Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 7 July 2019

আদিবাসী উচ্ছেদ করে, কয়েক একর বন ধ্বংস করে, এখন জল সংকটে নিদান দিচ্ছেন।

আমাদের সনণ্মানীয় প্রধানমন্ত্রী জল সংকটে  জনগণ কে তিন টি, কাজ করতে বলেছেন, সবই খুব ভালো কিন্তু আরেকটা কথা তিনি বলেন নি। গাছ লাগানোর জন্য দেশ বাসিকে উৎসাহিত করা হবে।
তিনি জানেন না বন জঙ্গল বা গাছ বৃষ্টি বা মেঘ তৈরি করে তবে বৃষ্টি হয় আর সেই বৃষ্টির জল  কিছুটা হলেও মাটির নীচে যায়, জানেন বলেন নি। কারণ বছর দুই আগে উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দির এলাকায়, ভূমি ধসে বা হড়কা বানে সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তখন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতিরিক্ত গাছ কাটার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, বনভূমি ধ্বংস করা যাবে না। গাছ লাগাতে হবে, কিন্তু কোথায় কী, গাছ লাগানো তো দূরের কথা উল্টে আরও বেড়েছে, স্বঘোষিত ভারতের গুরুদেব( বাবা রামদেব) তিনি যাতে ব্যবসা করতে পারেন তার জন্য কয়েক একর জমি চিহ্নিত করেছেন। যে জমিতে বনভূমি রয়েছে, আর ভারতের আদিম অধিবাসীদের ঘর রয়েছে, তাদের উচ্ছেদ করে, শিল্প হোক আর যাই হোক হবে। কাজ শুরু হয়েছে, আদিবাসী দের ঘর ভাঙা চলছে, আর এই সব কারণে আমাদের জগৎ বিখ্যাত প্রধানমন্ত্রী গাছ লাগানোর কথা বলতে পারেন নি। বনদফতর আছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্প আছে, অতিরিক্ত হারে গাছ কাটা হলে কিছু দিনের মধ্যেই গোটা ভারত সাহারা মরুভূমি হয়ে যাবে, দরকারে রাস্তা হবে। রাস্তা হয়ে যাবার পর তার দুপাশে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। শের খাঁ অতো বড়ো জি টি রোড তৈরি করে ছিলেন, কিন্তু তিনি তার দু পাশে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কেবল নেতা মন্ত্রী আইন এসব দিয়ে হবে না। সাধারণ মানুষ কেও জানতে হবে, আজ দক্ষিণ বঙ্গ তথা ভারতের প্রায় সর্বত্র বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে তার কারণ গাছ কেটে ফেলে বাড়ি রাস্তা, খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। অনেকেই এই লেখা পড়ে বলবেন প্রধানমন্ত্রী মাটির নীচের জলের সমস্যা নিয়ে বলেছেন। আপনি বৃষ্টির কথা বলছেন,গাছ মাটি থেকে শেকড়ের সাহায্যে খনিজ লবণ সংগ্রহ করে পাতায় পাঠায়, সে খানে সে সূর্যালোকের সাহায্যে খাদ্য তৈরির পর, অতিরিক্ত জল বাষ্প আকারে বাতাসে ত্যাগ করে, সেখান থেকে মেঘ সৃষ্টি করে বৃষ্টি হয়, আর এই বৃষ্টির জল নদী নালা খাল বিল দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময়ে চাষ বাসের কাজে লাগে, কিছুটা অংশ বাষ্প হয়, বেশ কিছুটা অংশ মাটির নিচে পৌঁছয়। সেই কারণেই গাছ আমাদের জরুরি আর বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করে, ব্যবহার করা যাবে। জলের অপচয় রোধ করতে হবে। অনেক উপায় আছে, প্রতিটি জায়গায় নলকূপের জল ব্যবহারের পর, শোকপীঠে ফেলতে হবে, যাতে ঐ জল মাটি টেনে নিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...