Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 9 February 2022

পাড়ায় শিক্ষালয়ের নামে, প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার এই যজ্ঞ বন্ধ হোক।

 পাড়ায় শিক্ষালয়ের নামে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার চেষ্টা বন্ধ করা হোক। স্কুলের ঘরে শিক্ষা দান করার আদেশ দেওয়া হোক, কারণ পাড়ায় শিক্ষা অর্থাৎ মাঠে ঘাটে চট পেতে পাতন পেতে শিক্ষা দান করা যায় না। আজ দু বছর কাল বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, ভারতের অন্য রাজ্যের বিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার জন্য ঠান্ডা ঘরে বসে নিত্য নতুন আজগুবি ফরমান জারি করা হচ্ছে। কোথা থেকে টাকা আসবে কে দেবে প্রতি দিনের চট ভাড়া কে দেবে মিড ডে মিলের রান্নার খরচ তার হদিস নেই। এক দিকে বলা হয়েছে রান্না করা খাবার দিতে আরেক দিকে চাল আলু ডাল সাবান বিলির আদেশ হচ্ছে, এবং চাল আলু বিতরণের টাকা দেওয়া হয়েছে অথচ রান্না করে খেতে দেওয়ার জন্য কোন টাকা নেই। আবার প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চট ভাড়া এবং ঐ চট দিয়ে যদি উপরে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয় তবে ১০০০ স্কোয়ার ফুটে ভাড়া ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা যদি ছাউনির ব্যবস্থা না করা যায় তাহলে বাচ্চা গুলো এই রোদ্দুরে ভাজা ভাজা হচ্ছে, আবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টি হবে এরপরেও পশ্চিমবঙ্গরে শিক্ষা দফতরের লোক জন ঠান্ডা ঘরে বসে একটার পর একটা হুকুম জারি করে চলেছে। আমার মনে হয় এদের কারো বাড়িতে বাচ্চা ছেলে নেই, যদি সামান্য মনুষ্যত্ব থাকত তাহলে এই রকম হুকুম জারি করত না, এদের মানুষ বলা যায় কি? কোথাও কোথাও দেখছি মাঠে বসে মিড ডে মিল খাচ্ছে, যদি উপর থেকে পাখির পায়খানা পরে সেটাও এদের খাবার ছি ছি, এর পরেও এদের মানুষ বলবেন ছি ছি। মানুষ নামের কলঙ্ক এরা, আর আছে কুকুর, বিড়াল, গোরু, হনুমান, এই দেখুন আজ একটা বিদ্যালয়ে মাঠে পাড়ায় শিক্ষা চলা কালীন হনুমান এসে হাজির হয়েছে।


বাচ্চাদের শান্ত রেখে কোন রকমে সামাল দেওয়া হয়েছে। এর পর বাচ্চাদের চলে যাবার পর কারণ বিদ্যালয়ের ঘরে বসানো বারণ সে কারণেই বাচ্চাদের বারান্দায় খাওয়ার ব্যবস্থা করে বাড়ি পাঠানোর পর সমগ্র মাঠ হনুমানের দখলে। 


এসবের পরেও বাচ্চাদের ঘরে বসানো যাবে না, কিছু কিছু অন লাইন সংবাদ পত্র আছে টাকা আর বিজ্ঞাপনের লোভে পাড়ায় শিক্ষা ভীষণ ভালো চলছে বলে খবর করে যাচ্ছে। মানুষের নাকি দারুণ সাড়া নতুন একটা বিষয় নিয়ে, আমার তো মনে হয় এই সব সাংবাদিক দের বাড়িতে কোন বাচ্চা নেই। এরাও চায় না বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকুক, আসল উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গরে শিক্ষার বারোটা বাজানো। এক সময়ে সরকারি শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা নিয়ে গর্ব ছিল, সেই ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে প্রথম এই সিলেবাস আর এই দু বছর কোভিডের নামে বন্ধ করে দিয়ে। কোভিড19 এর নামে এক শ্রেণীর ওষুধ কোম্পানি কে টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্পেন সহ  বিশ্বের অনেক দেশেই এই নিয়ে সরব হয়েছে WHO এর বিরুদ্ধে আর আমাদের দেশের এই এক মাত্র পশ্চিমবঙ্গ এখনও এই কোভিড কে সাামনে রেখে শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিতে চাইছে। 


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...