Anulekhon.blogspot.com

Friday, 9 February 2024

বর্তমানে দরকার, আরেকটা নবজাগরণ।

 ভারত স্বাধীন হয়ে ছিল, 1947 সালের 15 ই আগস্ট। ব্রিটিশ শাসক দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা একদিন একটা আন্দোলন করলাম কিম্বা অনশন করলাম, তুমি আমাকে মারছ কিন্তু আমি তোমাকে কিছু বলব না, এভাবে স্বাধীনতা আসেনি। স্বাধীনতা এসেছে অনেক আত্মত্যাগ আর আত্ম বলিদানের মধ্যে দিয়ে। বাংলা এবং পাঞ্জাব ছিল এই আন্দোলনের পিঠ স্থান। ব্রিটিশ শাসকের নজর ছিল এই দুই জাতি কে ভারতের বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। কারণ এরা ভীষণ স্বাধীনতা প্রিয় জাতি সহজে অপরের অধীনতা স্বীকার করতে চায় না। এই ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিল কত গুলো হিন্দি ভাষী বাঙালি ও পাঞ্জাবি বিরোধী কংগ্রেস নামক নেতা যার মধ্যে ছিলেন এক বিখ্যাত অনশন কারি নেতা তিনি নাকি অনশন করে স্বাধীনতা এনেছেন। এই গুজরাতি লোকটা এবং ক্ষমতা লোভী লড মাউন্ট ব্যাটেনের চাকরের ছেলে, মিলে ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে ক্ষমতায় বসে কি আনন্দ। এদিকে লক্ষ লক্ষ বাঙালি  হিন্দু ও পাঞ্জাবি, মুসলমান দের সাথে লড়াই করে ১৯৪৭ সালে নিজের জীবন বিপন্ন করে মা বোন ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন হারিয়ে সব ফেলে চলে আসছে এপারে তাদের থাকার জায়গা নেই, খাদ্য নেই অবর্ননীয় অবস্থার মধ্যে কোন রকম বেঁচে থাকা। কত যে মারা গেছে সেই দেশ ভাগের সময় কেউ জানে না। এর নাম নাকি স্বাধীনতা একটা জাতি কে শেষ করে দেওয়ার কৌশল এখন সেই জাতি বিদ্বেষ যায়নি ঐ গুজরাতি লোক জন দের এখন তো আবার দেশে শাসন ভার দুই গুজরাতির উপর। দুই গুজরাতি বললে ভুল হবে দিল্লি প্রশাসনের চার ভাগের তিন ভাগ গুজরাতি এমনকি আমলা বা বড়ো বড়ো অফিস আদালতে সর্বত্র গুজরাতি বিরাজ মান। এরা একদম দ্বিতীয় গান্ধীজি মুখে দরদের শেষ নেই ভেতরে ভেতরে ক্ষতি করে দিচ্ছে আসলে এরা মিছরির ছুরি। ভোটের সময় এলে এদের বাঙালি প্রীতি উতলে ওঠে, কী করবে ভেবে পায় না। আদীবাসী বাঙালি বাড়িতে পাত পেতে খাওয়া থেকে শুরু করে অনেক নাটক মঞ্চস্থ করে থাকে। যেমন গান্ধীজি করতেন একই নাটক, আরেক দিকে ছল বলে কৌশলে যেমন করে হোক বাঙালি জাতি টা কে বিশেষ করে বাঙালি হিন্দু জাতিকে ধ্বংস করে দাও। আজ আসামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, দেশ ভাগের সময় ওখানেও বেশ কিছু বাঙালি গিয়ে ছিল এবং আগে থেকেই ওখানের বরাক উপত্যকায় বাঙালিদের বসবাস ছিল এখন এই বিজেপি নামক বাঙালি বিদ্বেষী দল দিল্লিতে ক্ষমতায় এসে সেখানে ১৪ লক্ষ বাঙালি হিন্দু কে ডিটেনশন ক্যাম্প আটক করে রেখেছে। ডিটেশন ক্যাম্প হচ্ছে বিনা বিচারে আটক রাখার আধুনিক জেল খানা। আর পশ্চিমবঙ্গরে বাঙালি কে ঠিক সেই ভাবে আটকে রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে আমাদের এই দিদির সরকার এত আপাদ মস্তক দূর্নীতি গ্রস্থ একে জব্দ করতে দিল্লির ঐ গুজরাতি দের বেশি ক্ষণ লাগবে না। দিল্লিতে ডেকে নিয়ে সামান্য একটু লোভ দেখিয়ে করা যায় যেমন এখন আর এস এস লোভ দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রী করার, কারণ আগে থেকেই পি কে বা প্রশান্ত কিশোর কে পাঠিয়েছে দিদি কে পরামর্শ দিতে। না হলে পি কে বলছে আগামী দিনে বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে দিল্লিতে আবার দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন। এখান থেকেই বোঝা যায় গড়াপেটা করে রেখেছে। সে ভাবেই বাঙালি কে জব্দ করতে বি এস এফ এর নজরদারি এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে, আর গুজরাতে ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু গুজরাতের থেকে আয়তনে ছোট কিন্তু লোক সংখ্যায় ভারতের দ্বিতীয় রাজ্য। এখন যদিও প্রকৃত বাঙালি অর্থাৎ বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা অনেক কম এই বাংলায় ওপার বাংলায় যেমন কমেছে সে ভাবে এপার বাংলাতেও কমেছে। কারণ বাঙালি হিন্দু জাতি তাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার কম। ধীরে ধীরে বাঙালি হিন্দু জাতি হারিয়ে যাবে। আর এটাই লক্ষ ঐ দিল্লি বালা গুজরাতি দের সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সবিচ দ্বিবেবি, বা অন্য বেশ কিছু সচিব আছেন যারা গুজরাতি এরা বাংলা কে ধ্বংস করার জন্য এসেছে। তার সাথে আছে এক উত্তর প্রদেশের পুলিশ কমিশনার যাদের পূর্ব পুরুষ ব্রিটিশদের গোলামি করত এবং ক্ষুদিরাম বোস ধরিয়ে দিয়ে ছিল। আর বর্তমান সরকার সব মেনে নিতে বাধ্য কারণ এরা আগা পাছ তলা সব কটা ডাকাত আর চোর। দিল্লি তে যে বসে আছে সে সব থেকে বড়ো ডাকাত দেশের সম্পদ সব বেচে দিচ্ছে কিনছে কারা গুজরাতি রা টাকা আসছে কোথা থেকে কেন ব্যাঙ্ক ঋণ থেকে, পরে ব্যাঙ্ক ঋণ মুকুব করে দেওয়া হচ্ছে। আবার তাতে না হলে টাকা ছাপানো হচ্ছে যার হিসেবে নেই কেবল সব দখল করতে পারলেই হবে। দ্বিতীয় ইংরেজ শাসন চলছে।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...