অনেকে দিন আগে আমি আরেকটা লেখা লিখে ছিলাম। আমি জানি আপনারা এসব লেখা পড়েন না, তবুও আমি লিখেছি, কদিন হলো বিভিন্ন সংবাদ পত্রের পাতায় বা সোসাল মিডিয়াতে দেখছি, শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষক দের বেতন বৃদ্ধি হবে বা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি।সেখানে যে খবর বা কথা গুলো সামনে আসছে কতটা সত্য আমার জানা নেই, আপনারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন, এরকম লাইভ প্রোগ্রাম দেখিনি। ঐ সব লেখা পড়ে আমি যে টুকু বুঝতে পারছি আপনি শিক্ষকদের মধ্যে ভাগা ভাগি করে দিতে চাইছেন, কখনো পডছি ৩২০০ টাকা গ্রেড পে হবে কখনো শুনছি ৩৬০০ টাকা গ্রেড পে হবে, কারা পাবে যারা উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর করেছে, দু বছরের ডি এলড ট্রেনিং আছে তারা। এই রকম শিক্ষকের সংখ্যা কম কারণ তখন আরেকটা কথা বলা ছিল যাদের graduation আছে তাদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর দরকার নেই। এখন দেখছি আপনি কোনো একটা কারণে, ঐ কথাটা এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, আপনার চিন্তা যদি graduation স্কেল দাবি করে, সেই জন্য কিন্তু যে সব গ্রেড পে হবে বলে প্রচার করা হচ্ছে, ঐ গুলো pay band 3 এবং যতটা সম্ভব ঐ pay band 3 তে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের বেতন হয়। তাহলে ঐ খানেই graduation স্কেল ।আরেক টা বিষয় আপনি নাকি বলেছেন কেবল মাত্র গ্রেড পে বাড়াতে বলেছে। আপনা কে একটা কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি ঐ গ্রেড পে গুলো তৈরি করা হয়েছে ছিল চতুর্থ পে কমিশনের স্কেল অনুযায়ী।পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশে যথাক্রমে ৮,৯,১০,১১ নম্বর স্কেলের শেষ বেসিক পের উপর ভিত্তি করে। আপনি যেই গ্রেড পে দেবেন তাকে সেই স্কেলে তুলে দেওয়া হলো। এবার বুঝে দেখুন, আপনি যা বলেছেন যদি ৩৬০০ টাকা গ্রেড পে করেন তবে ৯ নম্বর স্কেল, তার সেই শুরুর বেসিকে তাকে নিয়ে গিয়ে বর্তমানে আসতে হবে। এবার আপনাকে একটু ভাবতে বলছি, আপনি বলুন আর নাই বলুন লেখা গুলোতে যে সব পড়ছি, তাতে পাবে কারা, যারা দু বছরের ডি এল এড করেছে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর আছে তারা। কত সাল থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক রা এর আওতায় ২০০৫ সালের পর যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা। কারণ তারাই, দু বছরের ট্রেনিং করেছে। আপনি বুঝতে পারছেন কি না জানি না আপনি তার আগের এক বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দের বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। আপনি যদি এই শিক্ষক দের এই স্কেল দেন দিন আপত্তি নেই, কিন্তু পুরোণ ঐ সব শিক্ষক তাদের সঙ্গে এদের বেতন বেশি হয়ে যাবে। একজন সিনিয়র শিক্ষকের থেকে একজন জুনিয়র শিক্ষকের বেতন বেশি হয়ে যাবে। তাহলে যে শিক্ষক কুড়ি ত্রিশ বছর চাকরি করছেন, তিনি কম বেতনে চাকরি করবেন আর যে দশ বছরের বেশি চাকরি করল না তিনি বেশি বেতন পাবেন। যদিও আপনাদের আমলে সণ্মান আর অভিজ্ঞতার কোনো দাম নেই। বামফ্রন্ট সরকার এই বেতন বৈষম্য দূর করতে এবং সিনিয়র শিক্ষক দের বেতন যাতে জুনিয়র দের থেকে একটু বেশি হয় সেটা করতে, কয়েক টা স্কেল নিয়ে,pay band তৈরি করা হয়েছিল। আপনারা আবার উল্টো দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। যে সব প্রাথমিক শিক্ষক দশ বা বারো বছর চাকরি করছে, তারা বেশি বেতন পাবে সিনিয়র শিক্ষকের থেকে, আর আপনারা ভাবছেন আপনার দল ভারি হয়ে যাবে। উস্থির যেমন মিছিল করছে সেই রকম আপনার শিক্ষক সংগঠন লোক জন জরো হবে। আমার মনে হয় হবে না, আজ আজ শিক্ষা সেলের মিছিল না মিটিং আছে, আসলে এই শিক্ষা সেলের নেতৃত্ব ঠিক মতো সব কিছু জানে না জানতে চায় না। আপনারা যে শিক্ষক দের দলে চান না সেটা বোঝা যায়, আপনাদের আমলে ব্লকে ব্লকে এ আই নিয়োগ করা দেখে। যা আমি এতো বছর চাকরির কালে দেখিনি , কিছু ব্লকে এস আই, বি ডি ও যারা প্রতি নিয়ত আপনাদের কথা মতো শিক্ষকের উপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে, কারণ আপনাদেরকেও ছাপিয়ে গিয়ে নিজের মতো করে আইন তৈরি করে দিচ্ছে। সেই আইন মানতেই হবে না হলে বিভিন্ন ভাবে সেই শিক্ষক কে পারলে ফাঁসি দিয়ে দেয়। এই সব কারণে আজ সিঙ্গুর ব্লকের প্রাথমিক শিক্ষক রা আপনার দলে যোগ দিচ্ছে না। তাই আপনারা যাই বলুন বা করুন বা না করুন শিক্ষকের মন পাল্টা তে হলে সিঙ্গুরের ঐ সব এ আই আর এস আই দের একটু থামতে বলুন। কারণ এ আই এস আই রা এলাকার বাসিন্দা বা অভিভাবক দের সাথে সময় কাটান না। সময় কাটায় শিক্ষক। আপনার বা তাদের এই সব আদেশ সব প্রচার করে তারা।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment