দেখুন সন্ধ্যা সাতটার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর পশ্চিমবঙ্গ সরকার রিফিউজ করেছে পরিযায়ী শ্রমিক দের ফিরিয়ে আনতে ।আসলে দাদা দিদি দুই সমান, মনে পরছে, একদিকে ভারতে করোনার প্রবেশ করে গেছে বলা যায়। সেই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে কয়েক শ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। সেই সময় একটি ঘটনা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে ছিলাম। ঐ স্টেডিয়ামে আসার পথের দু পাশের গরীব মানুষের বস্তি কে পাঁচিল তুলে চাপা দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্র পরিচালক যখন অর্থাৎ শাসক যখন শোসকের সাথে হাত মিলিয়ে নেয়। তখন পরিস্থিতি এটাই হয়। আমাদের রাজ্যে বাম সরকার ছিল, এই বামেদের শেষ দিকে একদল মানুষ প্রতি নিয়ত মিথ্যা কথা বলে গেছেন। বামপন্থীরা চোর বামপন্থীরা সব শেষ করে দিলে। একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে গেছে আর বামপন্থী দের নামে মিথ্যে অভিযোগ করে গেছেন। আর কথায় কথায় সিবিআই তদন্ত চাই, 356 ধারা প্রয়োগ করতে হবে। এই দাবি ছিল প্রতি দিনের, বন্ধ, ধর্মঘট সেত মুড়ি মুড়কি, আর ক্ষমতায় এসেই বেশ কিছু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে গেল। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জ্ঞানেরশ্বরী এক্সপ্রেস দূর্ঘটনা এসবের সিবিআই তদন্ত চলছিল। মাঝ খানে এলো কঙ্কাল কাণ্ড চার পাশ থেকে কঙ্কাল, আর বিভিন্ন আয়েগ্ন অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যেতে লাগলো। সব নিয়ে বামপন্থী নেতা মন্ত্রী দের নাজেহাল করে দিতে লাগল। বামপন্থীরা এলাকা ছাড়া হলেন। কেউ কেউ ভয়ে বর্তমান শাসক দলে নাম লেখালে। কোথায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট 10 বছর হতে চলল এই সব মিথ্যে মামলা অভিযোগ করে বামপন্থী দের বিরুদ্ধে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে দেওয়া হল। আর এর পাশাপাশি কৌশলে চলল তোলাবাজি /কাটমানি /ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়ার কাজ। কিছু বললেই বাম আমলে হয় নি, অনেকেই অনিচ্ছা স্বত্বেও বলল হ্যাঁ হয়েছে, কিন্তু সেই জন্যই তো মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এই পরিবর্তন কীসের জন্য ওসব বন্ধ করার জন্য, তাহলে এস এস সি র মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে শেষ 2012 সালে আর হয়নি কেন? কেন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এতো দিনেও প্রকাশ করা গেল না। এখন রেশন কার্ড রেশন নিয়ে যা চলছে 2006 না হলে 2009সালেও একই ভাবে মিডিয়া দেখিয়ে ছিল খুব বেশি করে বাম নেতা কর্মীরা রেশন চুরি করছে বলে বর্তমান শাসক দল রাজ্যের চার পাশে হাঙ্গামা শুরু করে দিয়ে ছিল। অরাজকতা সৃষ্টি করে ছিল রাজ্যে, পরে ক্ষমতায় এসে ঐ রেশন নিয়েও একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার রিপোর্ট আজ দশ বছর হয়ে গেল তবুও কেউ জানে না, দোষী কারা। আসলে নিজের বা নিজের দলের অপরাধীদের আড়াল করতে বামেদের উপর দোষ দেওয়া হয়ে ছিল, না হলে তদন্তে কি হলো কেউ জানে না। বামপন্থীরা একেবারে ধোয়া তুলসি পাতা না কখনো না, দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের অনেকেরই উদ্ধত পূর্ণ আচরণ ছিল মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেনি। মানুষ কাজের কথা বললে দিনের পর দিন ঘুরিয়ে নাজেহাল করে দিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অপমান মারধর করেছে, আর সেই কারণেই মানুষ এদের সরিয়ে দিয়ে রাজ্যের মানুষের ভালোর জন্য পরিবর্তন করে দিয়েছেন, কিন্তু শিব গড়তে বাঁদর গড়া হয়েছে, তাই আজ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন এই শাসক ক্লাব কে খেলাশ্রী দিতে ব্যস্ত, দিল্লি সেত আরেকটু উপরে উঠে যায় ঋন খেলাপি দের ঋণ মুকুব করে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফুল ছড়িয়ে দেয়। তবুও আটকে পরা খেটে খাওয়া শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে না। অথচ ক্ষমতায় আসার জন্যে তিনি বলেন আমি চাই হাউই জাহাজ চড়বে এই খেটে খাওয়া মানুষ। ক্ষমতায় আসতে যে মানুষ পাঁচ শো কোটি টাকা খরচ করে লোক রাখে এবং জানে কিভাবে ভোটে কারচুপি করে জিতে আসতে হবে। সাধারণ মানুষ ভুলে যাবে মদ আর ভাগাড়ের পচা মাংস পেলে। সে কখনও চাইবে ঐ শ্রমিক দের দেশে ফিরিয়ে আনতে। আর আজ এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য এই দুই সরকার দায়ী বিদেশ থেকে আসা মানুষ গুলো কে ঠাকুর যত্ন করে ঘরে ফিরিয়ে এনেছে তারা করোনা উপহার স্বরূপ এনেছেন। যদি তাদের বিমান বন্দর থেকে নামার সাথে সাথে আইশোলেসনে রেখে পরীক্ষা করে ঘরে যেতে দিত তাহলে আজ এত বড়ো বিপদের মুখে সাধারণ মানুষ পড়ত না। তখন দাদা ব্যস্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে নিয়ে নজর তার কি ভাবে পাঁচিল তুলে গরীব বস্তি চাপা দেওয়া যায় সেই দিকে। আমাদের রাজ্যের ঘটনা সেত সকলে জানে আমলার ছেলে করোনা পজেটিভ হওয়া সত্ত্বেও ঘুরে ফিরে বেড়িয়েছে ও তো একটা আমরা জানি কিন্তু ভেতরে ভেতরে আরও ছিল, কারণ এখন সব চাপা দেওয়ার কারবার চলছে। আমরা যদি বিশ্বের ছোট ছোট দেশ গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখি যে সব দেশে জন সংখ্যা আমাদের রাজ্যের থেকে কম বা সমান সেই সব দেশে আক্রান্ত সংখ্যা অনেক বেশি আর মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি, কিন্তু আমার দেশ 130 কোটির উপর জনসংখ্যা এখানে আক্রান্তের সংখ্যা তাদের ধারে কাছে নেই। ঐ সব দেশের তুলনায় এত নগন্য কল্পনা করা যায় না, আর মৃত্যু ঐ দেশের তুলনায় হয় নি বললেই চলে। তাহলে আপনি বলবেন আমার দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঐ সব দেশের তুলনায় অনেক বেশি ভালো। একবার ভেবে দেখুন যে আমেরিকার মানুষের মাথা পিছু গড় আয় আর আপনার দেশের মানুষের মাথা পিছু গড় আয় কত? আমেরিকা ছাড়ুন ইতালি, স্পেন, বেলজিয়াম তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আমাদের দেশের থেকে খারাপ ঐ জন্যে মৃত্যু বেশি! আমার দেশ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন 50000 হাজারের আশে পাশে, আর মৃত্যু খুবই কম, এসব তথ্য ঠিক বলে মনে হচ্ছে আপনার! আমার মনে হয় না, কারন যে সব দেশে প্রতি 10 বা 100 জন পিছু একজন ডাক্তার, আর আমার দেশে 5000 থেকে 10000 জন পিছু এক জন। সঠিক পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ নেই, সেখানেও ঘুষ আর কোটা সিস্টেম আছে, ভালো শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা সুযোগ পায় কম পেলেও অভিভাবক পড়ানোর খরচ দেখে পিছিয়ে আসে, সেখানে মৃত্যুর হার কম একটা এত বড়ো বিশ্ব মহামারীতেও। যেখানে সরকারি হাসপাতালে ঠিকমতো ওষুধ এবং ডাক্তার মেলে না, সেখানে মৃত্যুর হার কম! এটা বিশ্বাস করতে হবে, কারণ একটাই দেশের শাসক স্বৈরাচারী, সে ক্ষমতা চায় আর চায় টাকা কোটি কোটি টাকা সেই জন্যই মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা নেই, খাবার পৌঁছে দেওয়া নেই, অথচ ঘরে বন্দি থাকতে হবে, এমনকি মূমুর্ষ রোগীর ওষুধ কিনতেও বাইরে যাওয়া যাবে না। সেখানে যমদূতের মত দাঁড়িয়ে আছে প্রশাসন, পিঠিয়ে মেরে দিচ্ছে। আবার অনেকেই প্রশ্ন করবেন না খেয়ে তো মারা যায় নি। আপনি বলুন যে শাসক এতো বড়ো মহা বিপদের মুখে মুখে মানুষ কে ঠেলে দিয়েছে, এবং প্রতি নিয়ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করে যাচ্ছে, তারা আপনাকে বলবে ক জন না খেয়ে মারা গেছে বা ক জন পুলিশের পিটুনি খেয়ে মারা যাচ্ছে। স্বৈরাচারী শাসক জানে আমার ক্ষমতা চাই, যে কোন প্রকারে আর শোষণ যন্ত্র চালু রাখতে হবে না হলে দেশ তথা গরীব মানুষের টাকা লুঠ করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যাবে না। এরা একটা যুক্তি দেবে কি না যদি সঠিক তথ্য মানুষ জানে তাহলে মানুষ ভয় পেয়ে যাবে, তার সাথে এটাও জানে মানুষ বাইরে না বেড়তে পারলে কাজ গুলো হবে না। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে, শোষণ করা যাবে না। স্বাস্থ্য পরিষেবার বদলে মন্দির মসজিদ মূর্তি তৈরি করা যাবেনা। আর স্বৈরাচার বা একনায়ক তন্ত্র জণ্ম নেয় তখন যখন দেখে আমার আসপাশ কোন প্রতিবাদ নেই, যদি বা প্রতিবাদ করা হয় তবে তৎক্ষণাৎ তাকে প্রতিহত করা এদের কাজ, এই কিছু দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু আই পি এস অফিসার কে চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছে, কেন জানেন কেন্দ্রীয় সরকার বলে ছিলেন কিভাবে এই বেহাল অর্থনীতি থেকে বেড়িয়ে আসা যায় তার সুজাউ মানে পরামর্শ দিতে বলেন। কিছু অফিসার সেটা করে জমা দেন, তার মূল কথা বা সুপারিশ ছিল উচ্চ বিত্ত বা ধনীদের উপর অতিরিক্ত কর চালু করার। পত্র পাঠ তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসকের কাজ এটা তারা জানে ঐ ধনী কোটি কোটি টাকার মালিকরা কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘুষ দিয়ে তাদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়িয়ে দেয়, তাদের টাকার জোরে ক্ষমতা আসা তাদের উপর কর চাপানোর সুপারিশ এ মানা যায় না। এটা ষড়যন্ত্র সূতরাং পত্র পাঠ বিদায় করে দাও, এরা গরীব মানুষ কে শোষণ করে তাদের শ্রমের উপর দাঁড়িয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে ওদের ক্ষমতায় আনে, আজকাল সব মিডিয়া কব্জা করে রাখতে সাহায্য কারা করে এরা। দেখছেন না, মানুষ খেতে পাচ্ছে না, রেশনের চাল চুরি করা হচ্ছে, আর এক দিকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন চলছে। আমি এতে একটুও অবাক নই কারণ আমি জানি যারা এই রেশন দোকানে গিয়ে মাল আনছে তারা অনেকেই বাজার থেকে কিনে খাওয়ার ক্ষমতা রাখে। সঠিক গরীবের কার্ড নেই, বিভিন্ন ভাবে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। এটাই স্বৈরাচারীর অন্যতম লক্ষ্য সে যা বলবে সেটাই আইন, আমি শাসক আমার কথাই শেষ কথা। এক জন খুব ভালো মানুষের মতো দিল্লি তে বসে ঠাণ্ডায় মাথায় গরীব মানুষ কে ধ্বংস করে দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের রাজ্যে সেত কথাই নেই, তিনি নিজেই সব অর্থাৎ ঐ ক্ষমতা জানে আমাকে হটায় কে? মিথ্যা বলে, বিজ্ঞাপন দিয়ে, টাকা ছড়িয়ে যেমন করে হোক আমি ক্ষমতায় আসব। আর তার জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়ে লোক নিয়োগ করা হয়েছে, ভাবা যায় এক সময় বাংলা যেখানে গোটা দেশ কে বুদ্ধি যোগাত বাংলা কে দেখে অন্য রাজ্যে মানুষ চলত সেখানে সেই বাঙালি কে বুদ্ধি কিনতে হচ্ছে। সেও মৌকা পেয়েছে কোটি কোটি টাকা নিয়ে কিভাবে বাঙালির জাতির ঐতিহ্য কে ধ্বংস করা যায় তার বুদ্ধি যুগিয়ে যাচ্ছে। আর বেশি না কারণ বেশি লেখা হলে অনেকেই পড়ে না। আমি জানি না আগামী দিনে মানুষ কি করবে? তাদের ভুল বুঝতে পেরে এই স্বৈরাচারী কে শাসন ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে কিনা, আগামী দিনে মানুষের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment