Anulekhon.blogspot.com
Sunday, 13 February 2022
সরকার যখন জনগণের জীবন জীবিকার দায় নেবে না। সেই সরকার কে কর (ট্যাক্স) দেওয়া কি বাধ্যতামূলক?
ক্ষমতায় আসার পরেই ভোল বদল বছরে দু কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি উধাও। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দেশে বেকারের সংখ্যা সব থেকে বেশি, এবং অভুক্ত মানুষের সংখ্যা সব থেকে বেশি ভারতে এমনকি বাংলাদেশের থেকেও নীচে। বিশ্ব খাদ্য সুচকে ১১৪ নম্বরে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে বেকার নেই, আর গরীবি নেই, বেকার যুবক যুবতী দের চাকরি দেওয়ার দায় সরকারের নয়। দেশের এক জনও গরিব মানুষ নেই, মানুষ যে কোন ভাবে তার কাজ কারবার জোগাড় করে নিক সরকারের কোন দায়িত্ব নেই। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বললেন ডবল ডবল চাকরি হবে এখন তিনি বলছেন কাশ ফুল দিয়ে বালিশ তৈরি করতে। চপ মুড়ি, চা, এর দোকান করতে। ঘুঁটে বিক্রি করতে গাছের পাতার ব্যবসা করতে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে দুই সরকারের একই নীতি বেকারত্ব দূর করার দিকে নেই, সরকারি চাকরি ভুলে যাও সেটা আবার কি খায় না গায়ে মাখে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কল কারখানা তাড়নোর সময় মনে ছিল না একটা আন্তর্জাতিক কোম্পানি কে তাড়াচ্ছে, টাটা গোষ্ঠীর মত একটা কোম্পানি জঙ্গি আন্দোলনে এই রাজ্যের থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। তার ফল ভোগ করছে বাংলার বেকার যুবক যুবতী, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বছর বছর শিল্প মেলা, সন্মেলন হচ্ছে কিন্তু শিল্পের দেখা নেই কেবল প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। শেষে শিল্পের জমিতে মাছের ভেরি করতে হচ্ছে। এখানেই কথা আসে দেশ এবং রাজ্যের সরকার বেকার যুবক যুবতী এবং জনগণের দায় দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে সেখানে, জনগণের কর বা ট্যাক্স এর টাকায় সাংসদ, বিধায়ক, (এম, এল, এ) প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এদের বেতন দিয়ে পোষা এবং এদের নিরাপত্তার জন্য খরচের কোটি কোটি টাকা কেন জনগণ নেবে? এই রাজ্যে তো আবার জনগণের ভোট দেবার অধিকার নেই, যদিও ভোট দিতে পারেন সেটা কীভাবে ঘুষখোর এবং নকল অফিসার দিয়ে পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় দখল করতে হবে এরা সেটাতেও পটু ।যা হচ্ছে সব টাই জনগণের করের টাকায় সে কারণেই জনগণের উচিত এখুনি কর দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া।
এত গুনী প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী আগে আসেনি।
ভারতের জনগণ সত্যিই খুব ভাগ্যবান, গুনী প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন। কি জানেন না তিনি, তিনি একাধারে ইঞ্জিনিয়ারিং জানেন। বিরাট বড় বিজ্ঞানী, কোভিড19 এর ভ্যাকসিন ও আবিস্কার করে ফেলেন। যেমন আমাদের মুখ্যযমন্ত্রী, গান জানেন, গান লেখেন, কবিতা লেখেন, আগে পিকাসোর মত ছবি আঁকতেন কোটি কোটি টাকায় বিক্রি করা হতো। এখন আর সে রকম হয় না। কারণ এখন কেনার লোক নেই, সে এখন জেলে। আহা জেলের বাইরে থাকলে আজ আমাদের চিন্তা ছিল, তাহলে প্রতিটি বাঙালির মাথার উপর ৪৮০০০ টাকা করে ঋণের বোঝা চাপত না। আমাদের মুখ্যযমন্ত্রীর আরেকটা গুন না বললেই নয় তিনি বিশ্বের প্রায় সব কটি ভাষা জানেন। প্রধানমন্ত্রীও জানেন তবে সব কিছুই গুজরাতি উচ্চারণে লিখে দিতে হয় এই আর কি! সে ইংরেজি, বাংলা, অন্য দেশের ভাষা সব কিছুই ওনার মাতৃভাষায় লিখে দিতে হয় উনি দেখে দেখে বলেন। সব থেকে বড় গুণ সব জানে ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বিঞ্জান সব। বিশ্বাস না হলে ছবি গুলো দেখে নিন।
এই দেখুন ইঞ্জিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
এই দেখে নিন বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রী।
Wednesday, 9 February 2022
পাড়ায় শিক্ষালয়ের নামে, প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার এই যজ্ঞ বন্ধ হোক।
পাড়ায় শিক্ষালয়ের নামে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার চেষ্টা বন্ধ করা হোক। স্কুলের ঘরে শিক্ষা দান করার আদেশ দেওয়া হোক, কারণ পাড়ায় শিক্ষা অর্থাৎ মাঠে ঘাটে চট পেতে পাতন পেতে শিক্ষা দান করা যায় না। আজ দু বছর কাল বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, ভারতের অন্য রাজ্যের বিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষা কে ধ্বংস করার জন্য ঠান্ডা ঘরে বসে নিত্য নতুন আজগুবি ফরমান জারি করা হচ্ছে। কোথা থেকে টাকা আসবে কে দেবে প্রতি দিনের চট ভাড়া কে দেবে মিড ডে মিলের রান্নার খরচ তার হদিস নেই। এক দিকে বলা হয়েছে রান্না করা খাবার দিতে আরেক দিকে চাল আলু ডাল সাবান বিলির আদেশ হচ্ছে, এবং চাল আলু বিতরণের টাকা দেওয়া হয়েছে অথচ রান্না করে খেতে দেওয়ার জন্য কোন টাকা নেই। আবার প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা চট ভাড়া এবং ঐ চট দিয়ে যদি উপরে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয় তবে ১০০০ স্কোয়ার ফুটে ভাড়া ৪০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা যদি ছাউনির ব্যবস্থা না করা যায় তাহলে বাচ্চা গুলো এই রোদ্দুরে ভাজা ভাজা হচ্ছে, আবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টি হবে এরপরেও পশ্চিমবঙ্গরে শিক্ষা দফতরের লোক জন ঠান্ডা ঘরে বসে একটার পর একটা হুকুম জারি করে চলেছে। আমার মনে হয় এদের কারো বাড়িতে বাচ্চা ছেলে নেই, যদি সামান্য মনুষ্যত্ব থাকত তাহলে এই রকম হুকুম জারি করত না, এদের মানুষ বলা যায় কি? কোথাও কোথাও দেখছি মাঠে বসে মিড ডে মিল খাচ্ছে, যদি উপর থেকে পাখির পায়খানা পরে সেটাও এদের খাবার ছি ছি, এর পরেও এদের মানুষ বলবেন ছি ছি। মানুষ নামের কলঙ্ক এরা, আর আছে কুকুর, বিড়াল, গোরু, হনুমান, এই দেখুন আজ একটা বিদ্যালয়ে মাঠে পাড়ায় শিক্ষা চলা কালীন হনুমান এসে হাজির হয়েছে।
বাচ্চাদের শান্ত রেখে কোন রকমে সামাল দেওয়া হয়েছে। এর পর বাচ্চাদের চলে যাবার পর কারণ বিদ্যালয়ের ঘরে বসানো বারণ সে কারণেই বাচ্চাদের বারান্দায় খাওয়ার ব্যবস্থা করে বাড়ি পাঠানোর পর সমগ্র মাঠ হনুমানের দখলে।
এসবের পরেও বাচ্চাদের ঘরে বসানো যাবে না, কিছু কিছু অন লাইন সংবাদ পত্র আছে টাকা আর বিজ্ঞাপনের লোভে পাড়ায় শিক্ষা ভীষণ ভালো চলছে বলে খবর করে যাচ্ছে। মানুষের নাকি দারুণ সাড়া নতুন একটা বিষয় নিয়ে, আমার তো মনে হয় এই সব সাংবাদিক দের বাড়িতে কোন বাচ্চা নেই। এরাও চায় না বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থাকুক, আসল উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গরে শিক্ষার বারোটা বাজানো। এক সময়ে সরকারি শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা নিয়ে গর্ব ছিল, সেই ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে প্রথম এই সিলেবাস আর এই দু বছর কোভিডের নামে বন্ধ করে দিয়ে। কোভিড19 এর নামে এক শ্রেণীর ওষুধ কোম্পানি কে টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্পেন সহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই নিয়ে সরব হয়েছে WHO এর বিরুদ্ধে আর আমাদের দেশের এই এক মাত্র পশ্চিমবঙ্গ এখনও এই কোভিড কে সাামনে রেখে শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিতে চাইছে।
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...