Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 14 February 2019

বাঙালির জন্য দিল্লির দরবার আজও উপেক্ষিত নয় কি?

আজ আমি অন লাইন নিউজ পোর্টালে ( আনন্দ বাজার পত্রিকায়) পড়লাম, রীনা মিত্র নামে এক পুলিশ অফিসার বলছেন, কেন্দ্র আমায় সণ্মান করে নি, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মর্যাদা দিচ্ছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন, একদম ঠিক বলেছেন, সনণ্মানীয়ার সণ্মান করতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জবাব নেই। তিনি দময়ন্তী সেন, ভারতী ঘোষ কেও সণ্মান করতেন, ভারতী দেবী " মা" বলে সম্বোধন করতেন। আর এটাও ঠিক যারা মা বা বোন বলে সম্বোধন করতেন, তারা কেউ কেউ জেলে, নয় তো পালিয়ে বেঁচেছে, একজন তো বেঁচে নেই ।দিল্লির কথা বলছেন এখন কেমন জানি না,আমরা ইতিহাসে পড়েছি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ত্রিপুরার কংগ্রেসে যোগ দেন এবং সভাপতি নির্বাচিত হন, সেই নিয়ে গান্ধী কী বলেছিল, কী সাম রামাইয়ার হার তার হার। স্বাধীনতার পর নেতাজি কে দুজনে মিলে ভারতে ঢুকতে দেয় নি । একটু রাজ্যের কথায় আসা যাক, স্বাধীনতার পর রাজ্য সমাল দিতে কয়েক জন বাঙালির অসামান্য অবদান আছে, একজন শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি, অনেকে ওনাকে বি জে পির প্রতিষ্ঠা বলেন। স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  ডাঃ বিধান রায়, ইনি চেষ্টা করে গেছেন, ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা কয়েক টি কারখানা আর কল্যানী শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সাধারণ গরীব মানুষের অবস্থা দূর্বিসহ হয়ে পড়ে, তারপর নানা টানা পোড়েনের পর পশ্চিমবঙ্গে আসল পরিবর্তন তৈরি হয়, বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসে। ভূমিহীন কৃষকের হাতে জমি আসে। শিক্ষাকে সহজ করতে গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি তুলে দিলেও, সবার জন্য উন্মুক্ত হয় শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা পয়সায় বই, মেয়েদের জন্য জামা শিক্ষকের সম্মান বৃদ্ধি বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন, পেনশন ব্যবস্থা, সহজে স্কুলের অনুমোদন, বিজ্ঞান ভিত্তিক পাঠক্রম, একটা কথা ভাবতে হবে তখন সর্ব শিক্ষা মিশন ছিল না। কেন্দ্রীয় টাকা আসত কম, একটি শিল্প বলুন বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ সবেতেই কেন্দ্রীয় অনুমতি লাগতো। স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে বিনা পয়সা চিকিৎসা, কৃষিতে উন্নয়ন, ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গের মান বাড়তে থাকে,      ত্রিস্তর  পঞ্চায়েত ব্যবস্থা শুরু করা আরও কতকী। দিল্লিতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় জ্যোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে ছিলেন। আর এখন সারদা রোজভ্যালীর নারদা ইত্যাদি সংস্থার টাকা  চুরির কলঙ্ক, বাঙালি জাতির মাথায়। সে চোর যাতে ধরা না পড়ে তার জন্যে কত ব্যবস্থা, আজ পাঁচ বছর হলো, কারণ চোরের ধন বাটপারে খেয়েছে। আর বাট পাররা কেউ কেউ জেল খেটে এসেছে। তারা কেউ কেউ মন্ত্রী সাংসদ, বিধায়ক, এদের লজ্জা নেই। বেমালুম মিথ্যে কথা বলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে, নির্বাচন কে প্রহসনে পরিনত করে।তোলা বাজি আজ শিল্পে পরিনত হয়েছে। সিভিক রা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলা তোলে। সিন্ডিকেটের তো কথাই নেই, রাস্তা ঘাটে জমির দালাল ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানেই জমি কিনতে যান বাড়ি করবেন, দালাল ছাড়া পারবেন না। ধর্ষণ সে তো বলার মতো নয়, আশি বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পায় না, ও মাত্রা অনুযায়ী দর ঠিক করে দিয়েছেন, আর এটাও বলেছেন শরীরের জ্বর জ্বালার মতো ওসব হবে। নির্বাচন রাজ্যে হয় না, গত ষোল সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী ছিল কিন্তু  নির্বাচন প্রহসনে পরিনত হয়েছে, এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী দিতে পারেন নি, যেখানে দিয়েছে নির্বাচন হয়েছে, মুড়ি মুড়কির মতো বোমা গুলি চলছে। উন্নয়ন তো রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল । সামনে লোক সভা নির্বাচন ভাবছি কতো খুন দেখতে হবে। একজন তো বলছে ওরা একটা বোমা মারলে, একুশ টা বোমা মারতে হবে। মানুষ খুন সে তো শুরু হয়ে গিয়েছে, ঐ যে কৃষ্ণ গঞ্জের  বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে খুন হলেন। এসব দেখেও বা কাগজ গুলো পড়ে মনে হয় এরপর বাঙালির সণ্মান আছে ।   কাগজ গুলো যা লেখে সে গুলো পড়ে লিখলাম, ভুল থাকলে মাপ করে দেবেন কেমন। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...