Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 7 July 2019

বেকারের দেশে চাকরি পাওয়ার জন্য ঘুষ এ নতুন কী?

অনলাইন খবর টি তে পড়লাম রেলে চাকরি পাওয়ার জন্য, সিঙ্গুরের কয়েক জন যুবক বেহালার কয়েক জন প্রতারক কে টাকা দিয়েছে। আজ প্রায় পাঁচ ছ বছর রেল কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বিভাগের নিয়োগ অনিয়মিত, মাঝে মাঝে খুব প্রয়োজনে দু একজন নিয়োগ পায়। বিহারের রেলমন্ত্রী যখন হয়ে ছিল তখন হিন্দি বলয়ের বেশ কিছু যুবক রেলে চাকরি পেয়েছে। আর তাদের পাড়া তুত লোকের কল্যাণে অনেক যুবক যুবতী তখন চাকরি পেয়েছে। এখন চাকরি দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, বেকার যুবক যুবতী দের হয়রানি করার জন্য, আবার যদিও পরীক্ষা হয় তাহলে কলকাতার বা পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থী কে পরীক্ষা দিতে যেতে হয় কর্ণাটকে আর ঐ দিকের ছেলে কে কলকাতায় যাতে অনেকে যেতে না পারে তার জন্য কত রকম ব্যবস্থা, আমরা বর্তমানে এক আজব দেশে বাস করি, কী রাজ্য সরকার আর কেন্দ্র সরকার দুই সমান, দেশে বা রাজ্যে বেকার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, নিয়োগের বিজ্ঞাপন আছে, নির্বাচন এলে সেটা আরও বাড়ে, কিন্তু নিয়োগ নেই, পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারত এখন গুজরাত হয়ে গেছে, গত কয়েক বছর আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী গুজরাতের শাসক তথা মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেখানের হাল এরকম ছিল, কেবল আর এস এস বেড়েছে, যারা গুজরাত গেছেন, তাদের একটু জিজ্ঞেস করে দেখুন, প্রতি মুহূর্তে আর এস এস সেখানে আপনার খবর রাখেন। যে কোন কাজ তাদের সাহায্য ছাড়া করা অসম্ভব। সরকারি ভাবে নিয়োগের নাম গন্ধ ছিল না। আজ ভারতের অবস্থা ঠিক সেই রকম মুখে বড়ো বড়ো কথা নির্বাচন এলে সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তে বিভিন্ন খবরের কাগজের পাতা ভরে উঠেছে, কিন্তু যেই নির্বাচন চলে গেল সব ফাঁকা, আর বিজ্ঞাপন নেই নিয়োগও নেই, কত প্রতিশ্রুতি এখন সব ভুলে গেছে, গত বার কালো টাকা উদ্ধারের, ডিজিটাল ভারতের নামে আমরা কী পেলাম, অনলাইন টাকা পাঠানো। আর কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে দর কষাকষি, কংগ্রেস এরকম করে দেশ টার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে। এর কাছে, আমাদের আশা বেকার ছেলে মেয়ে দের চাকরি, ক্রমশ সরকারি কর্মক্ষেত্র সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে। রাষ্ট্রত্ব ক্ষেত্র গুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক বিমা, থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সব বেসরকারি করে দেওয়া চেষ্টা চলছে। টেলিকম ক্ষেত্রে বেসরকারী সংস্থা কে প্রাধান্য দিয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বিএস এন এল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা, বি এস এন এল কে আধুনিক ব্যবস্থা করার চেষ্টা না করে তাকে তুলে দিতে, উঠে পরে লেগেছেন। দীর্ঘ দিন কর্মী দের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে বেকার যুবক যুবতীর দল কে প্রতারিত করতে একটি চক্র সক্রিয়, চাকরি কার না চাই, সেই জন্য চাকরি পাওয়ার জন্য, চিটফাণ্ডের মতো বেকার যুবক যুবতীরা প্রতারক দের টাকা দিয়ে আশায় বুক বেঁধে থাকে। পরে যখন বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার তখন আর কিছু করার থাকে না। বেকার যুবক যুবতী দের আমি এখানে আমি একটা কথা বলি, আমাদের দেশে যে সরকার টি চলছে, সে দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে ওস্তাদ, চাকরি দিতে পারে না। বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে। তোমরা সাবধান, কোথাও কোনো ভাবে কাউকে টাকা দিও না, দেখবে টাকা দিলে অনেক প্রতারক নিয়োগ পত্র দিয়ে তোমায় নিয়োগ দিলো কিন্তু সেটা ভুয়ো, এদের থেকে সাবধান, ঐ টাকা দিয়ে কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তি হও মন দিয়ে পড়ে দেখ, ঐ যে অনিয়মিত সরকার অনিচ্ছাকৃত হলেও নির্বাচনের আগে নিয়োগ করে তখন তোমার ভাগ্যেও ঐ নিয়োগ পেয়ে যেতে পার। প্রতারকের ফাঁদে পা দিও না।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...