Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 7 October 2021

দুর্গা পুজো কমিটির ও ক্লাবের থেকেও অধম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।

 আমি ঠিক জানি না দুর্গা পুজো বা ক্লাব গুলো কে টাকা পেতে এসব করতে হয়েছে কিনা বা খরচের পর তাদের ইউ সি দিতে হবে কি না? আর সব শেষে কোন অডিট কোম্পানি কে দিয়ে অডিট করতে হয়েছিল কি না বা হবে কিনা? ক্লাব গুলো নাকি খেলার উন্নতির জন্য টাকা পায়, আমি তো দেখলাম না এই রকম টাকা পাওয়া কোন ক্লাব কোন খেলা আয়োজন করেছে কিনা? এটুকু জানি পুজোয় মদ মাংস খাওয়া বা ভোট উৎসবের সময় মটনের ঝোল, আর বিশেষ নেতা মন্ত্রীরা এলে বিলেতি মদের ব্যবস্থা করা এবং কোন কোন ক্লাব আবার বেড়াতে যায়। দুর্গা পুজোর জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা সে তো এখন যেখানে কোন দিন দুর্গা পুজো হতো না সেখানেও একটা পুজো আসছে। যত দূর জানি দুর্গা পুজোর টাকা পেতে একজন পঞ্চায়েত স্তরের শাসক দলের নেতাকে ধরে পাওয়া যাবে। আচ্ছা এদের ছবি তুলে ভিডিও করে পাঠাতে হয়! আমার ঠিক জানা নেই, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাও সরকারের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয় গুলো দীর্ঘ দিন বন্ধ সে গুলো একটু ভেঙে গেছে বা তার বেঞ্চ বা দরজা জানালা বা বিদ্যুৎ বা ঘর সারাতে হব কি না? এসব কারণে সেই আগষ্ট থেকে শুরু করে এই নিয়ে চারবার অন লাইন ফর্মে আবেদন করতে বলছে। প্রথম গুগুল ফর্মে,


এরপর ইউনিফর্ম ও infrastructure সার্ভে রিপোর্ট ফর্ম অন লাইন বাংলা শিক্ষা পোর্টালে গিয়ে সেখানে আবার নানা রকম ছবি দিয়ে। আবার ছবির মাপ আছে, ছবি তুলেই দেওয়া যাবে না। অনেক চেষ্টায় সার্ভার  খুলল তার পর সেটা সাবমিট করা গেল।


এর সাথে ছিল infrastructure সার্ভে ফর্ম ।



এই খানে এবং ইউনিফর্মে ছবি দিতে হয়েছে। 


এসব করার পর সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের প্রথম আবার গুগুল ফর্মে দেওয়া হল infrastructure ফর্ম পূরণ করে। 

এর মাঝে বলে রাখি পঞ্চায়েতের NS এর সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক কুল হুমরি খেয়ে পড়ল। আরে যে পঞ্চায়েত গত দেড় বছরে অনেক বলার পর একবার মিডে মিলের আগে স্যানেটাইজ করে দেয় ( জুন 20)সেই পঞ্চায়েতের NS স্কুলের জন্যে কাজ করে দেবে। সেই পর্ব মেটার পর দ্বিতীয় বারের গুগুল ফর্ম পূরণ করে দিতে হল। এবার আবার আরেকটা অন লাইন ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে এখানেও ছবি লাগবে ভিডিও ফুটেজ লাগবে অর্থাৎ কাজ করছেন তার ভিডিও ফুটেজ, ভাবুন শিক্ষক তার নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরু করে তার ভিডিও ফুটেজ দিলে তবেই মিলতে পারে টাকা। নতুন ফর্মের ছবি দিলাম। 








কারণ একটাই এত দিন বসে বসে বেতন নিয়েছ, এবার ঐ টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য খরচ কর, এবং ভিডিও ফুটেজ পাঠাও আমি দেখব যদি আমার পছন্দ হয় এবং আমার কোন নেতা বা ভাই ভাইপো ভাইঝি রা কাটমানি পায় তাহলে টাকা না হলে নেই। আরে শিক্ষক দের আমার একটা জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন স্কুলের শিক্ষক কুলকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, এখানে দেখা যাচ্ছে ক্লাব বা দুর্গা পুজো কমিটির লোক জনের থেকেও অধম এই স্কুল শিক্ষক গন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করে লাভ কি ওখানে তো আর ভোটের সময় বোমার মশলা কেনা হবে না, বোমা বাঁধা হবে না।আরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা V.E.C.কে টাকা দিতে হবে না, ভাই, বোন, ভাইপো, ভাইঝি, যারা কাটমানি নেবে এবং ২৫% ও ৭৫% ভাগ করে দিতে পারে তাদের টাকাটা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ করতে বল না। আর আজকে তো দেখলাম এক ল্যাম্পপোষ্ট বলছে ৮ ই নভেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠন শুরু হবে। প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম ও বিশবাঁও জলে। আমার পরিচিত একজন শাসক দলের সমর্থক অর্থাৎ শিক্ষা সেলের সদস্য বলে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আগামী বাইশ সালেও খুলবে না। জানা নেই তার কথাটা কতদূর সত্য, তবে যে দিকে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ওর কথাই সত্যি। সত্যিই এই সরকার চায় না বাচ্চাদের শিক্ষা বলে কিছু থাকুক, eight পর্যন্ত বেসরকারি হয়ে যাক। কারণ শিক্ষা তাদের বাড়ির জন্যে যাদের টাকা আছে। 


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...