Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 16 June 2022

ভারতীয় সেনা বাহিনীতে ব্রিটিশদের অনুকরণ!


ছবিটি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া ।RSS ইংরেজ সরকারের দালাল আর RSS পরিচালিত বিজেপি সরকার বর্তমানে দেশের মানুষ কে বুঝিয়ে দিচ্ছে কীভাবে ব্রিটিশ আমল কে অনুকরণ করতে হয়। প্রথমেই বলে রাখি সেই ব্রিটিশ সরকারের কালা আইন বিনা বিচারে আটক বহাল করেছে। আর এখন ব্রিটিশ সরকারের মত, সেনা বাহিনীতে হাবিলদার নিয়োগ করবে। এই নতুন বাহিনীর গাল ভরা নাম দিয়েছে, " অগ্নি বীর" । আমরা ইতিহাসে পড়েছি ইংরেজ আমলে সেনা বাহিনীতে বিভিন্ন প্রদেশের একটি করে হাবিলদারের দল থাকত, তাদের প্রতিটি যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যদের আগে আগে যেত, মরলে এরা মরবে তার পর ইংরেজ সেনা। ইংরেজ দের প্রানের দাম অনেক বেশি বর্তমান ভারত সরকার তথা ইংরেজের দালাল দ্বিতীয় ইংরেজের দল নিয়োগ বন্ধ রেখে, চার বছরের চুক্তিতে দেশের নিরাপত্তা এবং বিরোধী আন্দোলন দমন করতে দ্বিতীয় RSS বাহিনী তৈরি করছে সেই কারণেই সেনা বাহিনীতে হাবিলদার নিয়োগ। এখনি ইংরেজ আমল দেখতে পাচ্ছি, আস্তে আস্তে দেশের সব কিছু দখল নিচ্ছে দেশের দুই বণিক। 2024 এ ক্ষমতায় এলে পুরো দেশের শাসন ভার চলে যাবে দেশীয় দুই বণিক আদানি আর আম্বানির হাতে। এই যে নয়া ইংরেজ বণিক দের ছবি।



"ফেল" করা ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে কটাক্ষ করা বন্ধ হোক।


 বিভিন্ন মিডিয়ায় বর্তমান বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ফেল করা ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে কটাক্ষ করে যাচ্ছে বিভিন্ন মানুষ এবং এক দল সাংবাদিক।কোভিড19 এর জন্য গত 2020 সালের 15 ই মার্চ থেকে স্কুলের দরজা বন্ধ করে দিলেন। ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল কি কারণ কোভিড19 আচরণ বিধি মেনে একটি করে শ্রেণির কে স্কুলে এনে পড়ানোর ব্যবস্থা করা যেত। 2020 সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দুটি না তিন টি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে নম্বর দিয়ে সকল ছাত্র ছাত্রী কে পাশ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। 2021 মাঝে মাঝে দু এক দিনের জন্য কোভিড বিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হলেও সেটা নামে মাত্র। অন লাইন ক্লাস করতে দিলেন দশ হাজার টাকা ফোন কিনতে, করোনা বলে বলে আসছিল, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউ আবার বয়স হিসেবে করোনা হচ্ছিল। 2021 মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করে গেল। এভাবে চলতে চলতে 2022 সালের 7 ই ফেব্রুয়ারি গোরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল বাঁদরের সাথে পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু করা হলো, প্রতিবাদের ঝড় উঠল 16 ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলো বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন তাও সব ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে নয় ।এর মধ্যেই পরীক্ষার রুটিন এলো মাধ্যমিক পরীক্ষা হলো অন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে আর উচ্চ মাধ্যমিক হলো যে যার বিদ্যালয়ে। না হল ঠিক মত পড়াশোনা পরীক্ষা নেওয়া শুরু হল, যে ছাত্র ছাত্রীরা গত দু বছর দেখল পরীক্ষা না দিয়ে পাশ করা যায়, তারা তো দাবি করবে পাশ করিয়ে দেবার। কারণ পরীক্ষার দুই ফল পাশ ও ফেল এরা ভুলে গেছে, কেবল এরা নয় এদের অভিভাবকরাও ভুলে গেছে না হলে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন 2022 সালে 7 ই ফেব্রুয়ারি থেকে 30 শে এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল খোলা ছিল, অতিরিক্ত গরম এই অজুহাতে গত 2 রা মে থেকে বিদ্যালয় বন্ধ, বিদ্যালয় এখন রেশন দোকানে পরিনত হয়েছে। জানা ছিল 16 ই জুন স্কুল খুলবে এবং অনেক বিদ্যালয় প্রথম পর্বের মূল্যায়ন করবে দূর্ভাগ্য ছুটি পিছিয়ে দেওয়া হল, অতিরিক্ত গরমের অজুহাতে।কোন অভিভাবক কে স্কুল খোলা নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু নিজের ফেল করা সন্তান কে পাশ করিয়ে দিতে হবে এই নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এটা দেখা যাচ্ছে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা আজ রসাতলে, বাঙালি আবার ফিরে যাবে ইংরেজ আমলে! 

Wednesday, 15 June 2022

আশ্চর্য ব্যাপার বর্তমান সরকার এত তাড়াতাড়ি কোর্টের রায় মেনে নিল!


 কলকাত হাইকোর্টের বিচারপতি রায় দিয়েছেন ২০১৭ সালের চাকরি পাওয়া ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এবং বেতন বন্ধ করে দেওয়ার। আবার মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে কে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ, দেখলাম প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এই সরকার আদেশ কার্যকর করে দিলেন। অথচ এই কলকাতা হাইকোর্ট বলুন আর সুপ্রীম কোর্ট বলুন এমন অনেক রায় দিয়েছেন যা আজও কার্যকর করা হয় নি। যেমন প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক দের সম কাজে সম বেতন, শিক্ষা বন্ধু দের বেতন, আবার সরকারি কর্মীদের ডি এ দেওয়ার রায় বা আদেশ এখনও মানা হয়নি। কিন্তু এই ২৬৯ জনের চাকরি নিয়ে রায় একদম সাথে সাথেই কার্যকর করা হয়ে গেল। ব্যপারটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, আর সি বি আই ওতো ঘুষখোরের আস্তানা অল্প সল্প কোটি কোটি টাকার অফার দিলেই সব ধামা চাপা পড়ে যায়। দেখছি তো সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, সহ চিটফাণ্ডের তদন্ত, আর গোরু পাচার, কয়লা পাচারের তদন্ত কিম্বা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কান্ডের তদন্ত চলছে আরও দিনের পর দিন যুক্ত হচ্ছে, তবে ভালোই হচ্ছে কারণ এক সময়ে মাননীয়া যখন বিরোধী ছিলেন কথায় কথায় সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন এখন কোর্ট সে কাজ টি করছে মাননীয়ার বিরোধী থাকা কালীন দাবি মেনে নিয়ে সি বি আই তদন্ত দিচ্ছে। সে সময়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত জ্ঞানেরশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনের ঘটনা, নন্দীগ্রাম কাণ্ড, আর সিঙ্গুর তদন্ত যদিও সিঙ্গুর তদন্ত একটু আধটু মানুষ জানে কিন্তু নন্দীগ্রামের তদন্ত করে রিপোর্ট কথায় গেল কে অপরাধী কেউ শাস্তি পেল কি না কিছুই জানা গেল না। মাননীয়া কে অশেষ ধন্যবাদ এতো তাড়াতাড়ি কোর্টের রায় মেনে নেওয়ার জন্য বাকি গুলোর ক্ষেত্রেও যদি মেনে নিয়ে কাজ করেন তাহলে অন্তত আরও ভালো লাগে। 

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...