গত ১৩/৬/১৯ আমার এই ব্লগে একটি লেখা ছিলো। শিরোনাম ছিল, "দিদি আপনি একদম পে কমিশন ডিএ পি আর টি স্কেল দেবেন না" আপনারা অনেকেই পড়ছেন, শেষ পর্যন্ত পড়ে ছিলেন কি না জানি না, সে খানে আমি লিখেছিলাম দিদি আপনার বেতন বড্ড কম ও টা লাখ বা দেড় লক্ষ টাকা করে নিলে ভালো হতো। দিদি আমার কথা শুনেছেন, এই জন্য দিদি কে আমার তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এই বেতন বৃদ্ধি হলে অনেকের চুরি বা কাট মানি খাওয়ার অভ্যাস কমতে পারে। আমার তো সন্দেহ আছে যে অভ্যাস হয়ে গেছে সে কি করে বদলাবে। জুতো, পোশাক, সাইকেল, বই, খাতা, মি ডে মিল, সর্ব শিক্ষার দেওয়া কিছু বড়ো টাকা থেকে, কন্যাশ্রী এতো গেলো বিদ্যালয়ের দিক থেকে, দিদি খোঁজ নিয়ে দেখুন পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট, সে যে কোনো ধরণের শংসাপত্র পত্র হতে পারে, আবাস যোজনা, পেনশন স্কীম, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে প্রতি পদক্ষেপে টাকা বা কাট মানি, একটা উদাহরণ দিই একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কোন এক জন শ্রমিক দশ দিন কাজ করল কি, না করল তার নামে কুড়ি দিনের টাকা দেওয়া হলো বলা হলো তুই টাকা পেয়ে অর্ধেক দিবি। এ ছাড়া যিনি সরকারি বা আধা সরকারি চাকরি করেন তিনিও একটা জব কার্ড করে রেখেছেন। বিধবা ভাতা বার্ধক্য ভাতা সে তো কবে বন্ধ, ঠিক আছে কারণ সঠিক লোক পায়, এমন অনেক বিধবা আছেন লোকের বাড়ি ঝি গিরি করে খায়,তার হয়ে পঞ্চায়েত যাবার লোক নেই, যে গিয়ে বলবে সে নিজে কত বার যাবে, গিয়েও কাজ হয় না। যে হেতু সঠিক লোক পায় কম তাই ও বন্ধ করে খুব ভালো কাজ করেছেন। কারণ এমন দেখা গেছে স্বামী মারা যায় নি বিধবা ভাতা দেওয়া হয়েছে, আবার কারো স্বামী সরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি মারা গেছেন, সামান্য হলেও ফ্যামিলি পেনশন পান, তিনিও বিধবা ভাতা পেতেন। পঞ্চায়েতের এসব বন্ধ করতে হলে মনে হয় ওদের ভাতা বাড়াতে হবে, কিন্তু তাতে আবার মুশকিল আছে, ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে দাঙ্গা লেগে যাবে। একে এই সব কাট মানি খাওয়ার জন্য মারা মারি, আবার বেতন হলে তো কথাই নেই, বেতন নিয়ে সমাজ সেবা হয় কি? জনগণের জন্য সেবা করার জন্য আলাদা মানসিকতা চাই, যারা টাকা পয়সা না নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের দুঃখের সাথী হয়ে, তাদের পাশে দাঁড়াবে। এই রকম লোকজন ছিল, সেই জন্য ভারত বর্ষ স্বাধীন হয়েছিল। সেই সময়ের মানুষ বিদ্যাসাগর, যার আরেকটা উপাধি ছিল, দয়ার সাগর, আরো যে সব বাঙালি সে সময় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেশ সেবা করে গেছেন। রাষ্ট্র গুরু সুরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, এরকম আরো অনেকেই ছিলেন, তাদের কথা এখন আর বই এর পাতায় নেই, এখন প্রাথমিকের বই এ ঘাস না শাক ঠাকুমা বলল ও দিদি মনির কাছে জেনে নেব। আমার মনে হয় বাংলার ইতিহাস ভুগোল বিজ্ঞান প্রাথমিক স্তর থেকে পড়ানো উচিত। ঐ সব মনিষী দের কথা জীবনি ছোট বয়স থেকে জানা উচিত না হলে এরকম চোরে বাংলা ভরে যাবে। বিশ্বের কাছে বাঙালি জাতির গর্বের বিষয় গুলো হারিয়ে যাবে। বিশ্বের কাছে বাঙালি জাতি হয়ে উঠবে চোরের জাতি হিসেবে, যে টা দিল্লির নেতারা স্বাধীনতার আগে থেকেই চাইছিল আমরা সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দিদি আপনি দয়া করে এই টুকু করুন, কাটুম কুটুম বাদ দিয়ে, বাংলা, অঙ্ক, ইংরেজি শেখান যা আগে ওরা ঐ বয়সে শিখতে। প্রথম শ্রেণীর জন্যেও ঐ তিন টি বই, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য বাংলা অঙ্ক ইংরেজি আর পরিবেশ। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জন্য বাংলা অঙ্ক ইংরেজি ইতিহাস ভুগোল বিজ্ঞান দিন। প্রতিটি বই হোক বাঙালির আর্দশে গাথা, বাংলার ভূগোল বাংলার ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির ভূমিকা। তবে আর্দশ সমাজ সেবক তৈরি করা যাবে, না হলে ঐ চোর বাঙালি জাতি তৈরি হবে। সর্ব শেষে আপনি আমার প্রণাম নেবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment