সত্যিই আমরা আজব রাজ্যে বাস করছি। এখানে সরকারি চাকরি করা মানে সব থেকে কম বেতনে চাকরি করা। আর না হলে কাটমানি ব্যবস্থা করে নিতে পারলে তার আর ফিরে তাকাতে হবে না। কেউ কিছু বলবে না। সব কর্মচারী তো আর কাটমানি তুলতে পারে না, যারা এই কাটমানি তুলতে পারে তারা এই সরকার কে ক্ষমতায় রাখতে বদ্ধ পরিকর কারণ ডি এ এর তিন গুণ টাকা এরা কাটমানি থেকে পায়। উপর তলার অফিসার থেকে কিছু পুলিশ সকলেই এই ব্যবস্থার সাথে যুক্ত, দিদির দলের সমর্থক সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা এদের ডি এ চায় না। কেউ কেউ মুখে বলে কিন্তু মনে মনে বলে ডি এ না দেওয়া ভালো, ছুটি দেওয়া আর ঘরে বসিয়ে বসিয়ে বেতন নেওয়া এদের স্বভাব হয়ে গেছে, আর শিক্ষক শিক্ষিকা দিদির দলের তারা তো স্কুলে পড়াতে আসে না। স্কুল আসে বাজার করতে, ডাক্তার দেখাতে আরো যদি বাড়ির কাজ করতে। সব কিছু শেষ করে সময় থাকলে পড়ানো। যাহোক এদের বাদ দিলে অধিকাংশ আছে যারা আছে সঠিক কাজ টা করে সে কারণে সরকারি কাজ গুলো ঠিক মত হচ্ছে। কিন্তু এই সরকার এই সব কর্মচারী দের দিনের পর দিন বঞ্চনা করে চলেছে। গত পে কমিশন এমন করেছে তাতে বঞ্চনার শেষ নেই, House rent ছিল 15% কমে হল 12%আর বেতন এমন ভাবে ঠিক করা হল। সিনিয়র কর্মীদের থেকে জুনিয়র কর্মীদের বেতন বেশি বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমান হয়ে গেছে। 2010 সালে যোগদান করা কর্মীরা 2012 সালের কর্মীর সমান বেতন পান। আবার সিনিয়র কর্মী যারা 2000 সালের আগে যোগদান করেছেন তারা পান লেভেল 09 এবং 2000 সালের পরে যোগদান করে আঠারো /16 বছর চাকরি হলে সে লেভেল 10 এ বেতন পান। আর এই প্রথম শূন্য শতাংশ ডি এ দিয়ে বেতন কমিশন শুরু হল। প্রায় দু বছর ডি এ না দিয়ে চলল অনেক দাবি করার পর 2% না 3% ডি এ দিলেন। ওদিক কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ডিএ ফারাক বেড়ে চলল। এরকম ভাবে বর্তমানে 18% ডি এ দিচ্ছেন। অদ্ভুত সরকার পূজোর অনুদান, ভাতা এবং পাড়ায় সমাধান নাকি পিণ্ডি 10 লক্ষ টাকা আসলে সামনে ভোট কাটমানি চাই ভোটে মদ মাংস খাওয়ার টাকা দরকার। সে কারণেই এই পাড়ায় সমাধান ওদিকে এই কাজে অনেক সরকারি কর্মচারী যুক্ত তাদের জন্যে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আর যারা যুক্ত নয় তারা কাঁচ কলা, কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে 39%শতাংশ ডি এ পার্থক্য সে সব ঘোষণা নেই সামনে পূজো, বোনাস বলুন আর অনুদান সে তো সব কর্মচারী পায় না। সত্যিই এই সরকার কর্মচারী মারা সরকার। একটা সরকার যখন কম বেতনে কর্মী নিয়োগ করে পাঁচ হাজার বা তার থেকেও কম 2000 হাজার টাকা মাসে তখন বেসরকারি সংস্থাও তার কর্মীদের কম মজুরি দেয়। সে কারণেই এই রাজ্যে বেসরকারি কর্মীদের বেতন কম, আর জিনিস পত্রের আকাশ ছোঁয়া দাম ঐ কম বেতনে বেঁচে থাকা কঠিন। এ কারণে এই রাজ্যের শ্রমিক বাইরের রাজ্যে চলে যাচ্ছে কাজ করতে। কারণ বাইরের রাজ্যে একজন রাজমিস্ত্রির দৈনিক মজুরি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। সেখানে এই রাজ্যে অর্ধেকের কম। যাহোক ভালো থাকবেন দিদি সুস্থ থাকবেন আর ভোটে কারচুপি করে আবার ক্ষমতায় আসবেন, না হলে আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের অসুবিধা ভীষণ, ওরা তো চাকরি করে না ওদের তোলাবাজি আর কাটমানি তে চলে, আপনি সাদা খাতা জমা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, এবং টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন তারা ভয়ে কিছু বলে না। আর ভোটে কারচুপি করার জন্য তো আপনার আই প্যাক আছে সাথে উপর তলার সরকারি কর্মচারী আছে আপনার চিন্তা নেই আপনি যত দিন বাঁচবেন ততদিন আপনি মুখ্যমন্ত্রী আছেন থাকবেন আরেকটা কথা কোনো কাজ টা ঘুষ বা কাটমানি ছাড়া করবেন না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে।
ব্রিটিশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম পাশ্চাত্য শিক্ষার হাত ধরে আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা গড়ে উঠেছিল। এক সময় বাঙা...
-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment