এই পৌরাণিক কাহিনী আমরা শুনেছি, তাহলে যে পুকুরে স্নান করলে মরা মানুষ বেঁচে ওঠে, সেই পুকুরে নেমে মানুষ মারা যাচ্ছে।সব পড়ে বা শুনে অনেকে বলবেন দেশটা পাপে পূর্ণ হয়ে গেছে।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...