Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 13 October 2021

বাংলাদেশে তালিবান শাসন চলছে।

আজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দুর্গা পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙ্গার ছবি। 

আজ যা বাংলাদেশ এক সময় ভারতের অংশ এক কথা সকলেই জানেন। আর এই অংশটা পূর্ব বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ দুই নিয়ে বিশাল বাংলা প্রদেশ আর এই বিশাল প্রদেশ কে ইংরেজ সরকার শাসন করার জন্য ভাগ করে ছিলেন, পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ 1905 সালে পূর্ব বঙ্গ কে বিচ্ছিন্ন করে মুসলিম দের দেবার পরিকল্পনা করে ছিলেন চতুর ইংরেজ। সেই শুরু হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা যা এখনও চলছে, ঐ সময়ে বঙ্গ কে ভাগ করতে পারে নি কারণ বাঙালির একতা রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে ছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি গন। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বঙ্গ ভঙ্গ আর এর ঠিক ছ ' বছর পর 1911 সালে ইংরেজ সরকার তাদের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ছিল দিল্লিতে। কিন্তু ঐ যে ধর্মীয় দাঙ্গা সেটা থামেনি বরং বেড়ে গিয়েছে, আর ঐ সময়ে উস্ককানি চরম পরিনতি লাভ করে ছিল 1946 সালের রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় এবং দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে হাজার হাজার বাঙালির রক্তে সেদিন বাংলাদেশের পথ ঘাট লাল হয়ে উঠেছিল। রক্ত দেখে তো আর বোঝার উপায় নেই কোন টা হিন্দুর রক্ত আর কোনটা মুসলমানের রক্ত। ইংরেজ সরকার দীর্ঘ চেষ্টা করে বাঙালি জাতির ঐক্য ধ্বংস করতে পারে নি, কিন্তু কিছু ভারতের তথা অনশনে বসে স্বাধীনতা আনা ব্যক্তি দের সহায়তায় কয়েক লক্ষ বাঙালির জীবন বিপন্ন করে দেওয়া হয়েছিল কয়েক ঘণ্টায়। সে ক্ষত এখন বয়ে বেড়াচ্ছে বাঙালি, এখনও পূর্ব বঙ্গে তথা বাংলা দেশে চলছে ধর্মের নামে অত্যাচার এবং সেটা সরকারের সহযোগিতায়, কারণ এখন ইন্টারনেটের যুগে কোন ঘটনা আর চাপা দেওয়ার উপায় নেই। এই দুর্গা পুজো নিয়ে সেই রকম কত গুলো খবর বেড়িয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টালে। তার একটির screenshot এখানে দিলাম।



এত গেল একটা ঘটনার ছবি, কালকেই আসাদ নূর নামে এক  একটি ভিডিও ফুটেজ দেখ ছিলাম, ফেসবুকে ।তিনি তো বেশ কিছু জায়গার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই উৎসব পালন করতে বাধা দিচ্ছে কোথাও প্রশাসন কোথাও জনতা। আসলে এগুলো আসছে ধর্মান্ধতা থেকে এবং ধর্মের নামে উগ্র প্রচার কে কেন্দ্র করে, করছে কারা ঐ যে হুজুর না কুজুর আলেম হালেম আছে এদের এরা। মাঝে মাঝেই এই হুজুর কুজুর দের চরিত্র বেড়িয়ে পরে, কখনো সে সম কামি কখনো আবার বাচ্চা মেয়ের সাথে আসলে এই অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়া এদের কাজ। লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে মাইফেল নামের জলসা আর অবৈজ্ঞানিক জ্ঞান বিতরণ বিজ্ঞানের কোন ধারে কাছে যায় না অথচ বিজ্ঞানের সব সুবিধা ভোগ করতে ছাড়ে না। দামি মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরার ভালো মাইক সাউন্ড ঐ যে ভোর বেলা থেকেই চিৎকার আল্লা হু আকবর, ভালো চিকিৎসা সব চাই কিন্তু যারা এসব আবিষ্কার করেছেন তারা এবং তারা অন্য ধর্মের এরা কাফের। আর এই কাফের দের কোন অধিকার নেই ওদের দেশে থাকার অথচ দেশটা সকলের হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ শিখ সকলের। আসলে ধর্ম এসেছিল মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য, সনাতন ধর্ম সে তো আদিম যুগ থেকেই শুরু হয়েছে মানুষ যাকে ভয় পেয়েছে সেটাই একটা দেবতা, আস্তে আস্তে বিভিন্ন রোগের দেব দেবি ঝড় বন্যা মহামারী, দাবানল বা আগুন প্রতি টি প্রাকৃতিক ঘটনার একটা করে দেব দেবী। সে কারণেই কে এর প্রচারক কেউ বলতে পারে না। সনাতন ধর্মকে আর্যরা একটা রূপ দিয়ে ছিলেন। শুনে শুনে বিভিন্ন ভাবে সেই সব মনে রেখে পূজো পাঠ করতে হতো, পরে লিখিত আকারে আসে লেখা হয় পৃথিবীর প্রথম বই " ঋক বেদ" ।হিন্দু এই শব্দটা এসেছে তো সিন্ধু নদের আশপাশে বসবাসকারী মানুষ দের সিন্ধু বাসী বলত সেখান থেকেই অপভ্রংশ হয়ে আজকের হিন্দু। যাহোক কি লিখ ছিলাম আর কোথায় নিয়ে গেলাম আসলে এই এই সনাতন ধর্ম একটা সময় এক একটা মানব গোষ্ঠীকে এক করার জন্য ব্যবহার করেছে। গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধ কমাতে ধর্মের ব্যবহার করা হয়েছে। মনসা, শিব, কালি, প্রভৃতি অনার্য দের দেব দেবীরাও হয়ে গেছে আর্য দের দেব দেবী। এই সে দিনও গ্রাম বাংলার কান পাতলে শোনা যেত সত্যপীরের গান। অর্থাৎ এক দিকে সত্য নারায়ণ আরেক দিকে পীর। আর এই ইসলাম যেটা 1400 বছর আগে এসেছে, এই ধর্ম আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে সেই দাঙ্গা মারামারি, যিনি এই ধর্ম প্রচার করেছেন তিনি যুদ্ধ করতে করতে অর্থাৎ মানুষ খুন খুন করতে এই ধর্মের প্রচার করেছেন। আবার অনেকেই বলছেন ইসলাম কথার অর্থ নাকি শান্তি আমি কোথাও দেখছি না এদের দ্বারা শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এদের ঐ ধর্ম প্রচারক গন টাকার বিনিময়ে ধর্মের প্রচার করে এবং প্রতিটি মুহূর্তে অন্য জন গোষ্ঠীর মানুষ কে কীভাবে জব্দ করতে হবে সেটা শেখায়, কেবল লুঠ পাট ছাড়া এরা আর কিছু জানে না। সারা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন দেখবেন এরা যেখানে সংখ্যা গুরু সেখানেই অশান্তি, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, তুরস্ক, আমাদের দেশের জম্মু ও কাশ্মীর, অতি সম্প্রতি মায়ানমার যাহোক মায়ানমারের বৌদ্ধরা সরকারের সহায়তায় এদের দেশ ছাড় করে ছেড়েছে, চিন উইঘুরে তে ভীষণ ভাবে জব্দ করে রেখেছে, ভারতের অভ্যন্তরেও শুরু করেছে এই দমিয়ে রাখার। আসলে এরা ঐ আল্লাহ আকবর ছাড়া আর কিছু জানেন না, আর শিখতেও চায় না, এরা যেখানে থাকে সেখানে কেবল উত্তেজনা ছড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে রাখে। কথায় কথায় দাঙ্গা এদের পেশা, এরা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে সরকারি মদত পুষ্ট, বাংলাদেশে বাড়বাড়ন্ত এক মাত্র কারণ এখানের সরকার এদের কিছু বলে না, উল্টে সংখ্যা লঘুদের সামান্য অপরাধে দীর্ঘ দিন বিনা বিচারে আটক করে রাখে। আমি যতদূর ইতিহাসে পড়েছি তৎকালীন ভারত তথা ইন্দিরা গান্ধী এই পূর্ব পাকিস্তান কে বাংলাদেশ হতে সাহায্য করে ছিল একটাই শর্ত এটি একটি ধর্ম নিরপেক্ষ ও সুস্থ গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কাজ করবে। মুজিবর রহমানের ভাষণ গুলো শুনলে সেই কথা বারবার বলেছেন তিনি কিন্তু না ও তো কথার কথা বাংলাদেশের সব কটা শাসক এক কেউ এই ধর্ম গুরু দের তথা হুজুর আলেম কালেম দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা যারা অপরাধ করে তাদের শাস্তি দেওয়া এসব কিছু করে না। কেবল লোক দেখানো একটা বিচারের নামে প্রহসন করে ছেড়ে দেয়। আর এই বাংলাদেশি মুসলিম গুলো এমন ভাব দেখায় মনে হয় এরা হজরত মুহাম্মদ বংশধর, কিন্তু আমি তো জানি ওখানের নিম্ন বর্ণের হিন্দু দের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম তথা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে । কেউ কেউ আবার স্বেচ্ছায় গেছে ঐ একাধিক বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিতে পারবে এবং নারীর শরীর ভোগ করতে পারবে। এরা নাকি একটা সভ্য সমাজের মানুষ এদের সভ্য বললে অসভ্য কারা। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মুসলিম তাদের অশিক্ষিত অর্থাৎ আধুনিক শিক্ষার ধার ধারে না কেবল ধর্মের শিক্ষা কোন উচ্চ পদে এরা নেই, এদের অধিকাংশই জানেই না নিজের দেশের সংবিধানে কি আছে। আমার আশ্চর্য লাগে যখন ভাবি এরাই আমার বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং সেই ভাষা আন্দোলন পরে স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। আরেকটা কথা অনেকেই ভাববেন আমি হয়তো চীন, ভারতের সংখ্যালঘু দের উপর অত্যাচার করছে সেটা কে সমর্থন করছি কখনো না। কারণ আমি চাই মানবতা হোক ধর্ম, মানুষ খুন করে শান্তি আসবে না। এই যে ধর্মের নামে মানুষ খুন হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় উগ্রপন্থী কার্যকলাপ চলছে এটা বন্ধ হোক। ধর্মের নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হলে, প্রতিটি দেশের সরকার কে ধর্মের রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে এসে মানুষের জন্য ভাবতে হবে। পৃথিবী তে জণ্ম নেওয়া প্রতিটি প্রাণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে, সেই অধিকার দিতে হবে, সরকারি ভাবে।

চীন ও ভারতের ধর্মের নামে অত্যাচারের অন লাইন সংবাদের ছবি দিলাম ।






No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...