পশ্চিমবঙ্গ প্রায় সর্বত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে, কেবল কিছু মিডিয়ার প্রচারের জন্য। ছোট্ট বড়ো অনেক মিডিয়া টাকা এবং বিজ্ঞাপনের লোভে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছেন। চার পাশে এত ঘটনা ঘটেছে যাচ্ছে, সে সব দেখানোর প্রয়োজন নেই, যখন পরিযায়ী শ্রমিক রা বাড়ি ফিরতে পারে নি, দলে দলে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে, খাবার নেই পকেটে টাকা নেই, কারাও দয়া করে খেতে দিলে খাচ্ছে। পেটে খিদে নিয়ে দুধের শিশু কোলে নিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে বা আসছে। টাকার অভাব ট্রেন চলাচল বন্ধ বাড়ি ফিরতে পারে না, আর ওদিকে "বন্দে ভারত" করে বড়ো লোক গুলো কে বিমানে বিনা ভাড়ায় বাড়ি নিয়ে আসছে। তাদের মধ্যে কত জনের করোনা হলো একবারও দেখানো হবে না, কিন্তু যেই এই গরীব মানুষ গুলো দীর্ঘ দুমাস পর খেয়ে না খেয়ে বাড়ি ফিরে আসছে, কেউ বা রাস্তার মধ্যেই মারা যাচ্ছে, তাদের পিছনে আদা জল খেয়ে লেগেছে এই সব দালাল মিডিয়া। এরা এসেই সব করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছে, সারাদিন কেবল একটি খবর পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি এসেই করোনা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, কোথাও কোথাও হচ্ছে, কিন্তু সেটা কে সর্বদা প্রচার করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে এই সব কাণ্ড ঘটিয়ে দিচ্ছে। আসলে গরীব বিরোধী সরকার, তাদের নীতি হলো গরীব মারা যাক যেকোনো ভাবে। একটু লোক সংখ্যা কমে আরকি. এত সাধারণ মানুষ আর পার্টি বা দল এই সব মানুষ কে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাচ্ছে, এই আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি গুলো তুলে ধরা কিম্বা গরীব মানুষ যাতে দুবেলা খেতে পারে তার দাবি গুলো যারা করছে বা ব্যবস্থা করছে সেসব প্রচার নেই। কেবল গরীব মানুষ গুলোর কি করে ক্ষতি করা যায় সেটা বেশি করে দেখানো হচ্ছে। একজন মানুষ তার প্রিয় জনের কাছে ফিরে আসছে, তাকে সুস্থ ভাবে ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়া যাতে পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করে সেটা তুলে ধরা,সে সব নেই। বিশেষ করে বাংলা মিডিয়ার এই মিথ্যা প্রচারের জন্য বাংলার এই হাল। কোথাও এদের মেরে তাড়া করে পুলিশ, কোথাও ঘুষ নেয়, এই তো প্রশাসন। এরা আসছে এদের পরীক্ষা করে দেখা তাদের চোদ্দ পনেরো দিন আলাদা করে রাখা এসব প্রচার করা না, দিন রাতের একটাই প্রচার এরা করোনা নিয়ে আসছে, আমি সাধারণ মানুষ কে একটু বলি এই সব মিডিয়া গরীব মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দিতে চাইছে। আগে জানতে হবে, করোনা ভাইরাস কি ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, কেউ কাছাকাছি হাঁচলে কাশলে তার যদি করোনা থাকে সেটা ছিটকে কারও গায়ে লাগে, এবং ঐ হাঁচি কাশির জলীয় অংশ সে হাত দিয়ে মুছে কোথাও ধরেছে সেটা যদি স্টিলের হয় তবে এই ভাইরাস বেশিক্ষণ জীবিত থাকে সেখানে কেউ হাত ধরলে এই ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তাই হাঁচি কাশির সময় রুমাল বা মুখোশ পরে থাকলে জলীয় অংশ ছড়িয়ে পড়ে না, তাই মুখোশ বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা ভালো। আর চোদ্দ পনেরো দিন আলাদা থাকা এবং এই সময় পরীক্ষা করা যে করোনা আছে কিনা? তাহলে বোঝা যাবে করোনা হয়েছে কিনা? করোনা কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে, আর একটু খাবার দাবার ভালো হলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তবে এই রোগ থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া সম্ভব। আর এই খানে গলদ এই সব গরীব মানুষের পক্ষে আজ দু মাস ধরে লক ডাউনে কত মানুষ যে এক বেলা খেয়ে দিন কাটচ্ছে সে খবর কে রাখে? আসুন আমরা সকলেই এই সব সর্ব হারা মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াই, ভুল মিথ্যা প্রচার করে এদের জীবন বিপন্ন করে না তুলে, পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করি বামপন্থী দের মতো। একটু দেখান বাম কংগ্রেস কেমন এইসব মানুষের মুখে অন্ন বা খাবার তুলে দেবার জন্য বিভিন্ন জায়গায় রান্না করা খাবার দিচ্ছে, কত মানুষ এদের সাহায্য করছে, আর যাই হোক এই সময়ে এরা চুরি করছে না। আজ হিমাচল প্রদেশের খবর দেখিয়েছেন বারবার পিপিই কেলেঙ্কারির জন্য পদত্যাগ করেছেন। আমি আর নাম বলছি না, একটু মুনাফার লোভ ছেড়ে সঠিক খবর দেখান যাতে কোটি কোটি এই গরীব মানুষ শান্তি তে থাকতে পারে। কারণ সরকার মতে গরীব হচ্ছে যার বাৎসরিক আয় ছয় লক্ষ টাকা। যারা তার নীচে আয় করে কোন রকম দিন কাটায় তারা মানুষ নয়। আপনাদের মতো মিডিয়াও যদি এদের মানুষ বলে না ভাবেন তাহলে এই ঘটনা ঘটবে। আর এর দায় আপনারা এড়িয়ে যেতে পারেন না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment