মনে পড়ে যাচ্ছে গত বিধানসভা না লোকসভা নির্বাচনে আগে মাননীয়ার ভোট প্রচারে বলা সেই কথাটা, ডবল ডবল চাকরি হবে! আজ পশ্চিমবঙ্গে সেটাই হতে যাচ্ছে, বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের রায়ে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা তথাকথিত চিহ্ণিত দূর্নীতি করে চাকরি পায় নি বা ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে এ রকম প্রমাণ হয় নি বা এস এস সি বলে নি তারা আজ তথা১৭/৪/২৫ এর রায়ের পর ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবে। আগামী ৩১ শে মে ২০২৫ শের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার নোটিশ জারি করা হবে যারা ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ছিল তারা সহ আরো নতুন চাকরি প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। আর নিয়োগ করা হবে ২০১৬ সালের ২৫৭৫২ জনের যে পদ খালি ছিল সেই পদে। অর্থাৎ একবার ষোল সালে টাকা নিয়ে ঐ পদের জন্য পরীক্ষা নিয়ে ২০১৮ বা ২০১৯ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল আবার সেই পদের জন্য আবেদন এবং আবার ফর্ম বিক্রি আবার পরীক্ষা বাইশ লক্ষ আবেদন কারি যতটা সম্ভব ৫০০ টাকা করে ফর্ম পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ একটা চাকরির জন্য দুবার আবেদন দুবার পরীক্ষা কারণ মাননীয়ার ভাই ভাইপো দের টাকার লোভ সেই সময়ে কয়েক হাজার আবেদন কারির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করা।
এটা হয়েছে একটাই কারণে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প সম্ভাবনা কে গুজরাত কে উপহার হিসেবে দিয়ে এখন পশ্চিমবঙ্গে কয়েক কোটি বেকার কারণ পশ্চিমবঙ্গে লোক সংখ্যা বেশি। মাননীয়ার গুজরাত প্রীতি বরাবরের নিজের রাজ্য বা বাঙালি উচ্ছন্নে যাক গুজরাত বেঁচে থাক। শিক্ষা তো ঐ নাগপুরের নেতার কথায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কঙ্কাল সার অবস্থা কয়েক জন মন্ত্রী সে বেসরকারি স্কুল খুলেছে প্রতি বছর নতুন নতুন নাম তার। চারপাশে বিজ্ঞাপনের ছড়া ছড়ি। একটা আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই সরকার নিযুক্ত ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক কুল যাতে মন্ত্রী দের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয় তার জন্য সুপারিশ করছে। কী দারুণ ব্যাপার না! যাহোক শেষ পর্যন্ত ডবল ডবল চাকরি হবে, এর জন্য দায়ী এক শ্রেণির অল্প শিক্ষিত সর্ব জ্ঞানী বাঙালি কারণ আমি শুনেছি আগে অর্থাৎ এই সরকার আসার আগে ২০১১ সালের আগে যদি কেউ সরকারি চাকরি পেতে তাদের একটাই কথা কত টাকা দিয়েছে দেখ বা খুঁজে বের করত তার বাড়ির কারোর সাথে সি পি আই এম এর যোগাযোগ আছে কীনা! এই সব মানুষ গুলোই আজ এই সরকারে নেতা মন্ত্রী কর্মী চোর দের ঘুষ দিয়ে চাকরি কিনে ছিল। যা ১৯৯৭ এর পর কল্পনা করা যেত না। আবার ভাবলে হবে না যারা সেই সময় অর্থাৎ ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছিলেন তারা সকলেই বামেদের সমর্থন করে মোটেও না বেশির ভাগ টাই কট্টর বাম বিরোধী অথচ এখন বুক ফুলিয়ে বলছে আমি বাম আমলে এস এস সি বা প্রাইমারি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি। সত্যিই বেশ আশ্চর্যের ব্যাপার স্যাপার, তবে এটা ঠিক আজ মাননীয়ার কথা সত্যিই হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ডবল চাকরি হবে। ধন্যবাদ দিদি আপনাকে আপনি আরও কুড়ি বছর রাজত্বে থাকলে বাঙালি আর বাঙালি থাকবে না সকলে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবে এটা পূর্ব বিহার হবে। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন আপনিও বাঙালির সাথে ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে যাবেন। আর যে দিন আপনার দাদা বাংলাদেশ দখল করবে স্বপ্ন দেখছে সেদিন ওখানে পাঠিয়ে দেবে। কারণ আপনার গুজরাতি ভাই এবং নাগপুরের ভাই এর কথা হচ্ছে বাঙালি দেশ ভাগ করে নিয়েছে নিজের দেশ বাংলাদেশে চলে যাবে। এখানে থাকবে কেন?