Anulekhon.blogspot.com

Friday, 15 February 2019

পুলিশের চাকরি ছেড়ে কম বেতনে চাকরি কেন নিচ্ছেন?

 বিভিন্ন অন লাইন নিউজ পোর্টালে পড়ছি, যে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের চাকরি কিম্বা কলকাতা পুলিশের চাকরি ছেড়ে কম বেতনে চাকরি করতেন যাচ্ছেন অনেকে, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতি একদিনে তৈরি হয়নি, সেই ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মী দের উপর নানা নির্যাতন, চড় মারা থেকে শুরু করে, ধামাকান চমকান থানায় ঢুকে মার, ভয়ে পুলিশ টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়া, বোমা মারার কথা বললেন আর সত্যি বোমা মেরে মেরে ফেলা হলো পুলিশ কর্মী কে, সঠিক দুষ্কৃতী কে ধরতে দেওয়া হলো না। দার্জিলিঙের পুলিশ কর্মী মারা গেলেন সেখানেও সঠিক ভাবে কেউ ধরা পড়েনি। কোন ঘটনা ঘটলে নেতা মন্ত্রী বলে দিচ্ছেন কে অপরাধী, সঠিক অপরাধী ততঃ খনে পগার পার।পুলিশ বাধ্য হয়ে নকল অপরাধী দের ধরে আনছে, নেতা মন্ত্রী দের কথা মতো কেস সাজিয়ে দিচ্ছে, এর উপর আছে বেতন বঞ্চনা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত কাজের চাপ, ঊর্ধ্বতন যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে তাই তারা, এই সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে দিয়েছে। এসব কারণে এখন পুলিশের চাকরি ছেড়ে কম বেতনের চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার এই কথাটাও ঠিক একজন এইট পাশ করা বা না করা মন্ত্রী বা নাম লিখতে জানে না। এরকম নেতা যখন একজন পুলিশ অফিসার কে ধমক দেয়, গালে এক থাপ্পর মারতে হয় বা চাবকে পিঠের চামরা তুলে নিতে হয়। এসব তো আমরা টিভি তে দেখেছি, তবে চিন্তার কিছু কারণ নেই, সিভিক পুলিশ আছে ওরা এখন রাজ্যে নতুন তোলা বাজ, যার একটা ভাগ নিশ্চয়ই উপর মহল পায়, না হলে এত সিভিক নিয়োগ করা হয়েছে কেন ? একজন পুলিশের বেতনের টাকা খরচ করে চার জন সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা যাবে, যার জন্য,যারা নিজেদের মান সণ্মান নিয়ে কাজ করতে চান তারা এই পুলিশের চাকরি ছেড়ে কম বেতনে চাকরি করতেন যাচ্ছেন।কোন কোনো ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশ প্রশাসন কে অপমান করা হচ্ছে, কিছু দিন আগে  হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় গ্রামের গৌরীবাটী গ্রামে চুল্লু নষ্ট করতে গিয়ে, সেখান কার মানুষ পুলিশ কে মার ধোর করে। তাদের যুক্তি ছিল শাসক দলের লোক মদ বা চুল্লু করে তাদের কিছু বলে না। সত্যিই পলতাগড় গ্রামের শ্মশানের পাশে বাড় পাড়ার কিছু লোক দিনের পর দিন  চুল্লু তৈরি করে আসছে, তাদের ধরে না কোন দিন ওখানে পুলিশ ঢোকে না। দু দিন আগে সরস্বতী পুজোর পরেও কলকাতার কোনও এক জায়গায় মাইক বাজানো হচ্ছিল, পুলিশ বন্ধ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলো।এটা এই রাজ্যের এতিহ্যে পরিনত হয়েছে। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...